একজন সফল মেরিনার: একজন আলোকিত মানুষ – ফজলুর রহমান চৌধুরী (১ম ব্যাচ)

একজন সফল মেরিনার: একজন আলোকিত মানুষ – ফজলুর রহমান চৌধুরী (১ম ব্যাচ)

ক্যাপ্টেন ফজলুর রহমান চৌধুরী, এক্স ক্যাডেট, মেরিন একাডেমী(১ম ব্যাচ), এক্স কমান্ড্যান্ট, মেরিন একাডেমী, এক্স ডাইরেক্টর জেনারেল, সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর, কনসাল্ট্যান্ট, আইএমও

—————————————————————-

ক্যাপ্টেন ফজলুর রহমান চৌধুরী ১৯৪৫ সালে বাংলাদেশে জন্ম গ্রহন করেন। কুমিল্লা জিলা স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করার পর তিনি ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ থেকে এইচএসসি শেষ করেন। তিনি প্রথম কয়েকজনের মধ্যে অ…ন্যতম একজন ছিলেন যাদের দিয়ে ১৯৬২ সালে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমীর যাত্রা শুরু হয়েছিল। ১৯৭৬ সালে তিনি মাস্টার মেরিনার সার্টিফিকেট লাভ করেন এবং পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালে ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি, মালমো, সুইডেন থেকে এমএসসি ডিগ্রী অর্জন করেন। ক্যাপ্টেন চৌধুরী প্রায় ১৫ বছর সমুদ্রগামী জাহাজে চাকুরী করেছেন যার মধ্যে ৩ বছর তিনি মার্চেন্টশীপের কমান্ডে ছিলেন।
জনাব ফজলুর রহমান চৌধুরী শিপিং ইন্ডাস্ট্রির প্রায় প্রত্যেক বিভাগে কাজ করেছেন। বাংলাদেশ ত্যাগের পূর্ব পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের হারবার মাস্টার, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ম্যানেজার ও টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর(টিডি), মেরিন একাডেমীর ইন্সট্রাকটর ও কমান্ড্যান্ট, সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের চীফ নটিক্যাল সার্ভেয়র এবং একই অধিদপ্তরের ডাইরেক্টর জেনারেল(ডিজি) ছিলেন। তাছাড়া তিনি বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর রিজার্ভ কমান্ডার হিসেবেও কাজ করেছেন।

১৯৯১ সালে তিনি UK-MCA এতে এক্সামিনার ও সার্ভেয়র হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৯৭ সালে তিনি একই প্রতিষ্ঠানে ডেপুটি চীফ এক্সামিনারের দায়িত্ব লাভ করেন। ২০০০ সালে ক্যাপ্টেন চৌধুরী জিব্রাল্টার সরকারের মেরিটাইম এডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে নিয়োগ পান। এখানেই তিনি তার জীবনের সেরা সফলতা অর্জন করেন। যোগদানের পর দেশটিতে তিনি একটি পুরাতন সামরিক বন্দরকে ভেঙ্গে মেরিটাইম কার্যকলাপের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেন। মাত্র চার বছরের মধ্যে তিনি জিব্রাল্টারকে ইউরোপ ইউনিয়নের দ্রুততম রেজিষ্টারের স্বীকৃতি এনে দেন। চৌধুরী মেরিটাইম প্রশিক্ষণ ও দক্ষ জনশক্তি উন্নয়নের উপরও বিশেষ ভূমিকা রাখেন। বর্তমান জিব্রাল্টার সরকারের তরুণ রেজিষ্ট্রার অব শিপিং তারই হাতে গড়া কর্মকর্তা। ২০০৪ সালে ক্যাপ্টেন ফজলুর রহমান বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম শিপ রেজিস্টার দেশ বাহমাসে মেরিটাইম প্রশাসক হিসেবে যোগ দেন। ২০০৮ থেকে ১১ পর্যন্ত তিনি বাহরাইন সরকারের মেরিটাইম উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ক্যাপ্টেন ফজলুর রহমান চৌধুরী সেরা মেরিটাইম কন্সাল্টেন্টের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৯ সালে প্রিন্সটন গ্লোবাল নেটওয়ার্কে তালিকাভুক্ত হন। তাছাড়া তিনি ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির ভিজিটিং প্রফেসর এবং আন্তর্জাতিক নৌ সংস্থা(আইএমও)র কন্সাল্টেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি বিশ্ব ব্যাংকের অধীনে কিংডম অব টোংগা-তে মেরিটাইম ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রকল্পের উপর কাজ করেন। চলতি সেপ্টেম্বরে চৌধুরী সেই দায়িত্ব সম্পন্ন করেছেন। তিনি সাপ্তাহিক মেরিটাইম সংবাদের সম্পাদকীয় পাতায় সম সাম্প্রতিক মেরিটাইম সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ের উপর নিয়মিত কলাম লিখছেন।

এই জীবন্ত কিংবদন্তীর প্রতি আমরা বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আমরা স্যারের দীর্ঘায়ু ও সুসাস্থ্য কামনা করছি।

FR-Chowdhury

———————————————————————————————–

Courtesy: www.maritimeshongbad.com

Share