[SMC Magazine ‘নোঙর’] বিচ্ছিন্ন ভাবনা : সাখাওয়াত হোসাইন কমল (২৯)

[SMC Magazine ‘নোঙর’] বিচ্ছিন্ন ভাবনা : সাখাওয়াত হোসাইন কমল (২৯)

ভাবনা-১  || ১৮ জুন ২০১৩
‘বেইরা’ (মোজাম্বিক) থেকে ‘ডারবান’ (সা.আফ্রিকা) মাত্র আড়াই দিনের পথ l দক্ষিন বরাবর সোজা নিচে নামলেই হয়ে গেল l কোন সেকেন্ড মেটের জন্য এর চেয়ে সহজ প্যাসেজ প্ল্যান আর হয়না l দিগন্তজোড়া নীল সাগর-আকাশের মহামিলন দৃশ্য, অদ্ভুত সুন্দর তারাময় পূ্র্ণিমা রাত, নীল তিমির জল-ক্রীড়া আর ডলফিনের মিছিলের স্মৃতি পেছনে ফেলে প্রায় ঠিক সময়েই ‘ডারবান’ পৌঁছালাম l যাত্রা পথে আরও জাহাজ দেখলাম, গম্ভীর-ব্যস্ত পথিকের মতো ওরা সবাই নিজ পথে চলছে আপন গন্তব্যে! পথ তো পথিকের পানেই চেয়ে থাকে l পথিক শূন্য পথ, তারা বিহীন রাতের অন্ধকার আকাশের মতোই নিষ্প্রান!

আমরা সবাই – প্রত্যেকটা মানুষ বিরামহীন ছুটে চলেছি নিজ নিজ লক্ষ্যপানে l বিশেষ করে ছাত্র, যুবক, তরুন পেশাজীবি-ব্যবসায়ী-রাজনীতিবিদ সবারই নিজস্ব স্বপ্ন আছে l কিন্তু নিজের কাছেই যদি সেই স্বপ্নযাত্রার লক্ষ্য পরিষ্কার না থাকে, সাথে যদি চেষ্টা ও পরিকল্পনায়ও ত্রুটি থাকে, তাহলে পথের শেষ দেখা আসলেই কঠিন l ‘এইম ইন লাইফ’ যাতে ‘পেইন ইন লাইফ’ এ রূপ না নেয়, সেজন্যে শুরু থেকেই চাই নিখাদ প্রস্তুতি l তুমি যদি এ সফরের এক মুসাফির হও, তোমাকেই খুঁজে নিতে হবে সঠিক রাস্তা l এক্ষেত্রে পথ পথিককে নয়, পথিককেই পথ চিনে নিতে হবে l তা না হলেই বিপত্তি l আর এ বিপত্তি তোমায় পরিণত করবে কম্পাসবিহীন এক দিশেহারা নাবিকে l বিভ্রান্ত আর হত-বিহবল হয়ে হয়তো মনে মনে আওড়াবে তখন… ‘আরে!, যাবো ঠিক করলাম মঙোলিয়া, কিন্তু কিভাবে যে এসে গেলাম সোমালিয়া….!!’

AIM, EFFORT AND DETERMINATION….. WILL SET YOU FOR THE DESTINATION.

ভাবনা-২ ||  ১৪ জুন ২০১৩
Bromeliad
ছবিতে যে ‘গার্ডেন প্ল্যান্ট’ দেখতে পাচ্ছেন ওটার নাম ‘ব্রোমেলিয়া’ l প্রায় বছর দুয়েক আগে জাহাজের নেভিগেশন ব্রীজের একটি টবে লাগিয়ে ছিলাম l শুধু মাত্র একটি পত্র-গুচ্ছ ছিল গাছটার সম্বল l এখনতো পাতায় পাতায় ভরে গেছে গাছটা l কিছুদিন আগে জয়েন করলাম সেই একই জাহাজে l খুব ভালো লাগলো টবটা দেখতে পেয়ে l বুঝাই যায় বেশ যত্ন পেয়েছে ও l এ দুই বছরে নেভিগেশন ব্রীজে পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করা অফিসারদের তালিকা করতে গেলে অনেক লম্বাই হবে তা l গাছটার দিকে সবাই ভালো দৃষ্টি রেখেছিল বলেই এতটা দৃষ্টি-নন্দন হতে পেরেছে ওটা l এক ইউক্রেনিয়ান অফিসার তো নাকি কিভাবে প্ল্যান্ট এর যত্ন নিতে হয় তার একটা নির্দেশনামূলক পোস্টারও ঝুলিয়ে দিয়েছিল টবটার পাশে l
………..
আমরাও কি কম যত্নবান আমাদের নিজেদেরকে নিয়ে ? সবাই-ই তো নিজেকে, নিজের পরিবার-বাড়ী-গাড়ী-অফিস ইত্যাদী সুন্দর করে সাজানোর জন্য কত পরিকল্পনা করি… সাজাইও l এ ব্যাপারে সবাই খুব সচেতন আর চেষ্টার কমতিও নেই কারো l কিন্তু দুঃখ লাগে তখন, যখন দেখি এই একই মানুষদের নিজের সমাজ ও দেশকে নিয়ে সুন্দর কোন পরিকল্পনা নেই l দেশ ভালো না থাকলে নিজের ভালো দিয়ে কি হবে ?
কখন আমরা আর আমাদের নেতারা একটা সুখী-সমৃদ্ধশালী-সুন্দর দেশ গড়ার জন্য ভাববো ?

ভাবনা-৩  || ২৯ জুন ২০১৩
‘ম্যান্ডেলা’র দেশ সাউথ আফ্রিকায় আছি গত ১০ দিন ধরে l এই ভদ্রলোকের বয়স ৯৫ প্রায় l অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হবার পর থেকেই পৃথিবীজুড়ে তাঁর জন্য শুভ কামনা আর প্রার্থনার নজিরবিহীন ব্যাকুলতা শুরু হয়ে গেছে l কেউ দ্বিমত করবেন না মনে হয় – ‘নেলসন ম্যান্ডেলা’ জীবন্ত কিংবদন্তি বলতে যা বুঝায় তার চেয়েও বেশী l অধিকার আদায় সংগ্রামের অপরাধে জীবনের প্রায় এক তৃতীয়াংশ তিনি কাটিয়েছেন জেলখানার অন্ধকারে l হাল ছাড়েননি কখনো শত অত্যাচারের পরও l মুক্ত হয়ে দেশবাসীকেও মুক্ত করেছেন দাসত্বের শৃংখল থেকে l বিশ্ববাসীর কাছে নিজের মর্যাদা পৌঁছে দিয়েছেন হিমালয়সম উচ্চতায় l দেশ পরিচালনায়ও অতিক্রম করেছেন সাদাদের l নিজেকে পরিণত করেছেন বর্তমান দুনিয়ার নেতাদের নেতায় l সবাইই চায় উনি সুস্থ হয়ে আবার ফিরে আসুন আমাদের মাঝে l

দুই চাকার গাড়ী সাইকেল চালানোর হাতে খড়ি হয় আমার ফনিক্স বাই-সাইকেল দিয়ে l ধরে নেয়া যায় আমাদের প্রজন্মের প্রায় সবাই চালিয়েছেন এটা l পেছনের ক্যারিয়ার/সিটেও চড়েছেন সবাই l আবার চালকের সিটের সামনের ক্যারিয়ার (পাইপ) এ চড়ার অভিজ্ঞতা যাদের আছে তারা জানেন এটা কতটা কষ্টকর l আর রাস্তা যদি আমাদের পুরান ঢাকার মতো হয়, তাহলেতো পেছনের ব্যাথা সারানোর জন্য ‘ঝান্ডু বাম’ও যথেষ্ঠ হবে বলে মনে হয়না l অবশ্য নাটক-সিনেমায় দেখে থাকবেন, নায়িকাকে সামনে বসিয়ে নায়ক গল্প শুনিয়ে প্যাডেল মারছে আর নায়িকাও হাসি মুখে মুগ্ধ হয়ে তা শুনে যাচ্ছে… সেটা ভিন্ন ব্যাপার… অভিনয় শিল্প বলে কথা… !
কিন্তু আমাদের নেতারা যে সেই নায়কের মতো আরাম সিটে বসে যুগ যুগ ধরে আম-জনতাকে সামনের সিটে বসিয়ে একের পর এক বাসী গল্পগুলো শুনিয়ে যাচ্ছে তার কি হবে ?
আমরা কি আগেই ‘পেইন কিলার’ নিয়ে বসে আছি ?
নাকি ‘পেইন প্রুফ’ হয়ে গেছি ??
ম্যান্ডেলা’র মতো নেতা না হোক, ওর কোন শিষ্যও কি আমরা পাবনা ???

শৈশব-কৈশর-যৌবন পেরিয়ে স্বদেশ পরিণত বয়সে পৌঁছেছে অনেক আগেই l
এখন আর ফনিক্স সাইকেল নয়, ফনিক্স পাখির মতো উড়াল দিয়ে চলতে চাই সমৃদ্ধির পথে l

ভাবনা-৪  || ০১ জুলাই ২০১৩

বিখ্যাত অমুসলিম পন্ডিতদের মধ্যে জর্জ বার্নাড শ, টমাস কার্লাইল, মহাত্মা গান্ধী, ফিলিপ কে. হিট্টি, এম.এন রায়, ড. মরিস বুকাইলি, ড. কিথ মূর, গ্যারি মিলার প্রমুখ ‘ইসলাম, আল কোরআন ও মুহম্মদ (সঃ)’ কে নিয়ে বেশ কিছু গবেষণা মূলক লিখা লিখেছেন l যেখানে এই মহাগ্রন্থকে অবিসংবাদিত, বিজ্ঞানময় আর সর্বগ্রহনযোগ্য হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে আর ইসলাম ও রাসুল (সঃ) কে মানবতার জন্য আশীর্বাদ হিসেবে গন্য করা হয়েছে l

ড. মরিস বুকাইলি তার বিখ্যাত ‘The Bible The Quran and Science’ এ বলেছেন, ‘The Quran does not contain a single statement that is assailable from a modern scientific point of view.’
জর্জ বার্নাড শ বলেন – ‘আমার মনে হয় এটাই একমাত্র ধর্ম – যা জীবনের পরিবর্তিত ধাপের সঙ্গে একাত্মীভূত হওয়ার ক্ষমতা রাখে । সেই কারণে প্রতিটা যুগেই আছে এর (সমান) আবেদন । আমি বিশ্বাস করি, যদি মুহাম্মাদ (সঃ) এর মতো একজন মানুষ আধুনিক বিশ্বের একনায়কের পদ অধিকার করতেন, তাহলে তিনি এমন সাফ্যলের সঙ্গে এর সমস্যা গুলির সমাধান করতে পারতেন, যা এর জন্য প্রয়োজনীয় সুখ ও শান্তি বয়ে আনত ।(Genuine Islam; vol. 1)’

আফসোস,
আমরা মুসলমানরাই এখনো সঠিকভাবে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে বুঝে উঠতে পারিনি…
ঈমানের দাবীর মর্মার্থ হৃদয়ে গাঁথতে পারিনি…
দুনিয়ার মানুষের কাছে কোরআন ও হাদীসের আলোকময় বার্তা পৌঁছে দিতে পারিনি l

ভাবনা-৫  || ০৪ জুলাই ২০১৩
ভূমধ্য সাগরের দক্ষিন-পূর্ব তীর ঘেঁষে আর নীল নদের অববাহিকায় গড়ে উঠা পৃথিবীর সবচেয়ে পুরানো মানব বসতির ইতিহাস প্রায় ৬০০০ বছর খ্রীষ্টপূর্বের l তিন লক্ষ নব্বই হাজার বর্গমাইলের মিশরের ৯৬%ই মরুভুমি l পুরো দেশের মাত্র ৫% ভূমিতেই বসবাস আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল এ দেশের ৯৯% মানুষের l গ্রীষ্মে যেমন তীব্র লু-হাওয়া বয়ে যায় লোহিত সাগরের পাড় ধরে, তেমনি আবার পশ্চিম সীমান্তে তুষার বৃষ্টিরও দেখা মেলে শীত কালে l প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি-বিজ্ঞান সবদিক থেকেই মিশরীয় সভ্যতা এক বিরাট বিস্ময় সারা দুনিয়ার কাছে ! ধন্য আমি, এ বিস্ময়ের কাছাকাছি যাবার সৌভাগ্য হয়েছে আমার কয়েকবার l

‘মিশর’ আরবী শব্দ l আর ‘Egypt’ নামটা এসেছে পৌরনিক গ্রীক ‘Aígyptos’ , ফরাশী ‘Egypte’ ও ল্যাটিন ‘Aegyptus’ শব্দত্রয়ের সংমিশ্রনে l

পঞ্চাশের দশক থেকেই আধুনিক মিশরের ইতিহাসে একনায়কতন্ত্রের সূচনা হয় জামাল নাসেরের হাত ধরে l তার যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে আনোয়ার সাদাত ও হোসনী মোবারক দেশ চালায় পশ্চিমা ধাঁচে l দূর্নীতি, নিজেদের আখের গোছানো আর কঠোরহস্তে বিরোধী দমন নিয়ে ব্যস্ত সরকারগুলোর দেশ পরিচালনায় ব্যর্থতারই ফল ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারীর ‘মিশর বিপ্লব’ l যার ধারাবহিকতায় ২০১১ সালের নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে যুগ যুগ ধরে নির্যাতিত ইসলামপন্থীরা জয়ী হয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পায় l পশ্চিমা প্রভাবান্বিত বুরোক্র্যাসী ও সেনাবাহিনীর দীর্ঘ টাল-বাহনার পর ২০১২ এর জুন মাসে ক্ষমতা গ্রহন করে প্রেসিডেন্ট মুরসি l অবাক পশ্চিমা দুনিয়া চুপ করে বসে থাকেনি l এক বছর পার হতে না হতেই যার ফলশ্রুতিতে নানামূখী ষড়যন্ত্রে রক্তাক্ত দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল ‘মুরসী সরকারে’র পতন ঘটালো তথাকথিত দেশপ্রেমিক সেনা বাহিনী, যারা গত পঞ্চাশ বছরেরও বেশী সময় ধরে স্বৈরাচারকেই সাহচর্য দিয়ে এসেছে হাজার হাজার স্বদেশীর রক্তে নিজেদের হাত রাঙিয়ে l তারাই সর্বশক্তি দিয়ে শেষ চেষ্টা করে দমাতে চেয়েছিল মোবারকের বিরুদ্ধে সংগ্রামরত মিশরীয়দের l

চক্রান্তকারীদের সাময়িক বিজয় মিশরের নব-দিগন্তে উদীয়মান সূর্যের উপর হালকা মেঘের আবরন মাত্র, যা পাল্টা-বিপ্লবের দমকা হাওয়ায় হারিয়ে যেতে পারে যে কোন সময় l

ভাবনা-৬  || ২৮ জুলাই ২০১৩

তুরস্কের অটোম্যান শাসনামলের কোন এক সময়ে এক প্রতাপশালী সম্রাট তাঁর মৃত্যুশয্যায় রাজসিংহাসনের উত্তারিধিকারী বড় ছেলেকে ডেকে নিয়ে বললেন-‘তোমাকে একটা শেষ অনুরোধ করি আমি, আশা করি নিরাশ করবেনা আমাকে l আমার মৃত্যুর পর দাফনের সময় আমার প্রিয় মোজা দুটি সাথে দিয়ে দিও, সাবধানে দিও- কেও যাতে দেখতে না পায় l’ ছেলে ভাবলো – এ আর এমন কি কঠিন কাজ ! কথা দিল সে তার বাবাকে যে কাজটা করে দেবে l বাবার মৃত্যুর পর যথারীতি নিজ হাতে দাফনের সময় সবার অগোচরে পুত্র বাবার কাফনের ভেতর মোজার ছোট্ট পুটলিটা ঢুকিয়ে দিতেই পাশেই উপস্থিত কয়েকজনের কাছে ধরা পড়ে গেল l ওরা বাধা দিল, মুরুব্বীরা তিরস্কার করল l ক্ষমতাধর হওয়া সত্বেও কোন মতেই সে কাউকে এ ব্যাপারে রাজী করাতে পারলো না l এক বাক্যে সবাই মতামত দিল, মৃত্যুর পর কাফনের কাপড় ছাড়া মূর্দা আর কিছুই সাথে নিয়ে যেতে পারবেনা l সামাজিক ও ধর্মীয় রীতির বরখেলাপ করা যাবেনা l দাফন শেষে তিনি প্রাসাদে ফিরে আসতেই প্রধান উজির একটা চিঠি দিয়ে বললো যে, মরহুম সম্রাট এটা মৃত্যুর পূ্র্বে তাকে দিয়ে আদেশ করে ছিলেন যে, তাঁর মৃত্যুর পর পরই যেন তাঁর ছেলের কাছে এটা হস্তাতান্তর করা হয় l ভাবী রাজা চিঠিটা পড়তে শুরু করলেন- ‘দেখলে তো, আমার মতো এক মহাপ্রতাপশালী রাজা মৃত্যুর পর সামান্য একজোড়া মোজাও নিজের সাথে নিয়ে যেতে পারলামনা, অথচ কতইনা ক্ষমতাশালী আর ঐশ্বর্যশালী ছিলাম আমি l শোন, সম্পদ সঞ্চয়ের পেছনে দৌঁড়ে সময় অপচয় করোনা l ততটাই সম্পদ রাখো, যতটা দরকার তোমার আর তোমার পরিবারের জন্য l বাকীটা ব্যয় করো প্রজা আর রাজ্যের জন্য – মানুষের মংগলের জন্য l’

উপরের কাহিনীটা বলছিল তুর্কী নাগরিক ওমর হাকান, জাহাজের সদ্য বিদায়ী ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার l জব কনট্রাক্ট শেষে জাহাজ থেকে নেমে আমরা একসাথেই ডারবান এয়ারপোর্ট যাচ্ছিলাম l নানান আলাপচারিতার ফাঁকে গল্পটা শোনাল সে l সদিচ্ছা থাকলে নিজেদের আয়ের ছোট একটা অংশ আমরা সমাজের জন্য, মানুষের কল্যানের জন্য খরচ করতেই পারি l

——————————
Shakhawat Hossain Komol29
সাখাওয়াত হোসাইন কমল (২৯) ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ও ২ পুত্র সন্তানের (শেহজাদ ও শেহরাজ) জনক  l স্ত্রী ফারজানা রীনা একটি বেসরকারী কলেজের অর্থনীতির প্রভাষক l স্থায়ী নিবাস চট্টগ্রাম

Share