জাহাজির গল্প – আব্দুল্লাহ-আল-মাহমুদ (৪৭তম ব্যাচ)
মনে হয় বেশিরভাগ মানুষেরই কাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর সঙ্গে প্রকৃত মৃত্যুর পরিবেশ মেলে না। কেউ হাসপাতালের বেডে মরবে ভাবে কিন্তু দেখা গেল আগুনে পুড়ে কয়লা হয়ে গেল। কেউ সড়ক দুর্ঘটনায় মরবে ভাবে কিন্তু হার্ট অ্যাটাকে মারা যায়। কেউ বা বৃদ্ধ হয়ে বা নানা-দাদা হয়ে মরতে চায় কিন্তু বিয়ের আগেই পটল তোলে।
প্রতিদিনের মতো আজও অর্ক এক্সারসাইজ করে বাইরে এসে বসল। জাহাজে থাকার একটা ভালো দিক দুর্গন্ধ-ধুলাবালিবিহীন মাঝ দরিয়ার একদম ফ্রেশ বাতাসে সব সময় ফুসফুসটা ভরে রাখা যায়। অর্কর বিশ্বাস এই নির্মল বাতাসের জোরেই জাহাজিরা জাহাজে এসে অসুস্থ হয় না সহজে।
অর্ক মার্চেন্ট জাহাজের একজন ক্যাডেট (ট্রেইনি অফিসার)। ও এখানে একমাত্র বাংলাদেশি, বাকিদের বেশিরভাগ ইন্ডিয়ান, ফিলিপিনো, একজন রাশিয়ান আর একজন টার্কিশ। অর্কর বাড়িতে বাবা ছাড়া মা, বোন, বড় ভাই-ভাবী সবাই আছেন। বাবা গত হয়েছেন ও একাডেমিতে থাকাবস্থায় সেই ২০১৮ তে।
অর্ক একাডেমিতে যখন জয়েন করেছিল সে সময় ওর ওজন ৯২ কেজি! কিন্তু ট্রেনিং শেষে পাসিং আউটের সময় ৫ ফিট ১০ ইঞ্চির অর্কর ওজন ৭৩ কেজিতে নেমে এসেছিল! শুধু যে সিনিয়রদের বরাতেই কমেছে তেমন নয়, মেরিনারদের ফিটনেসের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সিনিয়রদের কথাগুলো উপলব্ধি করে অর্ক নিজে সিনিয়র হবার পরেও নিয়মিত এক্সারসাইজ করেছে ফিটনেসের জন্য। জাহাজে এসে যদিও প্রথম কয়েক মাস নিয়মিত এক্সারসাইজ করার সুযোগ হয়ে উঠেনি। তবে এখন অর্ক নিয়মিত এক্সারসাইজ করে জাহাজের জিমনেশিয়ামে। প্রথম দিকে যে কোনো জাহাজে ‘টালটু’ একটু বেশি থাকে কিনা!
অর্কর সঙ্গে আরও একজন ডিউটির পর জিমনেশিয়ামে আসে, নাম কেভাল, হাসিখুশি এক গুজরাটি। কেভাল হলো ইঞ্জিন অফিসারদের একজন সহকারী যাদেরকে জাহাজে বলা হয় অয়লার বা মোটরম্যান। কেভাল আর অর্ক প্রায়ই এক্সারসাইজের পর গ্যাংওয়েতে বসে বুক ভরে বিশুদ্ধ বাতাস নিতে।
কেভাল আজ আসেনি এক্সারসাইজ করতে। খাটুনি বেশি হওয়ায় হয়ত ক্লান্ত। অর্ক অবশ্য প্রতিদিনের মতো আজও ঘাম ঝড়িয়ে একা একাই গ্যাংওয়েতে বসেছে। আকাশে আজ পূর্ণ চাঁদ। পাঁচ মিনিটেই মন-প্রাণ জুড়িয়ে যায় এমন পূর্ণিমা রাতে নিশ্চুপ সমুদ্র আর নির্মল বাতাসের মাঝে বসলে। মন থেকে আপনা-আপনি স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা চলে আসে।
কেবিনে ফিরে যাবার সময় কী মনে করে অর্ক রেলিংয়ের কাছে গিয়ে দাঁড়াল। তির-তির করে প্লাস ক্যারিবিয়ান সি’র নোনাজল কেটে জাহাজ এগিয়ে চলেছে ব্রাজিলের দিকে। ওরা আমেরিকার নিউ অরলিন্স থেকে রওনা দিয়েছে প্রায় ১০ দিন হলো। আরও নয় দিনের পথ বাকি এখনও। অর্ক একটু ঝুঁকে দেখছিল পানিতে চাঁদের আলো কীভাবে জাহাজের সাথে ধাক্কা খাচ্ছে অবিরত। হঠাৎ করেই এক তীব্র দুলুনিতে অর্ক অকূল দরিয়ায় ছিটকে পড়ল!
জাহাজ থেকে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে কেউ সমুদ্রে পড়ে গেলে দেখা মাত্রই লাইফবয়া ছুড়ে দিয়ে ‘ম্যান ওভারবোর্ড’ ‘ম্যান ওভারবোর্ড’ বলে চিৎকার করতে হয়। সঙ্গে সঙ্গে ডিউটি অফিসারকেও জানাতে হয় যেন জাহাজ ঘুরিয়ে ওভারবোর্ড হওয়া ক্রুকে উদ্ধার করতে পারে। জাহাজে নিয়মিত ড্রিলও হয়ে থাকে এসব নিয়ে। অর্কর জাহাজে তো গত সপ্তাহেই ‘ম্যান ওভারবোর্ড’ ড্রিল করেছে ওরা। কিন্তু এই সন্ধ্যাবেলা জাহাজের কেউই তো দেখেনি, কেউই তো জানে না অর্ক ওভারবোর্ড হয়েছে! ‘ম্যান ওভারবোর্ড’ বলে চিৎকার করে লাইফবয়া ছুড়ে দেবে কে? অর্ক কি তাহলে এমন পূর্ণিমা রাতে হাজার-লক্ষ তারাকে সাক্ষী রেখে মহাকালের মাঝে বিলীন হয়ে যাবে? ওর তো আজীবনের ইচ্ছা ছিল বিদায়ের সময় ওর প্রিয়জনেরা সবাই পাশে থাকবে…
অর্ক যখন ওভারবোর্ড হয় তখন সন্ধ্যা প্রায় সাড়ে ৭টা। ওদের জাহাজটা ইউএমএস। ইউএমএস হলো আনঅ্যাটেন্ডেন্ট মার্সিনারি মেশিনারি স্পেস অর্থাৎ জাহাজের ইঞ্জিনরুমে কাউকে ডিউটিতে না রেখে জাহাজ তথা ইঞ্জিনরুমের সব মেশিনারি চালানো। ইউএমএস শিপে ইঞ্জিন ডিপার্টমেন্টের সবাই নরমালি ৮টা-৫টা ডিউটি করে। বিকেল ৫টায় কাজ শেষে ইউএমএস অ্যাকটিভ করে দেয়। এরপর আবার রাত ৯টায় ডিউটি ইঞ্জিনিয়ার মোটরম্যানসহ ১ ঘণ্টার ‘ইউএমএস রাউন্ড’ নেয়। ইউএমএস অ্যাকটিভ থাকা অবস্থায় ইঞ্জিন রুমে কোনো সমস্যা হলে ডিউটি ইঞ্জিনিয়ারের কেবিনে অটোমেটিক এলার্ম বেজে ওঠে। আজ ফোর্থ হলো ডিউটি ইঞ্জিনিয়ার, রাত ন’টায় অর্কর রাউন্ড তার সঙ্গে…
এমন মায়াবী পূর্ণিমা রাতে অর্ক জলে ভাসছে! এটা কি সত্যি নাকি কল্পনা অর্ক ভেবে পায় না। নাহ কল্পনা নয়, সত্যি সত্যিই অর্ক অসীম নীল দরিয়ায় একটা পিঁপড়ার মতো ভাসছে। খুব নার্ভাস লাগছে, ভয়ে গলা শুকিয়ে আসছে। এত বিশাল সমুদ্রে অর্ক একা! এই বুঝি কিছুতে এসে পা টান দিলো!
ছোটবেলায় অর্ক একটা গল্প পড়েছিল। মা পাখি তার ছানাকে বাসায় রেখে যাবে খাবারের জন্য। যাবার আগে মা বার বার সাবধান করে যায় কিছুতেই নিচের নদীর মাছদের কথা না শুনতে, বিশ্বাস না করতে। ছানা সুবোধের মতো মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দিলে মা চলে যায়। ওদিকে মা পাখি চলে যাবার পরেই নিচ থেকে টেংরা, বোয়াল, চিতল ইত্যাদি মাছ পাখির ছানাকে বলে নিচে নেমে আসতে। বলে যে, পানিতে অনেক মজা, অনেক আরাম! ছানা বলে, ‘না না, আম্মু আমাকে নিষেধ করেছে নিচে যেতে, তোমাদের কথা শুনতে। নিচে আসলেই তোমরা আমাকে মেরে ফেলবে।’ কিন্তু মাছেরা ঠিকই মিথ্যা বলে, ছলচাতুরি করে ছোট্ট ছানাটাকে পানিতে নামিয়ে আনে! এরপর ট্যাংরা খোঁচা দেয়, বোয়াল হা-করে ভয় দেখায়। ছানাটার ভয়ে জান উড়ে যাবার অবস্থা। পরে সময়মতো মা পাখি এসে উদ্ধার করলে ছানাটা মায়ের কাছে ক্ষমা চায় নিজের ভুল বুঝতে পেরে, মায়ের কথা না শুনার পরিণাম বুঝতে পেরে।
পানিতে পড়ে হঠাৎ ছোটবেলার গল্পটা মনে পড়লো অর্কর। সেই কত বছর আগে পড়েছিল! ওরও এখন সেই পাখির ছানার মতো অবস্থা। বরং এখানে টেংরা, কাতল, বোয়ালের বদলে আছে হাঙর, তিমি আর অজানা কত প্রাণী। পাখির মায়ের মতো সময়মতো কেউ কি ওকে উদ্ধার করতে আসবে?
অর্ক ধীরে ধীরে মনে করার চেষ্টা করছে, ওভারবোর্ড হলে কী কী করতে হবে। প্রথমত, প্যানিকড হলে চলবে না, শান্ত থাকতে হবে। মনোবল হারানো যাবে না। দ্বিতীয়ত, বেশি দাপাদাপি করে এনার্জি নষ্ট করা যাবে না। চুপচাপ ভেসে থাকতে হবে হাত-পা যতটা সম্ভব কম নড়াচড়া করে। তৃতীয়ত, ভুলেও সমুদ্রের লবণাক্ত পানি পান করা যাবে না। লবণাক্ত পানি পান করলে তৃষ্ণা তো মিটবেই না বরং বার বার প্রস্রাব হয়ে ডিহাইড্রেশন হয়ে তাড়াতাড়ি মরতে হবে। অর্কর মনে পড়ল আজ সি-ওয়াটার টেম্পারেচার ছিল ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভাগ্যিস ১০/১২ নয়, তাহলে দ্রুত হাইপোথারমিয়ায় মরতে হতো।
অর্ক আকাশের দিকে তাকাল, কত হাজার হাজার তারা জ্বলজ্বল করছে। খুব দ্রুতই ও তারাদের সঙ্গে মিলিত হবে হয়ত। সেই ছোটবেলা থেকে আজ অবধি সবকিছু অর্কর চোখের সামনে সিনেমার মতো ভেসে উঠছে। অথৈ জলে ভেসে ভেসেই ও যেন হেঁটে যাচ্ছে স্কুলে, কলেজে সিগারেট ফুঁকছে, অ্যাকাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে ফ্রন্টরোল-সাইডরোল দিচ্ছে! দেখতে পাচ্ছে ছোট্ট ভাতিজা-ভাগ্নিদের মায়ামুখ, মায়ের পবিত্র চেহারা, ভালোবাসার প্রেমিকার হাসিমুখ, কপালের টিপ, চোখের কাজল। স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছে বাবার দরাজ গলা, ভাই-বোনের হাসাহাসির শব্দ।
চোখ খুলে আবার তারাদের দিকে তাকাল। বাবা কি তারা হয়ে ওর অপেক্ষায় চেয়ে আছে সেই ২০১৮ থেকে? নিঃসঙ্গ-একাকী বাবার একাকীত্ব আজ ঘুচবে কি…?
রাত ৯টা বেজে ৫ মিনিট। ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার ঠিক ন’টায় এসেই ইঞ্জিনরুম ‘ম্যানড’ করেছে। অর্কই সবসময় আগে এসে থাকে কিন্তু আজ এখনো কেন আসছে না ভেবে ওর কেবিনে ফোন দিল ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার। কিন্তু পরপর দুবার ফোন দিয়েও ওকে পেল না। এরপর মেসরুমে ফোন করেও অর্ককে পাওয়া গেল না। জাহাজে মাত্র ২০-২২ জনের একটা পরিবার। সচরাচর কেবিন, মেসরুম আর ডিউটির জায়গায়তেই সবাইকে পাওয়া যায়। ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার ব্রিজে ফোন করে ব্যাপারটা জানাল যেন ক্রুদের মাস্টার স্টেশনে আসার জন্য অ্যানাউন্স করা হয়। মাস্টার স্টেশন হলো জাহাজের যে কোনো ইমার্জেন্সিতে সবার কমন সম্মেলন স্থান।
অ্যানাউন্সমেন্টয়ের দুই মিনিটের মধ্যেই সবাই হাজির হলো মাস্টার স্টেশনে একসেপ্ট অর্ক!! ওকে শেষবার জাহাজের সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার জিমনেশিয়ামে দেখেছে বলে জানাল। এরপর কেভাল জানাল যে ওরা প্রতিদিন ওয়ার্ক আউট করে বাইরে বসে হাওয়া খেতে। আজ কেভাল যেহেতু আসেনি সেহেতু অর্ক হয়ত একাই গিয়েছিল আর কোনোভাবে ওভারবোর্ড হয়েছে।
কেভালের কথাকেই সবাই বেশি যৌক্তিক আর বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করল। ওরা সন্ধ্যা ৭টা সাড়ে ৭টা নাগাদ কেবিনে ফিরত বলেও জানায় কেভাল।
জাহাজের গতির হিসেব হয় নটিক্যাল মাইলে, ১ নটিক্যাল মাইল= ১.৮৫২ কি.মি। অর্কর জাহাজের গতি ঘণ্টায় ১৪ নটিক্যাল মাইল। সে হিসেবে অর্ক যদি ৭টায় ওভারবোর্ড হয়ে থাকে তাহলে ওরা প্রায় ৩০-৩৫ নটিক্যাল মাইল দূরে চলে এসেছে সোয়া ২ ঘণ্টায়। ক্যাপ্টেন তৎক্ষণাৎ জাহাজ ঘুরানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে আসা ফেনিল রেখা ধরে এগিয়ে চলল…
অর্ক মনে মনে একটু বাঁচার আশা পাচ্ছে আজ ওর ইউএমএস রাউন্ড ছিল বলে। ও জানে ন’টার রাউন্ডে না গেলেই সবাই ওর খোঁজ করবে আর হয়ত জাহাজ ফিরে আসবে ওকে উদ্ধারে। কিন্তু এতক্ষণ কি ও টিকে থাকতে পারবে? এত বিশাল সমুদ্রে মাঝরাতে ওর মতো পিঁপড়াকে খুঁজে পাবে? অর্ক দীর্ঘ জীবন নিয়ে অনেক বেশি আশাবাদী ছিল সবসময়। প্রথম জাহাজে এসেই এভাবে একা একা অতল দরিয়ায় মরতে হবে সেটা ও দুঃস্বপ্নেও ভাবেনি। অন্য মানুষেরাও কি ভাবে যে সে কবে কীভাবে মারা যাবে? মনে হয় বেশিরভাগ মানুষেরই কাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর সঙ্গে প্রকৃত মৃত্যুর পরিবেশ মেলে না। কেউ হাসপাতালের বেডে মরবে ভাবে কিন্তু দেখা গেল আগুনে পুড়ে কয়লা হয়ে গেল। কেউ সড়ক দুর্ঘটনায় মরবে ভাবে কিন্তু হার্ট অ্যাটাকে মারা যায়। কেউ বা বৃদ্ধ হয়ে বা নানা-দাদা হয়ে মরতে চায় কিন্তু বিয়ের আগেই পটল তোলে।
অর্কও চেয়েছিল অর্পিতাকে বিয়ে করে সুন্দর সংসার করে নাতি-পুতির মুখ দেখে মরবে। এ নিয়ে কতদিন কত স্বপ্নের কথা বলেছে অর্পিতার সঙ্গে… কিন্তু এই ছিল বাস্তবতা সেটা যদি কেউ জানত! ওর এত স্বপ্নের জাহাজই ওকে পরপারে নিয়ে যাবে যদি বুঝত তাহলে হয়ত কোনদিন জাহাজিই হতো না। তবুও অর্ক আশায় আছে, ও বাঁচবে, ওর জাহাজ ফিরে আসবে…
রাত প্রায় ১টা! ক্যাপ্টেন তন্নতন্ন করে খুঁজে চলেছে। রেসকিউ বোট নামিয়েও খুঁজে দেখা হচ্ছে কিন্তু কোথাও কারো অস্তিত্ব চোখে পড়ছে না। অর্ককে খুঁজে পেতে কোনো চেষ্টারই ত্রুটি করছে না কেউ। কিন্তু কোথায় সবার প্রিয়, সর্বদা হাসিখুশি সে ক্যাডেট? গত ২ ঘণ্টা ধরে জাহাজ সামনে পিছে ডানে বামে করে অবিরাম ওকে খুঁজছে। অবশেষে রেসকিউ বোট থেকে ব্রিজের ওয়াকিটকিতে খুশির চিৎকার শোনা গেল।
সামান্য দূরেই ওরা একজনকে ভেসে থাকতে দেখতে পাচ্ছে। ক্যাপ্টেনসহ জাহাজের সবাই আনন্দে ফেটে পড়ল। কিন্তু এ আনন্দ মিলিয়ে গেল কিছুক্ষণ পরেই যখন আবার জানানো হলো, অর্ক এ পৃথিবীতে ওর সমস্ত স্বপ্ন অপূর্ণ রেখেই ওর বাবার একাকীত্ব ঘুচাতে চলে গেছে আকাশের দিকে মুখ করে…
প্রকাশিত: নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম https://www.newsbangla24.com/art-literature/121440/
লেখক: এক্স-ক্যাডেট, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি (৪৭তম ব্যাচ)
Recent Comments