[নোঙর 2016] এলেবেলে : মোঃ আরিফ রায়হান (২৪)

[নোঙর 2016] এলেবেলে : মোঃ আরিফ রায়হান (২৪)

আমি লিখি । পাঠক তা পড়ে। নিজের কাছেই আশ্চর্য লাগে। কতজন আমার লেখা পড়েছে জানি না – বিশ্বাস যে আমার সহপাঠীরা আমার লেখা এড়িয়ে যায় নি। সংখ্যা দিয়ে জনপ্রিয়তা মাপা যায়, গণতন্ত্র পরিমাপ করা যায়, কিন্তু লেখার গুণ বিচার করা যায় না। অনেক দিন আগে সোভিয়েত ইউনিয়নে গণভোট হয়েছিল, “ঈশ্বর আছেন কি-  নাই ”- সেই গণভোটে ঈশ্বর মাত্র ১টা  ভোট পান।

যাক সে কথা । যারা বিদ্বান, জ্ঞানী- গুণী, তারা মূর্খদেরকে এড়িয়ে চলেন না। এবারও এলেবেলে লিখছি। বন্ধু টুটুল লেখা রসময় আর বড় করার তাগাদা দিয়েছে। মনের মধ্যে কত কথা, কত সুর। অল্প কিছু হাসি-কান্না, বাকী টুকু হীরা পান্না। কোনটা রেখে কোনটা লিখি। আজকের লেখায় কোন নতুনত্ব নেই। অনেক পুরনো কথা। পিরামিডের মত পুরাতন। আমরা তখন সিংগাপুরে ছাত্র জীবন কাটাচ্ছি। আমার সাথে তাঁর দেখা হলো Hill View Avenue এর বাস স্টপ এ। মধ্য দুপুরে। কীভাবে আমাদের পরিচয় হলো-আজ খেয়াল নেই-তবে আমি বুক ভর্তি মুগ্ধতা নিয়ে বাসায় ফিরেছিলাম । তাঁর নাম, ধরা যাক প্রিসিলা। নয়ন কাড়া সৌন্দর্য্য তার ছিল না, ছিল মনকারা দ্যুতি। শারীরিক গঠন যতটুকু না হলেই নয়-ততটুকু। আমাদের নিজেদের মধ্যে বাসস্থানের ঠিকানা বিনিময় হলো- ঠিক হলো প্রিসিলা আমাদের বাসায় আসবেন। প্রিসিলা ধর্মীয় উপসনালয়ের সদস্য। তাঁর বিশ্বাসের কথা সবার মাঝে বলতে চায়। মানুষের মাঝে আলো ছড়াতে চায়। আমরা বিদেশের মাটিতে পড়াশুনা করতে এসেছি, পরিবার-পরিজন ছাড়া। বিড়াল নরম মাটি পেলে একটু আঁচড় দিবেই। প্রিসিলার খুব ইচ্ছা, সে তাঁর বিশ্বাসের কথা আমাদের সাথে শেয়ার করবে, আমরা মনে শান্তি পাবো -আমাদের দেহ-মন আলোকিত হবে। ইত্যাদি

আমাদের অবস্থা বুঝুন। আমরা এক পড়াশুনা ছাড়া কিছু বুঝি না । পড়াশুনা অন্তপ্রাণ। সপ্তাহের শেষে বেডক্ ঘুরে আসি, হিন্দি ফ্লিম দেখি-ঐ এক বিনোদন। এর মাঝে প্রিসিলার আমন্ত্রণ। তাঁর সাথে আমাদের ধর্মের তুলনামূলক আলোচনা হয়। আমরা মন দিয়ে শুনি, বুঝি। কিন্তু কোন, কিনারা পাই না। ধর্মের কিনারা কে কবে পেয়েছে? আলোচনার ২/৩টি Sitting এর পর আমরা যে যার পথ দেখলাম। সর্বশেষ যা সিদ্ধান্ত হলো, আমাদের বিশ্বাস এক, কিন্তু ধর্ম যার যার, তার তার। আমরা যেন সবাই এক হয়ে বিশ্বমানবতার জন্য কাজ করে যাই।

সিঙ্গাপুরে প্রিসিলার chapter এখানেই শেষ। জীবন বহমান। সময় সে তো চোখের পলকের মত। ৩/৪ বছর আগের কথা একটা মেইল পেলাম প্রিসিলার কাছ থেকে। বিয়ে করেছে। স্বামীসহ বাংলাদেশে ঘুরে গেছে, বাংলাদেশে কোন এক প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণে তার স্বামী সহ। মেইল এ বাংলাদেশ সমন্ধে অনেক কথা । বেশীর ভাগই মানুষ সমন্ধে। বাংলাদেশের মানুষ অনেক ভালো । দাম সস্তা ভালো খাবার আর ভালো কাপড়। পরের বার বাংলাদেশে আসলে আমাকে জানাতে বলে মেইল দিলাম। আর সিংগাপুর গেলে আমি তাঁর সাথে কথা বলবো, দেখা করবো । আমরা আজকাল অনেক কিছু পড়ি, শুনি। “কি করে ধনী হবে ”-“কি করে নোবেল প্রাইজ পাবে”- “কি করে বন্ধুকে জয় করবে”- এ ধরণের বইয়ের অভাব নেই বাজারে। আমার এই এলেবেলে লেখা বড়ই এলোমেলো। প্রিসিলা, জানতে পারলাম একজন ক্যান্সার রোগী। ৩ বছর থেকে। একজন তরুনী/ একজন ক্যান্সার রোগী তাকে কী ভাবে হ্যালো বলতে হয়, বা তাঁকে কি বলে সান্তনা দিতে হয়-সেই কৌশল আর ভাষা জানার আমার খুব ইচ্ছা। প্রিসিলা, সারাটা জীবন উপসনালয়ের সেবা করেছে। কর্মের জন্য, জীবিকার জন্য কোন পড়াশুনা করে নাই। যেটুকু পড়াশুনা – সে উপসনার পড়াশুনা। প্রভু অন্তপ্রাণ। প্রভুর জন্য জীবন। প্রিসিলার বড়ই ইচ্ছা সে “মা” হবে। কিন্তু তা হবার নয়। প্রাণে বেঁচে থাকার সংগ্রামে লিপ্ত এক নারী কীভাবে সন্তান ধারণের আশা করবে। যখন এমন কথা শুনি-মনে হয় সারাটা সিংগাপুর সাহারার মত বালুকাময় হয়ে যাক-তবু প্রিসিলা যেন “মা” হবার মুখ থেকে বঞ্চিত না হয়।

চিকিৎসা বিজ্ঞান উন্নত হচ্ছে। আমরা প্রগতির পথে সামনে এগিয়ে যাচ্ছি। তাই-ই যদি হয়, তবে আমরা কষ্টকে জয় করতে পারছি না কেন? মৃত্যু অবধারিত । জন্মালে মরতে হবে । কিন্তু মৃত্যু- যন্ত্রণা, কষ্ট কেন আমাদের পিছু ছাড়ে না । প্রিসিলা, আমাকে লিখেছে কেমোথেরাপী পরবর্তী শারীরিক ও মানসিক কষ্ট – তাঁকে প্রভুর সান্নিধ্য পেতে সাহায্য করছে। সে আজীবন প্রভুর কাছে প্রার্থনা করেছে-প্রভুর সান্নিধ্যের জন্য। সেই সান্নিধ্য সে পায় রোগের কষ্টের মধ্যে। কষ্টের প্রান্ত সীমায় দাঁড়িয়ে , যখন প্রভু ছাড়া কোন গতি থাকে না, তখন সর্বভক্তিসহ, ঐকান্তিকতাসহ , সর্বাঙ্গীন আত্মসমর্পণ সহ প্রভুকে ডাকা আর পাওয়ার মাঝে কষ্ট দূর হয়। আমরাতো অন্নাভাব, বস্ত্রাভাব সব জয় করে ফেলেছি। কত কত গধপযরহব দিয়ে শারীরিক শ্রম কমিয়ে ফেলেছি। কিন্তু মানবিক কষ্ট , আত্মার কষ্ট-তাকে জয় করবো কিভাবে? কোন মহাজন তিনি , যিনি বলেছেন,“যতক্ষণ কষ্টে থাকি , মনে হয় বেঁচে আছি”। কষ্ট-আমাদেরকে শুদ্ধ করে, পবিত্র করে, প্রভুর উপস্থিতিকে আত্মার মাঝে প্রকাশ করে। আমরা কি দুখু মিয়াকে জানি না। দুঃখ আর কষ্ট, আজীবন কাজী সাহেবের সঙ্গী ছিল-তাই কি তিনি অজর-অমর গান লিখেছেন । প্রিসিলা-এই লেখা লিখতে লিখতে তোমার মুখ আমার সামনে ভাসছে-তোমার জোছনায় আলোকিত মুখ-যার অতি সঠিক বর্ণনা দিয়েছেন কাজী সাহেব।

“আমি জাহান্নামের আগুনে বসিয়া হাসি পুষ্পের হাসি।”

কেমোখেরাপী পরবর্তী শারীরিক আর মানসিক কষ্ট কি জাহান্নামের আগুন সম?

প্রিসিলা, তোমার মুখে পুষ্পের হাসি। তুমি প্রভুর অতি কাছের জন। তোমারতো অন্নের অভাব নেই, বস্ত্রের অভাব নেই। খৃষ্ট কি সর্বাপেক্ষা সত্য কথা বলেন নি, “মানুষ শুধু রুটি খেয়েই বেঁচে থাকে না। প্রভুর করুণাই, মানুষের প্রধানতম আশ্রয়।” তুমি প্রভুর করুণার মাঝেই আছো। প্রভুর দয়া আর করুণার মাঝেই তোমার মুক্তি। উষার আলোয় তোমার মুক্তি। বিদ্যুৎ ঝলকের আলোয় তোমার প্রভুর সান্নিধ্য। সকল দুঃখ কষ্ট, পায়ে ঠেলে কঠিন কষ্টের মাঝে তোমার মুক্তি।

কষ্টের প্রান্তসীমায় দাড়িয়ে দয়াময়ের কোলে স্থান পেয়ে শুধুই মনে হয় “সবই বৃথা, সবই মিথ্যা” তাহলে সত্য কী? সত্য এক প্রভু।

সত্য এক ইশ্বর। এই যে, আমাদের চারিদিকে এত এত কর্মযঞ্জ। নিজের কর্মকেই নিজের জীবনের চেয়ে বড় মনে হয়। অহংকার দানা বাধে মনের মাঝে। এটা করেছি, ওটা করেছি, পাহাড় চুড়ায় বাড়ী বানিয়েছি-নিজের কর্ম থেকে ফল পাচ্ছি–সেটা গোটাটাই মিথ্যা। সেটা ভ্যানিটি-সেটা প্রাইড। আর এই ভ্যানিটি, প্রাইড নিয়ে খৃষ্ট বলেছেন …………………
“ভ্যানিটি অব্ ভ্যানিটিজ, অল ইজ ভ্যানিটি”
অহংকার অন্তসারশূণ্য, সবকিছু শূণ্য সর্বস্ব।

প্রিসিলা, তুমি কী জার সম্রাট  নিকোলাসের নাম শুনেছো? সারা ইউরোপে, নিকোলাস ছিলেন সবচেয়ে বড় সাম্রাজ্যের মালিক। সবচেয়ে প্রতাপশালী, সবচেয়ে বিত্তশালী। সম্রাট নিকোলাসের গুণগান না গাইলে আমার গর্দান যাবে না, আমাদের জন্য এটুকু জানাই যথেষ্ট যে, নিকোলাসের কোন কিছুর অভাব ছিল না।

সেই জার সম্রাট নিকোলাস রোগাক্রান্ত হয়ে কী প্রার্থনা করেছে-
“কাতরে কাটাই সারা দিনমান
কাঁদিয়া কাটাই নিশা।
সহি, দহি ডাকি, ভগবানে আমি
শান্তির নাহি দিশা”

কী আন্তরিকতা আর হৃদয়ের গভীরতম প্রকোষ্ট থেকে উঠে আসা কাতরতা নিয়ে প্রার্থনা। ঐ জার রাজার কথা থাক। বাইবেলের করহম উধারফ এর কথা বলা যাক। পবিত্র কুরআনে যাকে দাউদ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ঈশ্বরের বড়ই প্রিয়ভাজন ছিলেন তিনি। তিনি এক দিন অন্তর অন্তর উপবাস করতেন ঈশ্বরের সন্তুষ্টির জন্য। তিনি যখন পবিত্র গ্রন্থ থেকে আবৃত্তি করতেন, তাঁর চারপাশের সমস্ত প্রাণীসকল সেই আবৃত্তি মুগ্ধমনে শুনত। এ সবতো গেলো তাঁর আধ্যাত্মিক দিকের কথা। তিনি ছিলেন প্রবল পরাক্রান্ত বাদশাহ। সেই পরাক্রান্ত করহম উধারফ ও কষ্টে জর্জরিত হয়ে প্রভুর কাছে প্রার্থনা করেছে-

“Why standest thou afar off, O lord?
Why kindest thou thyself in times of trouble?”

–    প্রভু, তুমি কোথায়? কত দূরে? কত দিন ধরে, এমনি করে ভুলে রবে প্রভু?

প্রিয় প্রিসিলা, আমরা যখন সবাই তোমাকে ভালাবাসা দিব, আবার তোমরা যখন সবাই আমাদেরকে ভালবাসবে, শুধু মাত্র প্রভুর সন্তুষ্টির জন্য, তখন আমাদের সকলের জায়গা হবে প্রভুর হৃদয়ে আর আমাদের সকলের হৃদয় ভরে যাবে আরব্য সুগন্ধিতে। কষ্ট কী বিষন্ন বিষয়? কষ্টের সময় কী আমরা শুধুই প্রভুর পদপ্রান্তে আশ্রয় চাইবো? পার্থিব চেষ্টা কি বৃথা তবে।

মহাপুরুষ মোহাম্মদ (দঃ) প্রায়ই বলতেন, “সর্ব অবস্থায় এক প্রভুর উপর নির্ভর রেখো।” এক বেদুইন তঁকে শুধালো, তবে কি, হুজুর আমার উটগুলোকে দড়ি দিয়ে না বেঁধে মরুভূমিতে ছেড়ে দিব- আল্লাহর উপর নির্ভর করে? রাসুল (সঃ) বললেন- “না, দড়ি দিয়ে খুঁটিতে বেঁধে, প্রভু আল্লাহর উপর নির্ভর রাখবে।”

উট বাঁধার পরে তো ঝড় আসতে পারে, দড়ি কেটে উট চুরি হতে পারে, অবোধ্য দুর্বিপাক আসতে পারে, এ সবের জন্য প্রভু আল্লাহর উপর নির্ভর করতে হবে।

প্রিসিলা, তুমিতো এ জগতের সবচেয়ে ভালো চিকিৎসালয়ে কান্সার এর সাথে যুদ্ধ করছো- তোমার নিজের আর তোমার কাছের মানুষদেরকে চেষ্টার কোন ত্রুটি নেই, কিন্তু সে চেষ্টা কতটুকু? যতটুকু প্রভু আমাদের সামর্থ্য দিয়েছেন ততটুকুই। Men proposes and God disposes. এটা কি ঠিক? মানুষ আশা করে, পরিকল্পনা করে আর প্রভু ফয়সালা করেন। আমরা মানুষরা ভুল আশা করি, ভুল পরিকল্পনা করি, কিন্তু প্রভু আমাদের জন্য যা কিছু সঠিক সেটাই বাস্তবায়ন করেন।

প্রিয় প্রিসিলা, জানি না এতক্ষণ আমি তোমাকে কী বোঝাতে চেয়েছি। বুদ্ধির ব্যাপার অন্যেকে বুঝানো  তেমন কঠিন নয়। কিন্তু অনুভূতির জিনিস অন্যকে বোঝানো, অন্যের মধ্যে সঞ্চারিত করতে পারা-সাধনার ব্যাপার।

তুমি সাহস ধরো। সাহস রাখো। সর্ব কষ্ট, সব গ্লানি পায়ে ঠেলে তুমি জয়ী হবে, বিপুল গৌরবে, দয়াময়ের অসীম কল্যাণে।

প্রিয় পাঠক, ক্ষমা করবেন। এলেবেলে লিখতে যেয়ে কী যে লিখলাম। তবে মনে কিঞ্চিত আশা আছে, আমার সমবয়সী পাঠকরা লেখা পড়ে হতাশ হবেন না। সময় কী আমাদের জীবনে আসে? না সময় আমাদের জীবন থেকে চলে যায়? আমাদের জীবনটি এক টুকরা বরফ না?

ধর্ম মানুষের এক বিরাট অবলম্বন। দয়াময় সৃষ্টিকর্তা মানুষের আদি, অকৃত্রিম আশ্রয়। তোমার কল্পনা, তোমার কাজ, তোমার বিবেক যখন দয়াময়ের বিধানের সাথে মিলে যাবে, তখন তুমি অমিত সাহসী হবে। সাহসী যারা হয় দুঃসময়ে, তারা শক্তিশালী আর সুখী।

আমার ৮ বছরের ছেলেকে নিয়ে স্কুল থেকে ছুটির পর রিকশায় বাড়ী ফিরছি। তার ক্লাসে আজকে তার এক বন্ধুর বার্থডে উদযাপন হয়েছে। ক্লাসের সবাইকে কেক, চকলেট দিয়ে আপ্যায়ন করেছে। এখন আমার ছেলের আবদার তার বার্থডে বয় বন্ধুকে কিছু একটা গিফট দিতে হবে পরদিন। ঠিক ঐ সময়ই আমাদের পাশ দিয়ে এক কলাওয়ালা ঝাকাভর্তি পাকা কলা নিয়ে যাচ্ছিল। আমি বললাম আগামীকাল তুমি এক কাদি পাকা কলা, তোমার বন্ধুকে গিফট দাও, আমি এখন কিনে দেই কলাওয়ালার কাছ থেকে।

আমার ছেলে আমার প্রস্তাবে নারাজ। সে বললো, তোমার শৈশবে তুমি তোমার বন্ধুকে কলা দিয়েছো, সেটা ঠিক ছিলো। কিন্তু আমার শৈশবে কলা গিফট হিসেবে অচল। গিফট হিসেবে অন্য কিছু কিনে দিতে হবে। এখন আমি ভাবছি আমার এই এলেবেলে না, অচল কলার মত হয়ে যায়।
——————-

Arif-Rayhan 24

মোঃ আরিফ রায়হান (২৪): জন্ম গাইবান্ধায়। কাজ করছেন প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে। বিবাহিত জীবনে এক কণ্যা আর এক পুত্র সন্তানের জনক। ভালবাসেন পড়তে, গান শুনতে, বাচ্চাদের সাথে সময় কাটাতে। বিশেষ আগ্রহ আছে ইতিহাস আর সুফিবাদে।

Share