[ নোঙর 2016 ] নোনা জলে বন্দী : ইফতেখার হাসনাইন (২৯)
চোখের একদম সামনে দিয়ে বিশাল মাস্তুল মেলে কর্ণফুলি মোহনা অতিক্রম করা প্রকান্ড জাহাজগূলো জানিনা কতো অসংখ্যবার আমারই অজান্তে আমাকে চুরি করে নিয়ে গেছে সীমাহীন সাগর-মহাসাগরে। আমার সেদিনের কিশোর মনের গভীর কল্পনার রঙে রঞ্জিত সেই সুনীল আটলান্টিকের সঙ্গে আজকের আটলান্টিককে মেলাতে পারি না কিছুতেই।
আমার পেশার বিশ্বগত সম্পৃক্ততার কারণে অপূর্ব বৈচিত্রে ঘেরা এ জীবনের বিচিত্র রূপ উপলব্ধি করার সুযোগ পেয়েছি। বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যে প্রগাঢ় এক চেতনা বোধ আমার ভেতরটাকে আন্দোলিত করে তা হলো, মানুষকে মানুষ হিসাবে ভাবতে শেখা।
১৯৯৫ সালের শেষ সপ্তাহ। ক্যারিয়ারের ঊষালগ্ন। শিক্ষানবিশ হিসেবে বাংলাদেশি মালিকের থাই-চার্টারকৃত আমার প্রথম জাহাজে নিযুক্তির সংবাদ এলো। উড়োজাহাজে চড়ে কল্পনার রাজ্যে ভেসে যথাসময়ে সিঙ্গাপুরে গিয়ে উঠে গেলাম আমার সাধের জলজাহাজে। কঠিন শৃঙ্খলা আর কঠোর পরিশ্রমে ভরা এ এক ভিন্ন জীবন যেখানে আমাকে অনেকটা নবজন্ম লাভ করতে হলো বললে মিথ্যে বলা হবে না।
সম্ভবতঃ নটরডেম-এ ইংরেজি সাহিত্যে পড়েছিলাম কোলরিজ-এর The Ancient Mariner কবিতাটি, যেখানে ছিল Water water everywhere, but not a drop to drink !
এখানকার জীবনটা যেন এ কবিতারই প্রতিচ্ছবি। এভাবেই চলে যাচ্ছিল আমার বিশ্রী রকম ব্যস্ততায় ভরা দিনগুলো, সেই সঙ্গে জাহাজের ব্যবসাও ছিল রমরমা। চলাচল ছিল সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম আর ইন্দোনেশিয়ার মাঝে।
এরই মাঝে তিন মাসের কিছু বেশি সময় পেরিয়ে এসেছি, যদিও আমার মনে হচ্ছিল যেন তিন যুগ। ঠিক এমন সময় দেশ থেকে উড়ে এলেন ক্যাপ্টেনের স্ত্রী আর তাদের তিন চার বছর বয়সী ফুটফুটে এক মেয়ে। সবার মাঝে প্রাণের সঞ্চার হলো। জাহাজে বাংলাদেশ, শ্রীলংকা আর বার্মা মিলে তিন দেশি ত্রিশজন মানুষ ছিল।
১৯৯৬ সাল। মার্চের মাঝামাঝি। আমরা সিঙ্গাপুর থেকে থাইল্যান্ড এসে এমন এক জায়গাতে নোঙ্গর করলাম যেখান থেকে ডানদিকে অনেক দূরে খুব ঝাপসা দেখা যায় শ্রীরাচা (Sriracha) নামের শহরটাকে। কখনো কখনো সেই আবছা দৃশ্যটিও দৃষ্টির অন্তরালে চলে যায়। তখন মনে হয় যেন গভীর সাগরেই ভেসে রয়েছি। এ মুহূর্তে জাহাজে জ্বালানি তেল যা রয়েছে তা দিয়ে খুব টেনেটুনে হয়তো এক মাস চলা যেতে পারে, খাবার-দাবারের অবস্থাও অন্যথা নয়।
জাহাজ কয়েকটা দিন থেমে থাকায় আমরা অনেকেই খুব খুশি। নিত্যদিনের ক্লান্তিময় জীবনের মাঝে একটু নিঃশ্বাস ফেলার সময় জুটলে মন্দ কি !
দুই সপ্তাহ গত হওয়ার পর একটু নড়ে-চড়ে বসলাম। খবর নিয়ে জানলাম, যে কোনো সময় চার্টারার জাহাজে এসে পড়বে আর সেই সঙ্গে শেষ হতে চলা জ্বালানী তেল, খাবার-দাবার ইত্যাদিও পৌঁছে যাবে। যাক, কিছুটা নিঃশ্চিন্ত হওয়া গেল।
এক মাস পেরিয়ে গেল। নতুন কোনো খবর নেই। কারো পকেটে পয়সাও নেই। কারণ অনেক দিন ধরে বেতন বকেয়া হয়ে রয়েছে। যেদিকে তাকাই, মনে হয় পৃথিবীর চার ভাগই জল।
নিঃসঙ্গ একটা দ্বীপের মতো পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন আমরা কতোগুলো প্রাণী। এরই মাঝে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, প্রতিদিন মাত্র এক ঘন্টার জন্য জেনারেটর চলবে। ওইটুকু সময়ই শুধু বিদ্যুৎ আর পানি চালু থাকবে, বাকিটা সময় মৃত্যুপুরীর নীরবতা।
জাহাজ কোম্পানির বাংলাদেশি মালিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টায় জানা যায়, থাই-চার্টারারের সঙ্গে তাদের আর্থিক লেনদেনগত সমস্যার কারণে এই অহেতুক জটিলতা।
বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকারগুলোর ওপর নব্য আরোপিত রেশনের রুটিনে অভ্যস্ত হতে হতে দুই মাস কেটে গেল।
তিন মাসের মাথায় এক ঘন্টার রুটিনকে ছেঁটে আধঘণ্টায় নামানো হলো। অনেক অনুনয়-বিনয়েও চার্টারার থেকে তেল, খাবার, পয়সা কিছুই আদায় করা সম্ভব হলো না। শুরু হলো আমাদের বেঁচে থাকার এক নতুন সংগ্রাম। জাহাজের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে কতোগুলো মূল্যবান ষ্টোর থাকে যেখানে জমা থাকে জাহাজ রক্ষণাবেক্ষণের যাবতীয় সরঞ্জাম। এগুলো আমাদের বিক্রি করতে হলো একের পর এক। বিক্রির অর্থ দিয়ে অতীব জরুরি কিছু খাবার-দাবার কেনা হলো। যেহেতু বিদ্যুৎ নেই, তাই জাহাজের ডেকে ড্রাম কেটে চুলা বানানো হলো। জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হলো পুরনো জমে থাকা কাঠ, বিভিন্ন আসবাবপত্র ইত্যাদি। প্রথম প্রথম এভাবে নৌবিহার ষ্টাইলে রান্না করার মাঝে অন্য রকম এক আনন্দ পেতাম, পরে অবশ্য চুলার ধোঁয়ার সঙ্গে হৃদয়ের ভাবাবেগকে দুই চোখের নোনা জলে বহুদিন বড্ড সযতনে উড়িয়ে দিয়েছি।
এরই মাঝে থাইল্যান্ডের মৎস্যকূলকে বোকা বানানোর এক অভিনব কৌশল রপ্ত করে ফেললাম। প্লাস্টিকের লম্বা সূতার মাথায় নির্দিষ্ট দূরত্বে পাঁচ থেকে দশটা বড়শি বাঁধলাম আর প্রত্যেক বড়শির গোড়ায় লাগালাম রং-বেরঙের পুতি। ব্যস, এতেই কম্ম সাবাড়। জলের গভীরে পুরো লাইন নামাতে না নামাতেই ওই বোকা প্রাণীগুলো পূতিকে মহামূল্যবান খাবার ভেবে অলিম্পিক ষ্টাইলে দিতো ছুট। নিমেষেই হাতে টান পড়তো। লাইন তুলে দেখতাম প্রায় প্রতিটি বড়শিতেই গেঁথে আছে বিভিন্ন সাইজের মাছ। সেগুলো ছিল আমাদের পুঁটি, সরপুঁটি এবং এর চেয়ে একটু বড় প্রজাতির অত্যন্ত সুস্বাদু ধরনের মাছ। মজার ব্যাপার হলো, এই মাছের প্রাচুর্যের কারণে সকাল, দুপুর, রাতে শুধুই হরেক রকমের মৎস্য মেন্যু নিয়ে গবেষণার অন্ত ছিল না।
দিনের বেলায় সময় কাটাতে আমরা সোৎসাহে তৈরি করে ফেললাম টেবিল টেনিস কোর্ট আর সুগভীর কার্গো হোল্ড (Cargo Hold) –এর ভেতরে ক্রিকেট পিচ। যথানিয়মে খেলাধূলায় ব্যস্ত সময় পার করতে লাগলাম। রাতে ছিল আমাদের সুবিস্তীর্ণ আড্ডাস্থল বোট ডেক (Boat Deck) –এ হারিকেনের আলোতে দাবা, লুডু ও ক্যারম খেলা।
আমাদের জীবন ধারণের মান এভাবে ক্রমেই নিম্নমুখী হয়ে চলছিল। অনুভব করতে পেরেছিলাম, মালিক হয়তো আমাদের পরিত্যাগ করতে পারে আর চার্টারারের রহস্যময় শীতল আচরণ ছিল বর্ণণাতীত। তাই আমরা ব্যাংকক ভিত্তিক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নৌ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলাম চার মাসের মাথায়। কেউ এগিয়ে এলো না। একমাত্র শেষ ভরসা ছিল ব্যাংককের বাংলাদেশ দূতাবাস। সবচেয়ে বেশি দুঃখ পেয়েছি তাদের নীরব ও শীতল আচরণে। জানিনা বহির্বিশ্বে আমাদের দূতাবাসগূলো কার স্বার্থ রক্ষা করে চলেছে !
প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙে এক বুক আশা নিয়ে, নতুন কিছু শুনবো বলে, নতুন কিছু দেখবো ভেবে। পরক্ষনেই আরো বেশি তলিয়ে যাই হতাশার অন্ধকারে। নীরব-নিথর হয়ে প্রকান্ড শরীর নিয়ে ভেসে থাকা জাহাজের বারান্দায় বসে শ্রীরাচা-র বিষণ্ণ হাওয়ার বুকে কান পেতে থাকি জীবনের হারিয়ে যাওয়া ঝংকারের প্রতিধ্বনি শুনতে পাওয়ার আকুলতায়। দৃষ্টিকে প্রসারিত করি দিগন্তরেখায় হয়তো দৃষ্টিসীমা অতিক্রম করে কিছু দেখতে চাওয়ার এক অপ্রতিরোধ্য বাসনা নিয়ে। একটু একটু করে নিঃশেষিত হতে হতে হৃদয়ের গভীরে যে সত্যকে আবিষ্কার করেছি তা হলো, মানুষের জীবনে বেঁচে থাকার একমাত্র অমূল্য উপকরণ হলো আশা।
প্রায় ছয় মাস কেটে গেছে। হঠাৎ একদিন শুনলাম, চার্টারার আমাদের কিছু তেল, পানি আর দু’তিন বস্তা চাল আর কিছু জল পাঠাবে। শুরু হলো প্রতীক্ষার পালা। জীবনে কখনো ভাবিনি এক তুচ্ছাতিতুচ্ছ ডিজেল অয়েলের জন্য তীর্থের কাকের মতো পথ চেয়ে বসে থাকতে হবে। দুই সপ্তাহ পর সত্যিই এলো ছোট্ট কয়েক ড্রাম তেল, চাল আর জল। অনেক দিন পর আবার জেনারেটর চললো আধঘন্টার জন্য। ক্ষনিকের তরে জাহাজে প্রাণের হাওয়া বইলো। আমাদের শুকিয়ে যাওয়া বিষণ্ণ চেহারাগুলোতে ক্ষনস্থায়ী হাসির ঝিলিক দেখা দিল।
এরই মাঝে খবর এলো বাংলাদেশি মালিক জাহাজকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে। সেই সঙ্গে তার ত্রিশজন মানুষকেও।
এবার শুরু হল থাই চার্টারারের নতুন খেলা। সে বিভিন্ন পার্টির কাছে জাহাজ বিক্রির চেষ্টা চালাতে লাগলো। মানবেতর জীবনের মাঝে বেঁচে থাকা আমরা যে কোনও শর্তে এই অসহনীয় বন্দিদশা থেকে মুক্তি চাইলাম। গত সুদীর্ঘ সাড়ে ছয় মাসে আমাদের কারোরই দেশের পরিবার-পরিজনের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ মেলেনি। উদাসী মনের আঙিনায় দুর্ভাবনা বাসা বাঁধে, এ জীবনে হয়তো প্রাণপ্রিয় মুখগুলোকে আর দেখতেই পাবো না। একদিন নিভে যাবে জীবন প্রদীপ, জানবে না কেউ কোনোদিন।
এখন আর খেলি না, মাছ ধরার আগ্রহও মরে গেছে। ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকি একে অপরের মুখে, অনুভূতি ও বোধ-শক্তিহীন জড় পদার্থের মতো। একে অন্যকে সান্ত্বনা দেয়ার নিষ্ফল চেষ্টা মাত্র, নিজের সঙ্গেই নিজের অভিনয়।
সপ্তম মাসের গোড়ায় থাই চার্টারার নিয়ে এলো এক ভিন্ দেশি মাফিয়া জাহাজ ব্যবসায়ীকে। তার কাজই ছিল পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে সমস্যায় নিপতিত জাহাজের পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে একদম নামমাত্র দামে জাহাজ হস্তগত করা। এটা হল জাহাজ ব্যবসার এক ভয়ংকর কালো অধ্যায়। মাফিয়া ওই চার্টারারের মারফত আমাদের সঙ্গে একটা নিগোসিয়েশনে পৌঁছাবার চেষ্টা করলো। আমাদের প্রস্তাব ছিল সমস্ত বকেয়া বেতন পরিশোধ করে সবাইকে দেশে ফেরত পাঠালেই হবে। মাফিয়া কোনও মতেই মোট বেতনের ৬০ শতাংশের বেশি দিতে নারাজ। আমরা পর্যায়ক্রমে ৯০ শতাংশ, ৮০ শতাংশ, অবশেষে ৭০ শতাংশে নামলাম। কাজ হলো না। জাহাজে এ নিয়ে শুরু হলো মিশ্র প্রতিক্রিয়া। একবেলা, আধাবেলা খেয়ে জীবনকে আর কতোটা টেনে নেয়া সম্ভব হবে তা নিয়ে সংশয় ছিল।
যখন আট মাস শেষ হলো, তখন একদিন ওই ইহুদী মাফিয়ার নগ্ন ভয়ংকর চেহারা দেখলাম। সে বললো, আমরা যদি ভালোয় ভালোয় ৬৫ শতাংশতে স্থির না হই তবে আমাদের ভাগ্যে চরম কিছু ঘটা মুহুর্তের ব্যাপার মাত্র। খুবই শঙ্কিত হলাম। জীবনের কাছে অর্থের কোনো মাত্রা থাকে না।
১৯৯৬ সাল। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ। মাফিয়ার হাতে আমরা পুরোপুরি সমর্পিত। মুহূর্তের ভেতরে কাহিনী বদলে যেতে শুরু করলো। মাফিয়া তার অপর এক জাহাজকে আমাদের জাহাজের পাশে ভেড়ালো। তার নিজস্ব লোকজন এসে আমাদের জাহাজের দখল নিয়ে নিলো। আমরা হয়ে গেলাম জাহাজের যাত্রী। অনেকটা নিজভূমে পরবাসী। যথানিয়মে আমাদের ৬৫ শতাংশ দেয়া হলো, শ শ টন তেল আর পানি এলো। এলো প্রচুর খাবার-দাবার। লাগেজ বেঁধে প্রস্তুত হয়ে রইলাম।
২৮ নভেম্বর বিকেলবেলা। মুক্তির সেই কাঙ্ক্ষিত লগ্ন। একে একে সকলে স্পিডবোটে গিয়ে উঠলাম। পেছন ফিরে তাকাতেই চোখে পড়লো অদ্ভুত সুন্দর নীলরঙা সেই জাহাজটা যার সঙ্গে মিশে আছে আনন্দ-বেদনার হাজারো স্মৃতি। সানগ্লাসে চোখ ঢেকে এগিয়ে চললাম শ্রীরাচা শহর অভিমুখে। আমার দেশের অবিবেচক মালিকের কয়েক কোটি টাকার সম্পদ অন্যের হাতে তুলে দিয়ে।
তারপর। সময় গড়িয়ে গেছে তার নিজস্ব ধারায়। মহাসাগরীয় স্রোতেরা দিকভিন্ন হয়েছে অসংখ্যবার। প্রতিজ্ঞা করেছি ফিরে যাবো না সাগরে আর কোনোদিন। কিন্তু নোনা জলের আহ্বান গভীর মায়ার জালে জড়িয়েছে আমায় বারে বারে। এ কয় বছরে পৃথিবীর জাহাজ ব্যবসায় সূচিত হয়েছে বিশাল সব পরিবর্তন। অত্যন্ত আধুনিক ভিন দেশীয় জাহাজগুলোতে আজ কম্পিউটারের সঙ্গে কম্পিউটারের মতোই ঘড়ির কাটার সেকেন্ড মেপে মেপে ভেসে চলি, একটু থেমে গিয়ে নোনা জলের মাঝে আটকে পড়া সেই সব সাড়ে আট মাসের দিন-রাতগুলোর কথা ভাবার অবকাশ কোথায় ?
———————-
ইফতেখার হাসনাইন (২৯): বর্তমানে সিঙ্গাপুর ভিত্তিক একটি জাহাজ কোম্পানীতে প্রধান প্রকৌশলী হিসাবে কর্মরত। মেরিন একাডেমিতে পড়বার আগে তিনি মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এবং নটরডেম কলেজে লেখাপড়া করেছেন। সহজ সরল জীবনে অভ্যস্ত, অবসর সময়টা ভরে থাকে বই পড়া আর স্ত্রী-সন্তানদের ভালোবাসাময় সাহচর্যে।
Recent Comments