A.K.M Jamal Uddin
-
A.K.M Jamal Uddin wrote a new post 10 years, 3 months ago
-
A.K.M Jamal Uddin wrote a new post 10 years, 3 months ago
Objectives:
a. Build a strong bondage, promote cordial relations among all the Professional Mariners who are presently working and residing in Singapore with family.
b. To share & exchange professional knowledge & ideas and promote professional interests through networking and a high level of ethical practices.
c. To promote social interaction and welfare of its members & their families.
d. To work with any other organization, having similar interest for marine community with out conflicting with other groups.In order to achieve these objects, the Committee may add among their activities:
a. Organize family get-together, functions, picnic, games, sports, voluntary social works, etc. to create awareness among all the members to realize the benefits of the social harmony and healthy lifestyle.
b. Family supporting services to encourage all our family members to create bondage & healthy atmosphere among all the families.
c. To help & assist needy Mariners & Bangladeshi family on humanitarian grounds.Posting information & message via email/website:
All SMC members are expected some sort of self censorship mechanism for sensitive issues which may disturb community and social harmony or can undermine our professional dignity and merchant navy traditions.
Members will avoid local and overseas political topics if can not keep himself impartial.
Members will avoid controversial religious topics considering that we have members of different religion groups.Members can post any invitation like Family get-together, Eid, Pooja, Christmas, Greetings and any other useful invitation which might interest other SMC members.
Members will refrain from any such posting which may disturb personally or collectively any other member from same community or other community, or which may act as a direct or potential risk to divide the bondage of the mariners’ community or any other community.
SMC Members and Community are not to be held responsible for any unethical posting by any individual member which may threat or cause damage to social, economical, professional, political & religious harmony.
SMC Member & Committee:
1. The membership is open to all Bangladeshi origin marine professionals (irrespective of their academic back ground, race, religion, sex and creed). Any Mariners (Batch & Contemporary) upon settling in Singapore with family (shore jobs or sailing) will be automatically SMC member. All members will be treated & accommodated equally, no discrimination between academy & non-academy members.
2. All the SMC members are grouped as under, Groups may be re-arranged as & when required by the Committee.
a) Group A – Senior most batch to 14th batch & contemporary,
b) Group B – 15th batch to 20th batch & contemporary,
c) Group C – 21st batch to 24th batch & contemporary,
d) Group D – 25th batch & contemporary,
e) Group E – 26th batch & contemporary,
f) Group F – 27th batch & contemporary,
g) Group G – 28th batch & contemporary,
h) Group H – 29th batch to Junior most batch & contemporary.
3. Each Group will select one Group Leader (G.L.) to represent their Group. If the Group members can not find from the same Group, they may select from other Group.
4. There will be no hard & fast rule for selecting G.L. Once selected, at any point of the term, if any limitation arises, G.L. can replace himself with another selected G.L.
5. After selection of the G.L. they will form the SMC Committee & they will mutually nominate one as their Team Leader. Team Leader may not necessarily be the academic senior batch & contemporary. Committee will manage the SMC. Committee will always encourage cyber meeting instead of physically presence meeting unless situation arises.
6. For any decision, all G.L. will have equal voting rights with equal voting power & weight. Committee will try their best to take any decision with 100% approval among all the G.L.
7. SMC Committee shall be “two years” term and will be renewed on 01st July of every two years. For the next two years term, new G.L. will be selected & also to nominate their new Team Leader.Fund Management:
1. One single bank account will be maintained in any commercial bank in Singapore. All funds will be collected only into this SMC designated account.
2. There shall be no entrance fee & no subscription to become member of SMC. Fund will be collected when Committee initiate any activity like Family get-together or any such other events.
3. One G.L. will be responsible for the accounts and will withdraw money as required by the Committee for the purpose of social get-together or welfare expenses or any other situation deemed necessary.
4. Once SMC Committee renewed, accounts will be hand over & transferred to the new team.General guidelines for financial help:
a) Fund for Singapore Mariners’ Family:
SMC will maintain certain minimum fund for any emergency use for SMC members.
Committee, at any time, may impose any fixed benevolent fee to all the members at it’s own discretion to generate the SMC fund.
Almighty forbids, in the event of any SMC member’s loss of life, SMC will assist at it’s best to support the family including the cost of funeral & sending body to Bangladesh (if family decide). Committee may appeal all the members to contribute with a minimum fixed amount from each SMC member which will be decided by the Committee. Contributor’s name will not be disclosed.b) Fund for Overseas Mariner’s including when they are visiting Singapore:
If any financial appeal received from our Overseas Mariner brother, including when visiting Singapore for medical treatment, SMC will assist at it’s best to support. Committee will assess & decide case by case basis. One G.L will be assigned to find out the details, case merit & actual needs. If found appropriate, Committee may post the original appeal content with account number provided. Any member wish to contribute to that appealed account, may do so with out any obligation.
SMC Committee may not collect any fund from any SMC member but Committee may decide to contribute “Token of Love” from SMC Fund.c) Non-Mariner’s Family:
If any financial appeal received from any Non-Mariner Bangladeshi family, including when visiting Singapore for medical treatment, SMC will assist at it’s best to support. Committee will assess & decide case by case basis. If found appropriate, Committee may post the original appeal content with account number provided. Any member wish to contribute to that appealed account, may do so with out any obligation.Note:
All Members will refrain from committing any financial help to anyone on behalf of others or SMC. All members & their family are encouraged to provide with the mental support in any form, like phone call, visiting them, providing shelter, arranging memorial services, etc.PDF Version [Published at SMC Magazine “নোঙর” May 2014]
-
A.K.M Jamal Uddin wrote a new post 10 years, 3 months ago
একজন নাবিকের মুদ্রাদোষ, সব সময় জাহাজের টার্ম ব্যবহার করে, জলেও যেমন, স্থলেও তেমন। নতুন বিয়ে করেছে সে, স্ত্রী জাহাজ সম্বন্ধে কিছুই জানে না। কিন্তু নাবিক তার অভ্যাস মাফিক জাহাজের টার্ম ব্যবহার করেই যাচ্ছে, যেমন, ” সুইট-হার্ট, গ্যালি থেকে চা বানিয়ে আনবে?”
“গেলি কি জিনিস?” জিগ্গেস করলো তার স্ত্রী।
“সরি, রান্নাঘর, গ্যালি মানে রান্নাঘর।”
আরেকদিন বলে, “পোর্ট-হোলটা খুলে দাওতো, ফ্রেশ বাতাস আসুক।”
“পোর্ট-হোল কি?”
“সরি, জানালা, পোর্ট-হোল মানে জানালা।”
“অসহ্য, তোমার এইসব জাহাজী টার্ম শুনতে আর ভালো লাগে না।”
“ঠিক আছে, আর বলবনা, এবার আমার এ্যলং-সাইডে শুয়ে পড়।”
—————————————-
মোটা-সোটা দুই নাবিক বন্ধু জাহাজ থেকে সাইন-অফ করে বাড়ি গেছে। মাসখানেক পর এক অনুষ্ঠানে তাদের ফের দেখা। এর মধ্যে একজন ওজন কমিয়ে ফেলেছে।
– কিরে দোস্ত, ওজন কমাইলি ক্যামনে? প্রশ্ন করলো মোটা বন্ধু।
– একটা ফিটনেস কোম্পানির প্যাকেজ কিনেছি, ৫ দিনে ৫ কিলো।
– আশ্চর্য? খুলে বল।
– কোম্পানির প্যাকেজে সাইন করার পরদিন সকালে দরজায় টোকা, খুলে দেখি অপূর্ব সুন্দরী আর টি-শার্টে লেখা, ” ধরতে পারলে আমি তোমার।” ওর পিছনে ৫ দিন দৌড়াইলাম, ধরতে পারি নাই, কিন্তু ওজনতো কমেছে।
মুহূর্ত বিলম্ব না করে মোটা বন্ধু ফিটনেস কোম্পানিকে ফোন করে বললো, “আমার ডাবল প্যাকেজ চাই, ৫ দিনে ১০ কিলো।”
আর ভাবছে, ডাবল প্যাকেজ চেয়েছি, ডাবল সুন্দরী পাঠাতে পারে। একজনকে ধরতে না পারলে আর একজনকে তো পারবোই। পুলকিত মন, ঘুম কি আর আসে?
সকালে টোকা পড়তেই বিলম্ব না করে মোটা বন্ধু দরজা খুলে দেখে আফ্রিকার কালা ভাই হাজির, টি-শার্টে লিখা, “যদি তোরে ধরতে পারি – তুই আমার।”
—————-
[সংগৃহিত] -
A.K.M Jamal Uddin wrote a new post 10 years, 3 months ago
অনেকদিন ধরেই লিখবো লিখবো করে লেখার কোন সুযোগ হয়ে ওঠেনি। আমার অতি প্রিয় ও আপনজন রুবা ভাবীর অনুপ্রেরনায় আজ লিখতে বসলাম। রুবা ভাবীকে আমার অন্তরস্থল থেকে শ্রদ্ধা জানিয়ে লেখাটি শুরু করছি।
ভালোবাসার অনেক রং থাকে আর তা দু চোখ মেলে দেখার সৌভাগ্য সবার হয় কিনা তা আমার জানা নেই। যেই চোখেই দেখি না কেন সে রং ভালবাসার চখ দিয়েই দেখতে হয়। আমার ভালোবাসার রং “নীল”। ‘প্রিয়তম এবং নীল’ এই দুটি শব্দ যেন আমার জীবনের স্রোতধারার সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে।
দক্ষিনাঞ্চলের কুয়াকাটার নিকটস্থ সাগর কন্যা খ্যাত পটুয়াখালী। সেখানেই আমার জন্ম। আর বড় অ হয়েছি তার ধুলো বালি গায়ে মেখে। কুয়াকাটা সমুদ্রতীরে কতবার গিয়েছি তার হিসেব নেই। কিন্ত যতবারই যেতাম প্রতিবারই আমি নতুন করে সমুদ্রকে উপলব্ধি করতাম। তার শীতল বাতাসে আমার চুল ওড়ার শব্দ শুনতে পেতাম। আমার হৃদয় প্রসন্ন হতো তার তীরে আছড়ে পরা সুর লহরীতে।
সাগর কন্ন্যা আমাকে হাতছানি দিয়ে শুধু ডাকতো, আবার কবে দেখা হবে? ওর নোনা জলের স্পর্শ আমার সব দুঃখ কষ্ট ভুলিয়ে দিত। আমি ওর প্রেমের আকুতি শুনতে পেতাম।
সাগরের এই ভালবাসা যেন গভীর থেকে গভীরতর হতে থাকল। তারপর একদিন পড়ন্ত বিকেলে তার সাথে দেখা হল, সেই আমার সাগর, আমার প্রেম। সে পেশায় মেরিন ইঞ্জিনিয়ার। জাহাজে চাকরি করেন। ধুম ধাম করে তার সাথে আমার বিয়ে হয়ে গেল। কয়েকটি দিন যেন আজানা এক ঘোরের মাঝে কেটে গেল। তারপর কোন এক বিদায় দেবার বেলায় তার হাত দুটো ধরে অনেক কাঁদলাম। আমার প্রিয় সমুদ্রের ডাকে আমারই প্রিয় চলে গেল আমায় একা ফেলে। নতুন করে নিজেকে আবিস্কার করলাম, আমি একা বড়ই একা। এরপর সে আনেক বার ফিরে এসেছে, আবার তাকে অস্রুজলে বিদায় জানাতে হয়েছে। প্রায়ই বলতাম “আমাকে ও তোমার সাথে নিয়ে চলো”। তারপর এক দিন ফাহিম এলো আমাদের ঘর আলো করে। আমার একাকী জীবনে কিছুটা খুজে পাওয়া সস্তি। প্রতিবার যখন অ জাহাজে চলে জেত, আমি আমার ছেলে কে বুকে ধরে তার কষ্ট ভুলেছি।
একদিন সকালে ওর ফোন পেয়ে আনন্দে লাফিয়ে উঠলাম। আমি আমার প্রিয়তমেসুর কাছে যাচ্ছি। আমি জাহাজে যাচ্ছি। মনে হচ্ছিল আমার প্রিয়তম এবং বিশাল নীল সাগর যেন আমার জন্যই অপেক্ষা করে আছে। আমি আমার এক বছরের ছেলে ফাহিমকে নিয়ে জাহাজে ওঠার সমস্ত প্রস্তুতি শেষ করলাম। ক্রমশই দিন টি ঘনিয়ে এলো আর আনন্দে মন নেচে উথল।
ঢাকা থেকে উড়োজাহাজে করে গিয়ে পৌছাঁলাম স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদ। জীবনে এই প্রথম বিদেশ পাড়ি দিলাম। মাদ্রিদ এয়ারপোর্টে প্রায় সাড়ে এগার ঘন্টা ট্রানজিট শেষে আবার আর একটি উড়োজাহাজ করে পৌছাঁলাম স্পেনের আর একটি অংঙ্গ রাজ্য ভিগো। ভিগো পৌছেঁ জানতে পারলাম জাহাজ তখনও পোর্টে পৌছায়নি। সেখানকার স্থানীয় এজেন্টের লোক এসে আমাদের এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি একটি হোটেলে রেখে আসলেন। সন্ধ্যায় আবার এজেন্টের লোক এসে আমাদের হোটেল থেকে নিয়ে জাহাজ পৌছেঁ দিলেন। সাত সমুদ্র তের নদী পার হওয়ার গল্প ছোট বেলায় অনেক শুনেছি। কিন্ত সেদিন আমি নিজেই সাত সমুদ্র তের নদী পার হওয়ার মানে বুঝতে পেরেছিলাম। যাই হোক, এত বড় লম্বা সফর করে অবশেষে আমি আমার প্রান প্রিয় মানুষটির কাছে পৌছাঁতে সক্ষম হয়েছিলাম।সমুদ্রের বুকে যখন জাহাজ ভেসে চলত, আমার কাছে মনে হতো উত্তাল সমুদ্রের মাঝে ছোট একটি সাম্পানে করে আমরা ভেসে যাচ্ছি। আর আমার ছেলে হাঁটা শিখেছিল জাহাজের ঢেউয়ের তালে তালে। আমরা সেখানে সাত মাসেরও বেশী সময় ছিলাম। নিজেকে যখন একাকী মনে হতো বিশাল সমুদ্রের দিকে তাকালেই মনটা ভাল হয়ে যেত।সেই দিনগুলোর কথা আজও আমার মনে পরে। আমাদের সাথে আমার প্রিয়তমেষু ও দেশে ফিরে আসার কথা ছিল, কোন এক বিশেষ কারনে সে আমাদের সাথে আসতে পারেনি। ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আমরা দেশে ফিরে এলাম। সেদিন আমি এবং আমার ছেলে খুব কেদেঁছিলাম। প্রিয়জন কে একা ফেলে আসার কারনে আমার কখনও কাদঁতে হয়নি। কিন’, সে আমাকে একা ফেলে চলে যাওয়ার কারনে আমাকে অনেক বার কাদঁতে হয়েছে।
নীল হচ্ছে বেদনার রং, হয়তোবা নিয়তি আমার ভালোবাসর সাথে একটু বেদনা জুড়েই আমার ভালবাসাকে পরিপূর্ণ করেছে।
PDF Version [Published at SMC Magazine “নোঙর” May 2014]
সাদিয়া রহমানঃ চার সন্তানের জননী। বর্তমান আবাস, সিঙ্গাপুর। মাসুদুর রহমানের (২৬) সহধর্মিনী।
-
A.K.M Jamal Uddin wrote a new post 10 years, 3 months ago
A heart attack does not always have obvious symptoms, such as pain in your chest, shortness of breath and cold sweats. In fact a heart attack can actually happen without a person knowing it. It is called a silent heart attack, or medically referred to as silent ischemia (lack of oxygen) to the heart muscle.
Symptoms of a silent heart attack
As the name implies, a silent heart attack is an attack that has either no or minimal or unrecognized symptoms, but it is like any other heart attack where blood flow to a section of the heart is temporarily blocked and can cause scarring and damage to the heart muscle.People who have these so-called silent heart attacks are more likely to have non-specific and subtle symptoms, such as indigestion or a case of the flu, or they may think that they strained a muscle in their chest or their upper back. It also may not be discomfort in the chest; it may be in the jaw or the upper back or arms. Most heart attacks occur during several hours — so never wait to seek help if you think a heart attack is beginning. In some cases there are no symptoms at all, but most heart attacks produce some chest pain. Other signs of a heart attack may include shortness of breath, dizziness, faintness, or nausea. The pain of a severe heart attack has been likened to a giant fist enclosing and squeezing the heart. If the attack is mild, it may be mistaken for heartburn. The pain may be constant or intermittent. Also, women are less likely to experience the classic symptoms of chest pain as compared to men thus are more prone to silent heart attacks.
General measures before patient is shifted to a hospital or a medical center
1. Have the person sit down and calm him/her. If clothing is tight then loosen it.
2. Immediately transport to the nearest hospital or ambulance service. Do not leave the person alone.
3. Nothing should be given except for sublingual tablets or any other medication prescribed by the doctor. A tablet of aspirin helps person to limit the damage.
300 mgs of aspirin chewed at the time of heart attack can reduce the mortality by 15 to 20 per cent.
4. Make sure the patient continues breathing and has a pulse until the ambulance arrives or the patient reaches the emergency department of a hospital.
5. If there is no breathing or pulse, give Cardiopulmonary Resuscitation (CPR). Immediately place the palm of your hand on the patient’s chest just over the lower part of the sternum (breast bone) and press your hand in a pumping motion once or twice by using the other hand. This may make the heart beat again. If possible, raise the legs up 10 to 15 inches to allow more blood to flow towards the heart.
It should be remembered that prompt recognition and diagnosis of a heart attack is the key and such patients should be rushed to the nearest hospital without any delay. Delay can be fatal.Diagnosis of silent heart attack
Because a silent heart attack does not produce symptoms that send the patient to seek medical help, the diagnosis is only made after the fact — after the damage has been done.Usually, the doctor is able to detect the cardiac damage that has resulted from the heart attack by examining an electrocardiogram. The diagnosis can be confirmed by performing an echocardiogram, in which the now-weakened heart muscle can be visualized.
The stress test can serve two important purposes in people who have had silent heart attacks. First, it may allow your doctor to measure the “threshold” of exercise that produces ischemia (normal heart attack symptoms) in your case. That is, your doctor may be able to give you specific instructions regarding which activities are safe for you to perform. Since you cannot use the onset of angina (chest pain) as a warning that you are doing too much, this kind of advice can be very important.
And second, when ischemia occurs during a stress test, even people who have had silent heart attacks and/or silent ischemia will often feel “something,” even if it is not typical angina. So the stress test can give important feedback to people with silent ischemia — it can teach them that “this is what ischemia feels like in your case.” In the future, whenever you experience “this” sensation — whether it is mild discomfort in the shoulder, shortness of breath, sudden fatigue, or whatever it may be — it means you are probably having an “angina equivalent,” and you should immediately stop what you are doing, and follow your doctor’s instructions for treating angina (for instance, taking a nitroglycerin tablet).
Prognosis (outlook)
Heart attacks may be rapidly fatal, evolve into a chronic disabling condition, or lead to full recovery. The long-term prognosis for both length and quality of life after a heart attack depends on its severity, the amount of damage sustained by the heart muscle, and the preventive measures taken afterward.
Patients who have had a heart attack have a higher risk of a second heart attack. Although no tests can absolutely predict whether another heart attack will occur, people can avoid more heart attacks with healthy lifestyle changes and adherence to medical treatments.
PDF Version [Published at SMC Magazine “নোঙর” May 2014]
Dr. Sifat Jubaira. MBBS, M Phil, PGT The author is presently residing in Singapore since 2009 with two children and her husband Shakil Ahmed (29). She Graduated from Army Medical College, Rawalpindi, Pakistan, completed the Post graduation trainings and her Master Degree in Clinical Bio Chemistry from BSMMU, Dhaka. She is the author of several medical research papers published in BSMMU official medical journals. Prior shifting to Singapore with her family, she held the position of ‘Registrar’ in National Heart Foundation Dhaka.
-
A.K.M Jamal Uddin wrote a new post 10 years, 3 months ago
১৯৬৪ সাল;
লাহোরের আনারকলি মার্কেটের সামনে চকচকে নীল রঙের ভক্সওয়াগনটা থামতেই দরজা খুলে বেরিয়ে আসলেন এক সুদর্শন যুবক – নাম তার মুনির। বয়স আনুমানিক ২৬ বা ২৭, সাথে তার সুন্দরী স্ত্রী যাহিরা আর দুই বত্সরের শিশুকন্যা। লাহোরের ধুসর রাস্তায় যেন একরাশ শান্তির হওয়া ছড়িয়ে তারা একটু এদিক সেদিক ঘোরাঘুরি করে মার্কেট ভবনে প্রবেশ করলেন। শীতের শেষে লাহোরের মোলায়েম আবহাওয়া ক্রমেই তপ্ত এবং রুক্ষ হয়ে উঠেছে। ছোট ছোট বামন আকৃতির কাঁটা গাছগুলোতে কেমন যেন গরম হওয়া বইছে। আর রাস্তার ধারের ধুলিকণা কেমন গোল ঘুর্নির চক্কর বেঁধে বেঁধে এপাশ ওপাশ ঘুরছে।পাকিস্তান আর্মিতে কমিশন প্রাপ্ত বাঙালী ডাক্তার মুনির তার স্ত্রী ও শিশুকন্যাকে তার নতুন কর্মস্থল লাহোরে নিয়ে এসেছেন। লাহোরের নতুন পরিবেশে যাহিরা ভীষণ মুগ্ধ। নতুন সংসার, আশে পাশের লোকজন ভীষণ বন্ধুভাবাপন্ন। মনেই হয়না নিজের জন্মভূমি, পরিচিত পরিবেশ ছেড়ে বহুদূরে আছেন। শহর দেখার অংশ হিসেবে আজ রবিবার বিকেলে বের হওয়া।
বেশ কয়েকঘন্টা ঘোরাঘুরির পর আনারকলি মার্কেটে এসে পৌঁছালেন তারা। মূঘলদের স্মৃতি সমৃদ্ধ লাহোর শহরটাই যেন এক যাদুঘর। সবখানেই কিছু না কিছু মূঘল নিদর্শন খুঁজে পাওয়া যায়। আর প্রকৃতি যেন নিজ হাতে সাজিয়ে দিয়েছে শহরটিকে। ব্রিটিশ ভারতের একটি অন্যতম শহর এই লাহোর। পাশ দিয়ে বয়ে গেছে বিখ্যাত রাভী নদী। এখানকার খাওয়া দাওয়াও যেন তুলনাহীন। ঝাল গোস্ত এবং মিষ্টি পরাটার তুলনা মেলা ভার, আর গরম জিলাপী ছাড়া যেন কোনো খাবারই পুরো হয় না।
খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষে যাহিরা দোকানগুলো ঘুরে দেখতে লাগলো। এ দোকান থেকে ও দোকানে ঘুরে ঘুরে দেখছে। নানা রঙের লেইস, ফিতে আর চুড়ির দোকান। কাঁচের চুড়ি থরে থরে সাজানো। অনেক শাড়ী আর সালওয়ার কামিজের দোকান। আনমনে সে ঘুরছে আর দেখছে। কোনো কিছুই তেমন মনে ধরছে না। হঠাৎ এক কাতান শাড়ীতে তার চোখ আটকে গেল। গাড় বাদামী রঙের উপর পেটানো জরির কাজ। শাড়ীটা খুলে যখন গায়ে ধরলো, মনে হলো এই শাড়ীটা যেন তারই জন্যই। আয়নায় যে প্রতিবিম্ব সে দেখলো, মনে হলো এ যেন নতুন এক সত্ত্বা। সুখী ও আত্মবিশ্বাসী এক যাহিরা। রূপকথার সেই রানীর মত সে শুধু চেয়েই থাকলো। হঠাৎ পেছনে ফিরে দেখে মুনির নিঃশব্দে ক্যাশ-কাউন্টারে দাম পরিশোধ করছে। যাহিরা ভীষণ উদ্দীগ্ন হয়ে পড়লো। মাসের মাঝখানে ৮০ রুপী দিয়ে শাড়ীটা কেনার কি দরকার ছিল? খুবই মৃদুভাষী মুনির তখন মিট মিট করে হেসে বলে, “শাড়ীটা তোমাকে ভীষণ ভালো লেগেছে।”
এরপর অনেক পানি গড়িয়ে যায় রাভী নদী আর কর্ণফূলী নদী দিয়ে। পৃথিবীর বুকে নতুন মানচিত্রের স্মৃষ্টি হয়। পূর্ব পাকিস্তান হয়ে যায় বাংলাদেশ। একটি নতুন দেশের জন্ম হয়। আর পাকিস্তান তার অর্ধেক ভূখন্ড আর জনসংখ্যা হারায়। আর যাহিরার কাছে লাহোর হয়ে যায় এক স্মৃতির শহর…….।
১৯৯৬ সাল;
আজ প্রায় দু’বছর হতে চলল, যাহিরা আর সব স্মৃতির সাথে মুনিরের স্মৃতিও যোগ করেছে। পুরো বাড়িতে মুরিরের রেখে যাওয়া সব স্মৃতিচিন্হ। যেখানে যায়, মুনির যেন তাকে ছায়ার মত অনুসরণ করে। স্মৃতির সাথে বসবাস করে তার একাকিত্বই যেন কোথায় হারিয়ে গেছে। কোথাও যেতে যেন একদম মন সায় দেয় না। মেয়েরা যে যার সংসার নিয়ে ব্যস্ত। একমাত্র ছেলে মেরিন একাডেমিতে। সেজ মেয়েটি বেড়াতে এসেছে বাড়িতে। সে সবে মাত্র পাকিস্তান ঘুরে এসেছে স্বামীর সাথে। নানা গল্প তার……. মেয়ে বলে যায়, “মা তোমার জন্য একটা শাড়ী এনেছি করাচি থেকে। জাহাজ পোর্ট কাসিমে থেমেছিল। আমরা ট্যাক্সিতে করে পুরো করাচি ঘুরেছি। মা… মা… তোমরা যে DOHS-এ ছিলে তা দেখে এসেছি। কি হল মা…… কথা বলছ না যে…… দেখো ঠিক সেই রঙের শাড়ী, যেটা বাবা তোমার জন্য লাহোরের আনারকলি…..।”মা আর সামনে নেই। উঠে তিনি তার রুমে চলে গেছেন। কোনো কিছুই তার সেই পুরানো স্মৃতির স্থান নিতে পারবে না। এখন স্মৃতিই তার বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন। এই স্মৃতি তিনি কোনো কিছুর সাথে ভাগাভাগি করতে রাজি নন। একা একা ইজি চেয়ারে বসে তিনি দুরের আকাশে চেয়ে রইলেন…।
২০১২ সাল;
মা যাহিরা আজ বেঁচে নেই। সাবিহা একা মার ঘরে বসে আছে। আজ প্রায় সপ্তাহ হতে চললো শীতের ছুটিতে সে দেশে এসেছে। আজই তার সময় হলো বাবার বাড়িতে আসার। সাবিহা মার ঘরে একা বসে আছে। ছোট ভাই-এর নতুন বউ এসেছে ঘরে। খুবই সুন্দর করে পুরো বাড়িটা সাজিয়েছে। কথাও কোনো ত্রুটি নেই। মার ঘরটা এখন গেস্ট রুম, আর মার আলমারিটা এখন স্টোর রুমে। সবই সুন্দর করে গুছানো আছে। আলমারিটা খুলে দেখছিল সাবিহা। হঠাৎ চোখে পড়লো পলিথিনে মোড়ানো নেতিয়ে যাওয়া কাতান শাড়ীটা।চোখটা ঝাপসা হয়ে আসছে। কিছুই দেখতে পারছে না সে। চশমাটা বোধহয় গেস্ট রুমের বিছানায় ফেলে এসেছে…..। জীবনের সব ঘটনাই একদিন স্মৃতির ফ্রেমে বন্দী হয়। স্মৃতি যেন এক চালিকা শক্তি। কেউ একে উপেক্ষা করতে পারে না। এটাই নিয়তি; এটাই ভাগ্য। এক দীর্ঘশ্বাস নিয়ে শাড়িটা বুকে জড়িয়ে ধরে সাবিহা বসে থাকে গেস্ট রুমে…..।
PDF Version [Published at SMC Magazine “নোঙর” May 2014]
——————
সবিনা সুজা চট্টগ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজী সাহিত্যে বিএ অনার্স এবং এমএ ডিগ্রী লাভ করেন। এরপর তিনি বিভিন্ন প্রাইভেট কলেজে শিক্ষকতা করেন। পরবর্তিতে তিনি স্বামীর কর্মস্থল সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমান। বর্তমানে তিনি BLLS স্কুলে শিক্ষকতা করেন। তিনি সিঙ্গাপুরের SEED ইন্সটিটিউট থেকে DECCE সম্পন্ন করার পর এখন PCF কিন্ডারগার্টেনে কর্মরত। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই সন্তানের জননী।
-
A.K.M Jamal Uddin wrote a new post 10 years, 3 months ago
জাহাজের ক্যাডেটদের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর একটা হচ্ছে পোজ দিয়ে ছবি তোলা, বিশেষ করে জাহাজ যখন বিদেশের পোর্টে যায়। অনেকদিন পর পুরানো এ্যলবাম ঘেটে আমার ছোট মেয়ে প্রশ্ন করেছিলো, “বাবা, উনি কি তোমার দাদা?” মোমের তৈরী কলম্বাসের পাশে দাড়িয়ে তার টুপির মত টুপি পরে ছবি তুলেছিলাম।
“উনি আমার দাদা নন, তবে পেশাগতভাবে আমাদের দাদার দাদা। এই ভদ্রলোকের নাম ক্রিস্টোফার কলম্বাস। ৫০০ বছর আগে কাঠের জাহাজে পাল তুলে আটলান্টিক পাড়ি দিয়েছিলেন। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে সমুদ্রে বাণিজ্যের প্রসার ঘটে, কাঠের জাহাজ থেকে লোহার জাহাজ, পালের বদলে স্টীম-ইঞ্জিন, তারপর ডিজেল, সাধারণ জাহাজ রূপান্তরিত হলো কন্টেইনার, ট্যন্কার, ইত্যাদি।”
স্মার্টফোন এবং আইপেড ছাড়া সবকিছুতেই বাচ্চারা ধৈর্যহারা, ছোটখাট বক্তৃতা শুনে আমার মেয়েও ধৈর্যহারা। একজন মনোবিজ্ঞানী বলেছিলেন, “শিশুরা কথা শুনেনা, কারণ,ওদেরটা না শুনে আমাদেরটা শুনাই শিশুদের।” ধমক দিয়ে শিশুদের চুপ করিয়ে জিতে যাই আমরা, কিন্তু অন্তর থেকে শিশু আমাদের কথা না শুনে হারিয়ে দেয় আমাদের। আমার দাদার গল্প বলতে চেয়েছিলাম, শুধু মনোবিজ্ঞানীর বচন, তা নয়, আরও কিছু কারণে থেমে গেলাম। প্রতি বত্সর বাচ্চাদের নিয়ে দেশে যাই। ঢাকা, কখনো কক্সবাজার, কখনো সিলেটের নয়নাভিরাম পাহাড়-পর্বতে ঘুরে বেড়াই, কিন্তু ওদেরকে নিয়ে পৈত্রিক ভিটায় শেষ কবে গিয়েছিলাম মনে করতে পারছিনা। পূর্ব-পুরুষ সমন্ধে আমার বাচ্চারা কিছুই জানেনা। গ্রামের নিরস গল্প শুনে বাচ্চারা অগ্রাহান্নিত হবে, মনে হয় না। বরং বক্তৃতা না দিয়ে লিখে রাখি, একদিন না একদিন পড়বেই।
অনেক অনেক দিন আগের কথা। ফাতেমা এবং আসিয়া দুই বোন বাস করতো বাংলাদেশের এক গ্রামে। তাদের বাবা একজন শিক্ষক, ছোট্ট দুই মেয়ের হাত ধরে নিয়ে যান স্কুলে প্রতিদিন। বাবার হাত ধরে স্কুলে যাওয়া ফাতেমা এবং আসিয়ার জন্য মহা আনন্দের ব্যপার। পড়ার ফাঁকে টিফিন পিরিয়ড, বন্ধুদের সাথে গোল্লাছুট আর দারিয়াবান্ধা খেলায় ডুবে যায় দুই বোন।
কিন্তু আসিয়া আর ফাতেমা’র হাস্যজ্জ্বল দিনগুলো নিভে গেলো যখন তাদের প্রাণ-প্রিয় বাবা মারা গেলেন। ওরা দুই বোন স্কুলে যায়, সহপাঠীদের সাথে শ্রেনীকক্ষে বসে থাকে, কিন্তু মনে তাদের আগের মত আনন্দ নেই। টিফিন পিরিয়ডে আর গোল্লাছুট খেলতে ইচ্ছে করে না, আর কেউ তাদের হাত ধরে স্কুলে নিয়ে যাবে না, বর্ষায় রাস্তায় কাদা জমে, বাবা তখন দুই মেয়েকে দুই কাধে তুলে নিতেন। এখন হাটু পর্যন্ত কাদা নিয়ে ঘরে ফিরে আসে ওরা। বাবা নেই, যেন কিছুই নেই। এই ছোট্ট দুই শিশু বাবা হারানোর দুঃখ প্রতি মুহুর্তে অনুভব করে। সুন্দর এই গ্রামের ছোট্ট একটা পরিবারে নেমে এলো অন্ধকার।
তাদের মা, নবিজা বুঝতে পারছেন, তিনি কুল-হারা সাগরের মাঝে পড়ে গেছেন, স্বামীর মৃত্যু উলট-পালট করে দিলো সবকিছু। তবুও তাকে তীরে ফিরতে হবে আসিয়া আর ফাতেমা’র জন্য। ওদের মুখের দিকে তাকিয়ে তিনি বুঝতে পারেন, মেয়েরা তাদের বাবার অনুপস্থিতিতে মুষড়ে পড়েছে। একমাত্র মা-ই তাদের ভরসা, এখন তাকে সংসারের হাল ধরতে হবে। একজন পুরুষ সংসারের ঢাল, তার অনুপস্থিতিতে পদে পদে প্রতিবন্ধকতা আসবে, আসবে ঝড়, মেয়েদের জন্য এই পৃথিবী এখন আর গোলাপ-এর বাগান নয়। এতদিন ফুলের মত এই শিশুদের রক্ষা করেছেন তাদের বাবা, এখন নবিজা শক্ত হাতে হাল না ধরলে ভেসে যাবে তরী।
আসিয়া আর ফাতেমার বাবা রেখে গেছেন প্রচুর জায়গা-জমি, আরও আছে গোয়াল ভরা গরু। বাড়িতে চারজন কামলা, ওরা হাল-চাষ নিয়ে ব্যস্ত থাকে সারাদিন। প্রতিদিন মেয়েদের স্কুলে পাঠানো , কামলাদের ভরণ-পোষণ, রান্না-বান্না, আর গৃহস্থালী কাজ নিয়ে বেস্ত থাকেন নবিজা। যখন ভেঙ্গে যাওয়া সংসারটা পুনর্গঠনে ব্যস্ত নবিজা, গ্রামবাসীরা তখন ভাবছে অন্য কথা। বিধবার দুই মেয়ে, দুদিন বাদে চলে যাবে শশুর বাড়ি। এতো ধানি জমি তখন এই বুড়ির কি দরকার? মনে মনে সমীকরণ করে ফেললো অনেকেই, আশ্চর্যের ব্যাপার, এদের মধ্যে অনেকে নবিজার আত্নীয়, এতিম শিশুদের চাচা!
ময়মংসিংহের নামকরা স্বর্ণকার বৈঠক ঘরে বসে আছে, সাথে ফুলপুরের কাচারী ঘরের নায়েব বাবু, সেই সাথে আলী হোসেনের লাঠিয়াল। উঠান ভর্তি পাড়া- প্রতিবেশী, পর্দার আড়ালে দাড়িয়ে নবিজা। হুক্কায় টান দিয়ে আলী হোসেন বললো, “চাচা হিসাবে আমার দায়িত্ব আছে না? দুদিন পরে আসিয়া, ফাতেমার বিয়ে হবে, স্বর্ণ দিয়ে সাজায় না দিলে জামাই ভাত দিবো? মেরেই ফেলে কিনা, কে জানে? তুমি শুধু ওদের মা-ই হয়েছো, এইসব বুঝ? আজ ভাই থাকলে ওদের জন্য স্বর্ণের অলংকার বানিয়ে দিতনা? কি বলেন আপনারা?”
প্রতিবেশীরা সমস্বরে বলল, “কথা ঠিক।”“ও নবিজা, এই স্বর্ণকার অনেক দূর থেকে আসছে, তুমি বই দেখে অর্ডার দেও, টাকা পয়সার চিন্তা নাই, আমি চাচা না?”
নবিজা জানতো, আলী হোসেন একদিন আসবে দুষ্টবুদ্ধি নিয়ে, কিন্তু এত তাড়াতাড়ি আট-ঘাট বেধে আসবে, সেটা সে বুঝতে পারে নি, নবিজা জিজ্ঞেস করলো, ” ভাইজান, নায়েব সাহেবকে এনেছেন কেন?”
“এই দেখো, মেয়ে মানুষের কথা?” গ্রামবাসীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বললো আলী হোসেন, “আমি যে এত কিছু করছি, তার একটা রেকর্ড থাকবে না? রেকর্ড কে করে? বলেন আপনারা?”
গ্রামবাসীরা সমস্বরে বলল, “কাচারির নায়েব।”
“নায়েবের রেকর্ডে কি লিখা? পড়ে শুনান,” প্রশ্ন করলো নবিজা।
আলী হোসেনের রক্ত গরম হতে শুরু করেছে, “তোমার সাহস দেখে অবাক হই, ভাসুরকে হুকুম দেও, পড়ে শুনান?” গ্রামবাসীর দিকে তাকিয়ে বলল আলী হোসেন, “নবিজার পূবের বন্ধের জমির খাজনা বাকি, সরকারী হুকুম, অচিরেই নিলামে উঠবে। সেই নিলামে ডাক নিবে পূব পড়ার সমীর।আপনারা জানেন, নিলামে যতই দাম উঠুক, সমীর ডাক দিবেই, আমাদের বংশ থেকে জমিটা চলে যাবে অন্য গ্রামে। বিশ্বাস না হলে নায়েবকে জিজ্ঞেস করেন।”গ্রামবাসীরা সমস্বরে বলল, “কথা ঠিক।”
নাবিজা খাজনার বেপারে কিছু জানে না, তার স্বামী যখন মারা গেছেন, কিছুই বলে যাননি, মৃত্যু-তো আর জানান দিয়ে আসেনি। আলী হোসেন বুঝিয়ে বললো, ” তোমার পুবের বন্ধের জমি যেন বেদখল না হয়, সেই ব্যবস্থাই লিখা আছে দলিলে, তুমি শুধু টিপ-সই দিবা।”
পুবের বন্ধে এক দাগে ২০ একর জমি আছে, স্বর্ণের প্রলোভন দেখিয়ে সেই জমি দখলের চেষ্টা করছে আলী হোসেন, সেই সাথে নিলামের ভয়। নবিজা এটাও বুঝতে পারছে, পাড়া-প্রতিবেশী যারা আছে, তারা এখন আর এগিয়ে আসবে না, আর যারা আসল ঘটনা বুঝেছে, তারাও চুপ মেরে থাকবে। নাবিজা ভাবছে, এখন কি করবো আমি? এই মুহুর্তে ইউনিয়নের চেয়ারমেনকে খবর দেওয়া যায়. উনি কি করবেন? হয়ত বলবেন, “এটা তোমাদের পারিবারিক ব্যপার, তোমরা নিজেরাই মিটমাট কর।” আসলেই জমি নিলামে উঠবে কিনা, সেটার সত্যতা যাচাই করা দরকার। নায়েব বলতে পারে সঠিক ভাবে, কিন্তু নায়েব এসেছে আলী হোসেনের সাথে। আলী হোসেন নায়েবকে হাত করে দলিল তৈরী করে এনেছে। বাইরে লাঠিয়াল দাড়িয়ে আছে, টিপ-সই না দিলে আলী হোসেন তুলকালাম কান্ড করে ফেলতে পারে। এই অবস্থায় নবিজা কি করবে বুঝতে পারছে না।
আলী হোসেন চিত্কার দিয়ে বললো, “নবিজা, আমাদের কাজ-কাম আছে, সারাদিন এতগুলো মানুষকে বসিয়ে রাখার দুঃসাহস দেখাবানা।”নবিজা বললো, “আমি টিপ-সই দিবো, কিন্তু মসজিদের ঈমাম সাহেবের সামনে, তাকে খবর দেন।”
আলী হোসেন বলল, “আমরা তোমার পর? বিশ্বাস নাই?”
গ্রামবাসীরা বললো, “নাবিজা বলেছে, টিপ-সই দিবে, ঈমাম সাহেবরে খবর দিতে অসুবিধা কি?”
আলী হোসেন বুঝতে পারছে, এখানে তর্ক করলে গ্রামবাসীরা বিপক্ষে চলে যাবে, ওদেরকে বিপক্ষে রেখে কাজ হাসিল করা দুস্কর, “তোমদের মতামত সবার উপরে, খবর দাও ঈমাম সাহেবকে।”বাড়ির বাইরে হাজার মানুষ জড়ো হয়ে গেছে, স্বর্ণকার, কাচারীর নায়েব বাবু, লাঠিয়াল, আরো আসছে ঈমাম সাহেব। নাটকের শেষ দৃশ্য না দেখে এই জনতা চলে যাবে, মনে হয় না। নাটকের মূলে এক অসহায় বিধবা নারী। শিকারীর মুখ থেকে নিজেকে নয়, বাচ্চাদের রক্ষা করতে সিংহী ঝাপিয়ে পরার আগে চোখে মুখে ফুটে তুলে প্রতিরক্ষার দৃঢ়তা। অসহায় শিশু আসিয়া এবং ফাতেমা তাদের মার মুখে সেই প্রতিবিম্ব দেখে আচল আকড়ে লুকিয়ে রইলো।
ইমাম সাহেব বাড়িতে আসতেই উঠানে তাকে চেয়ার দেওয়া হলো বসার জন্য। দরজার আড়াল থেকে নাবিজা বললো, “স্বর্ণকার বাবু, আপনাকে গহনার অর্ডার দিব আরেকদিন, আজ নয়, বরং আজ আমার এই গহনাগুলো নিয়ে যান, যা দাম হয়, সেটা ঈমাম সাহেবের হাতে দিবেন। আর ঈমাম সাহেব, আপনি নায়েব সাহেবকে আমার পুবের বন্ধের খাজনা বুঝিয়ে দিবেন। আমার জমি এখনো নিলামে উঠে নাই, আমি এই জমি বিক্রি করব না, সব খাজনা পরিশোধ করবো।”
জনতার মাঝে দু-একজন ফিসফিশিয়ে বললো, “কথা ঠিক।”হাজার মানুষের সামনে নাবিজার বক্তৃতায় আলী হোসেনের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরলো। এই মুহুর্তে বেহুদার মত কাজ করলে হবে না। স্রোতের অনুকূলে থাকতে হবে। জনতার অভিমতের বিরুদ্ধে যাওয়া আর নিজের পায়ে কুড়াল মারা সমান কথা। সময় শেষ হয়ে যায়নি, নবিজার দিন শেষ, আজ না হোক কাল তার প্রতিশোধ নিতেই হবে।
ঈমাম সাহেব কিছু বলার আগেই আলী হোসেন বললো, ” নবিজার জমি, সে যা বলে তাই হবে, সমস্ত খাজনা দেওয়ার বেবস্থা আমি করবো, এরা আমাদের সন্তান।”
ঈমাম সাহেব বললেন, ” নবিজার ইচ্ছা, আমি খাজনা পরিশোধ করি, তুমি না, গ্রামবাসী ভাইরা, কথা কি ঠিক বলছি?”
“ঠিক বলসেন ঈমাম সাহেব,” সমস্বরে বললো গ্রামবাসী।গ্রামবাসীরা চলে গেলো এবং নাটকের গল্প বিদ্দু্ৎ গতিতে ছড়িয়ে পড়ল আশে পাশের দশ গ্রামে। নবিজার উপস্থিত বুদ্ধির জোরে রক্ষা পেলো ২০ একর জমি, ঘরে ঘরে সেই গল্প সবার মুখে।
কিন্তু আলী হোসেনের কাছে এই নাটক শেষ হয়নি। পরবর্তী ছোবল মারার অপেক্ষায় আছে সে। এবার সে ঘা খাওয়া বাঘের মতো আক্রমন করবে বিধবাকে।
আলী হোসেন যে কতটা বিষাক্ত, এটা শুধু বাইরের লোক নয়, আপনজনেরাও জানে। সেই আপনজনের একজন এবং ভুক্তভোগী স্বয়ং আলী হোসেনের ভাই রইসুদ্দিন মাওলানা, মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল। মাদ্রাসাটা গ্রাম থেকে ৫ মাইল দূরে। সাইকেলে যাতায়াত করেন মাওলানা সাহেব। মাদ্রাসা ছুটির পর মাওলানা সাইকেলে উঠলেন, কিন্তু গন্তব্য বাড়ি নয়, ময়মংসিংহ শহর, তিনি জানেন নবিজা এবং তার দুই শিশু একটুও নিরাপদ নয়। তার ব্যবস্থা না করে তিনি ঘরে ফিরবেন না।
গতকালের নাটক দেখতে হাজার খানেক মানুষ জোরো হয়েছিলো, একদিন যেতে না যেতেই নবিজার বৈঠকঘর এবং আশ-পাশের উঠান জুড়ে আবার জড়ো হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার, কাচারির নায়েব, আলী হোসেন, মসজিদের ঈমাম সাহেব সবাই উপস্থিত। ময়মনসিংহ শহর থেকে এসেছেন স্বয়ং জেলা প্রশাসক পুলিশ নিয়ে।
উপস্থিত ইউনিয়নের সবার সামনে জেলা প্রশাসক সাহেব ঘোষণা করলেন, “নাবিজা এবং তার সন্তানদের মাথার উপর কোনো পুরুষ নাই, তার মানে এই নয় যে তাদের কেউ নাই। দেশের আইন সবার জন্য। অসহায় ভেবে কেউ যদি এই পরিবারের অনিষ্ট করে অথবা তাদের স্থাবর-অস্থাবর সহায়-সম্পত্তি গ্রাস করার পরিকল্পনা করে, তাদের বিরুদ্ধে আইন-অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এমনকি জেল-জরিমানাও হতে পারে। পুলিশ যদি দ্বিতীয়বার এই গ্রামে আসে, হাতকড়া নিয়ে আসবে এবং খালি হাতে ফিরে যাবে না।” নাটকের প্রথম পর্ব দশ গ্রাম ছুয়েছিল, দ্বিতীয় পর্বে জেলা প্রশাসকের কঠোর নির্দেশ দশ ইউনিয়ন ছাড়িয়ে গেল। যেই আলী হোসেন এক বসায় আস্ত খাসির রান হজম করতে পারে, বদলে যাওয়া মানুষের চাহনি কয়েক দিনের মধ্যে সেই আলী হোসেনের পাকস্থলিতে গুর-মুড় ঝড় তুলে দিলো, অসহ্য বদ হজম, সে দূর-দেশে চলে গেলো লম্বা সফরে। বাকি যারা মনে মনে জমি দখলের সমীকরণ করেছিল, তারা নাবিজার বাড়ির ত্রিসীমানায় আর কোনদিন ঘেষে নাই।একদিন আসিয়া আর ফাতেমা প্রাইমারি স্কুল শেষ করে ফেললো। নাবিজা বাচ্চাদের সেকেন্ডারী স্কুলে দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করছেন, কিন্তু সেকেন্ডারী স্কুল অনেক দূরে, প্রতিদিন যাতায়াত করা সম্ভব নয়। স্কুলের কাছে কারো বাড়িতে লজিং রেখে যে পড়াবেন তাও সম্ভব নয়, কারণ ওরা মেয়ে। আজ যদি ওদের বাবা বেঁচে থাকতেন, নিশ্চই একটা সমাধান বের করতেন। মেয়েদের বাড়িতে বসিয়ে রাখাও মুশকিল। গ্রামের অনেকেই প্রস্তাব দিচ্ছে তাদের ছেলেদের সাথে এই ছোট্ট মেয়ে দুটোর বিয়ে দিতে। বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার মূল কারণ একটাই, মেয়েকে ঘরে তুলতে পারলে সাথে পাবে প্রচুর জমি। আর নবিজাও জানে, জমি লিখে না দিলে সনাতন পদ্ধতিতে অত্যাচারিত হবে তার অবুঝ শিশু। কিন্তু পরিস্থিতি এমন যে , বিয়ে না দিয়ে মেয়েদের ঘরে বসিয়ে রাখলে পাড়া-প্রতিবেশীরা খোচাতেই থাকবে। বাচ্চাদের বাবার শুন্যতা প্রতি মুহুর্তে অনুভব করে নাবিজা, কিন্তু আজ বেশি মনে পড়ছে, সে থাকলে পাড়া-প্রতিবেশীরা চাপ দিতে পারতো না। নিজেকে বড়ই অসহায় মনে হচ্ছে নাবিজার।
এই দুঃসময়ে একদিন মাওলানা তার এক বন্ধুকে নিয়ে নাবিজার বাড়িতে হাজির। বন্ধু দূর গ্রামের আরএক স্কুলের শিক্ষক। নাবিজাও তাকে চিনেন, এর আগেও মাস্টার সাহেব এই বাড়িতে এসেছিলেন বাচ্চাদের বাবার সাথে। তখন উনি বলেছিলেন, “ভাবী, আর একদিন আসবো আপনার মেয়েকে নিয়ে যেতে।” মাস্টারের আজকের আগমন নাবিজার কাছে স্পষ্ট।
মাস্টার বললেন, “ভাবী, আমার ছেলে কলেজে পড়ে, লজিং থাকে দূর গ্রামে, ফাতেমা আমাদের কাছেই থাকবে। ও খেলাধুলা করবে আর আমি ওর পড়ালেখার দায়িত্ব নিলাম।”
নবিজা এই প্রস্তাবে খুশি হননি, কিন্তু রাজি হয়েছেন ক্ষীন আশায়, দুরে গিয়েও যদি মেয়েটা ভালো থাকে, অন্তত পাড়া-প্রতিবেশীদের কু-নজর থেকে রেহাই পাবে।
তের বত্সর বয়সে কিছু বুঝার আগেই ফাতেমার বিয়ে হয়ে গেলো এবং খেলার বয়সেই চলে গেলো দূর গ্রামের শ্বশুর বাড়িতে।নতুন বউ দেখার জন্য আসে পাশের বাড়ি থেকে মেয়েরা জড়ো হয়েছে মাস্টার বাড়িতে। চারজন বেয়ারা পাল্কি নামালো উঠানে। ভেতরে আসিয়া আর ফাতেমা বসে আছে । নাবিজা আসিয়াকেও পাঠিয়ে দিয়েছিলেন, দুই বোন জন্মের পর থেকেই একসাথে বড় হয়েছে, শশুর বাড়িতে ফাতেমার একাকিত্ব কিছুটা লাঘব করতেই আসিয়ার আগমন। কয়েকদিন থেকে চলে যাবে আসিয়া।
ফাতেমার শাশুরী আসিয়াকে ডেকে বললেন, “তুমি বাপের বাড়ি চলে যাও, আর শোনো, ফাতেমা এক পোটলা খেলনা এনেছে, ওগুলো ফেরৎ নিয়ে যাবে।”
পাল্কি যখন ফিরে এলো, আসিয়া আর খেলনার পোটলা দেখে ডুকরে কেঁদে উঠলো নাবিজা। চিত্কার করে বললো, “মাওলানাকে খবর দে,” তারপর পারিবারিক গোরস্তানে গিয়ে স্বামীর কবরে আছড়ে পড়ে বললেন, “তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও, মনে হয় মস্ত ভুল করে ফেলেছি, তোমার ছোট্ট শিশু ফাতেমাকে আমি কোথায় পাঠিয়ে দিলাম?”
ফাতেমার জন্য শোকাতুর নাবিজাকে সামান্য সহানুভুতি তো দুরের কথা, গ্রামের মানুষ উল্টা তাকে শাসালো, “দূর গ্রামে মেয়েকে দিয়ে দিলা, আমাদের ছেলে কি লুলা, অসুবিধা কি? আরেক মেয়েতো আছে, তাকে দাও।” ওরা এবার আসিয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগলো। নাবিজা পন করেছে, এক মেয়েকে নাবালিকা অবস্থায় দুরে পাঠিয়েছি, সেই ভুল আর নয়।
নাছোরবান্দা লোভী গ্রামবাসীদের সামাল দিতে নাবিজার পাশে আবার এসে দাড়ালেন মাওলানা সাহেব। এবং একদিন আসিয়ারও বিয়ে হয়ে গেলো, কিন্তু দূর গ্রামে নয়, তারই চাচাত ভাইকে বিয়ে করেছে আসিয়া। গ্রামবাসীদের লোভ-লালসা দূর হলো, জমিও রক্ষা পেলো, আর অন্তত একটা মেয়ে সারাজীবন নাবিজার পাশে থাকবে। পথে-ঘটে দেখা হলে সসন্মানে মাওলানাকে সবাই সালাম দেয়। আসিয়ার বিয়ের পর বিক্ষুব্ধ কিছু গ্রামবাসী দুধের সাধ ঘোলে মিটানোর জন্য মাওলানাকে সালাম দিয়ে কটাক্ষ করে বলে, “মাওলানা সাহেব, আপনার মাদ্রাসায় আমার ছেলেকে না দিয়ে ভুল করেছি, একসাথে দাখিল, আলিম, ফাজিল, কামিল সব সার্টিফিকেট পেয়ে যেত।”
“মিঞা ভাইয়ের এত রাগ কেন?”
“শুনেছি, একঢিলে মানুষ দুই পাখি মারে, মাওলানা সাব, আপনার নিশানা তীক্ষ্ণ, তিন/চারটা পড়ে যায় এক ঢিলেই, আমাদের মারবেন নাতো?”
“আল্লাহ আপনার সন্তানদের হেফাজত করুন।”
“আমার পাকা ধানে মই দেন আপনি, আবার ছেলের জন্য দোআ-ও করেন আপনি, মাশাল্লাহ!”
“আল্লাহ আপনাকেও হেফাজত করুন। লোভ-লালসা আপনাকে সার্কাসের ভাঁড়-এর চেয়ে বড় কিছু বানাতে পারেনি। আপনার কারণে যদি কারো ক্ষতি হয়, বিশেষ করে এতিম শিশুর, এই বান্দা সেখানে হাজির থাকবে।”এক বত্সর পর ফাতেমা ফিরে এলো বাবার বাড়ি। শীতের সময়, গায়ে শাল জড়ানো। নাবিজা মেয়ের জন্য এটা-সেটা, হরেক রকম পিঠা তৈরী করেছেন। কিন্তু ফাতেমা বলে, “একটু পরে খাব মা।” নাবিজা মেয়েকে ধরে নিয়ে গেলেন ঘরের ভিতরে, সবার আড়ালে। শাল সরিয়ে মেয়ের দুই হাত তুলে ধরলেন, ছেড়া কাপড়ের পট্টি বাধা দুই তালুতেই। নাবিজা হাতের তালু চুমু দিলেন। ফাতেমা ডুকরে কেঁদে মাকে জড়িয়ে ধরলো।
নাবিজা শক্ত হয়ে প্রশ্ন করলো, “আমাকে জানাওনি কেন? আমিকি তোমার পর?”
“তুমি যদি এইসব জানো, কষ্টে মরে যাবা, তখন আমি কার কাছে আসব?”
“মাস্টার জানে?”
“না।”
“জানাওনি কেন?”
“তাহলে আমার শাশুরী আরো দ্বিগুন কাজ দিবে।”
“যে বয়সে হাতে ফোস্কা পড়ার কথা, তার অনেক আগেই আমি তোর্ জন্য সে ব্যবস্থা করে দিয়েছি, আমাকে মাফ করে দিস.”
“মা, যাদের বুদ্ধি আছে, তাদের হাতে ফোস্কা পড়ে না। আমি কথা দিচ্ছি, তোমার মেয়ে আর বোকা থাকবে না. রাখোত এইসব, ক্ষিদে পেয়েছে, পিঠা দাও।”
“মাওলানা তোকে দেখতে যায়?”
“হে, চাচা প্রতিমাসে একবার করে আসেন, আমার শ্বাশুরী যা যা পছন্দ, সব নিয়ে আসেন চাচা। একদিন শামগঞ্জ বাজার থেকে দশসেরি ওজনের চীতল মাছ এনেছিলেন।”
“তোর্ চাচাকে পা ছুয়ে সালাম করিস না?”
“করবনা কেনো?”তার মানে ফাতেমার হাতের ক্ষতের কথা মাওলানা জানে। তার মেয়ের সব খবরা-খবর রাখে মাওলানা, কিন্তু নবিজাকে কিছুই বলেনি। ফাতেমাকে নিয়ে রান্না ঘরে চলে গেলেন নবিজা। মার কাছে বেড়াতে আসা মেয়ের ক্ষত’র কথা ভুলে গেল নাবিজা, শুধু তাই নয়, মাওলানা তার মেয়ের উপর নজর রাখছে, এটা জানতে পেরে ভারী পাথরটা বুক থেকে নেমে গেল।
দুই বত্সর পেরিয়ে গেলো। ফাতেমার স্বামী কলেজ শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে গেলো। আগে সপ্তাহে একবার করে বাড়ি আসত, এখন তিন মাসে একবার আসে। তারপরও পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। একদিন স্বামীর বইখাতা নিয়ে বৈঠক ঘর থেকে ঘরে ফেরার পথে শ্বাশুরী ফাতেমাকে ডেকে বললেন, “পড়ালেখার সময় তুমি ওর পেছনে ঘুর-ঘুর কর কেনো? পরীক্ষায় ফেল করলে সব দায়িত্ব তোমার। আর শোনো, ছেলে যখন বাড়ি আসবে, তুমি আমার আসে-পাশে থাকবা।” কঠিন সব শর্ত ফাতেমার সয়ে গেছে। অপেক্ষায় থাকে কবে আসবে তার স্বামী।
শ্বাশুড়ি-যে ফাতেমার উপর প্রচন্ড খবরদারি করে, এটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া ছেলেও জানে। কিন্তু কখনো মা-কে শুধরানোর চেষ্টা করেনা, কারণ সে জানে পান থেকে চুন খসলেও সেটা ফাতেমার দোষ. মনে মনে সে প্রতিজ্ঞা করেছিলো, কোনো অবস্থাতেই ফেল করা যাবে না।মাস্টার সন্ধ্যায় ফাতেমার সাথে গল্প গুজব করেন। লাইব্রেরি থেকে বই এনে দেন। নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন। শ্বাশুরী এই আড্ডায় কখনো বাধা দেন না, কারণ ফাতেমা তার সমস্ত কাজ শেষ করেই শ্বশুরের সাথে আড্ডা দেয়। আসলে, আড্ডার লোভে ফাতেমা তার সমস্ত কাজ আগেভাগেই শেষ করে ফেলে। শ্বশুরের কাছ থেকে ফাতেমা অনেক কিছু শিখেছে। বই পড়েও জেনেছে অনেক কিছু। পাড়ার মেয়েদের সাথে তার অর্জিত জ্ঞান ভাগাভাগি করে ফাতেমা। এমনকি দূর গ্রামের মেয়েরাও মাস্টার বাড়িতে বেড়াতে আসে ফাতেমার গল্প শুনার জন্য। শ্বাশুরী এইসব পছন্দ করেন না, কিন্তু কিছু বলতেও পারেন না. মেয়েরা ইদানিং চালক হয়ে যাচ্ছে, শ্বাশুরী কিছু বলার আগেই মেয়েরা এটা সেটা করে দেয়, তার কাজ লুফে নেয়। বলবেন কিভাবে?
মাস্টার বাড়িতে পাল্কি এসেছে। প্রত্যেক বাড়ির বউ এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করে, বাবার বাড়ি থেকে পাল্কি আসবে তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু এখন ভরা ধান কাটার মৌসুম, এই সময় পাল্কি আসার কথা নয়। পাড়ার মেয়েরা পাল্কি ঘিরে ধরেছে, সবার মনে প্রশ্ন, কে পাঠালো পাল্কি?
ফাতেমার শ্বাশুরী মেয়েদের ভিড় ঠেলে পাল্কির সামলে এসে দাড়ালেন। পাল্কির পাশে কুদ্দুস বসে আছে, ফাতেমার মার বাড়ির কমলা। পাল্কি বহনকারী চারজন বেয়ারা দূরে আমগাছের তলায় বিশ্রাম নিচ্ছে।
“কে পাঠিয়েছে পাল্কি? ফাতেমার মা?” কুদ্দুসকে প্রশ্ন করলেন ফাতেমার শ্বাশুরী।
“জে না চাচি।”
“তবে?”
“ফাতেমা’র মা’র জ্বর তিন দিন ধরে.”
“তুমি নিজেই পাল্কি নিয়ে এসেছো, বাড়ির চাকরের এতবড় স্পর্ধা। মাস্টার বাড়ির বউকে নিতে হবে চাকরের ইচ্ছায়?”
“ফাতেমার বাবা এই জ্বরেই মারা গিয়েছিলেন, আপনে ফাতেমাকে যেতে দেন চাচি।”
“ভরা ধান কাটার মৌসুম, আমার কোমর বেথা। নিজের কাজ ঠিকমত করতে পারিনা, ফাতেমা চলে গেলে ওর সমস্ত কাজ আমাকেই করতে হবে, সম্ভব না। পাল্কি ফেরৎ নিয়ে যাও, কাজ শেষ হলেই ফাতেমাকে পাঠিয়ে দিব।”
হাটু গেড়ে কুদ্দুস বসে পড়ল, ” চাচি, অনেক দেরী হয়ে যাবে, ফাতেমা আজ না গেলে ওর মাকে আর পাবে কিনা জানিনা।”
পড়ার মেয়েরা স্তম্ভিত হয়ে দাড়িয়ে আছে, ফাতেমাও রয়েছে সেই দলে। একজন সাহসী মেয়ে এগিয়ে এলো, ” চাচি, আমরা করবো ফাতেমার কাজ, আপনার কোমর ব্যথা, আপনারটাও করবো, ফাতেমাকে যেতে দিন।”
শ্বাশুরী ভিড় ঠেলে ফাতেমা’র সামনে এসে চিত্কার করে বললেন, “তিল-তিল করে গড়েছি আমি এই সংসার, তোমার কারণে পাড়ার পুচকি মেয়েরা আমাকে শলা-পরামর্শ দেয়, তুমি যাও, এই মুহুর্তে আমার সামনে থেকে চলে যাও।”ফাতেমা তার শ্বাশুড়িকে জপটে ধরে অঝোর ধারায় ডুকরে কেঁদে ফেললো, এই বাড়িতে প্রথম বারের মতো কাঁদলো ফাতেমা।
উঠানে পাল্কি থেকে নেমেই দেখলো মাওলানা চাচা বসে আছেন, তার চরিদিকে পাড়া-প্রতিবেশী, যেন এটা একটা মরা বাড়ি, কেউ মারা গিয়েছেন। ঘর ভর্তি মেয়ে মানুষ। মার হাত ধরে কাঁদছে আসিয়া। ফাতেমাকে দেখে অনেকে ফিসফিসিয়ে বললো, “নাবিজা এখন শান্তিতে মরতে পারবে।” মার পাশে এসে আচল থেকে চাবি নিয়ে সিন্দুক খুলে টাকা বের করে একটা রুমাল ভরে বাইরে চলে গেল ফাতেমা। রুমালটা মাওলানা সাহেবের হাতে দিয়ে বললো, “চাচা, এই দেশের সবচেয়ে ভালো ডাক্তারকে নিয়ে আসেন, এক্ষুনি, যেখান থেকে পারেন।”
তিন ঘন্টার মধ্যে মাওলানা জেলা প্রশাসকের গাড়ি নিয়ে হাজির। ফাতেমা, আসিয়াসহ নাবিজাকে নিয়ে মাওলানা রওয়ানা দিলেন রাজধানী ঢাকার দিকে।একমাস পর ফাতেমা ফিরে এলো শ্বশুর বাড়ি। সারা বাড়ি হৈ-চৈ, বিশেষ করে আশ-পাশের বাড়ির মেয়েরা ছুটে আসলো। মার বাড়ি থেকে বিদায় নিয়ে প্রতিবার ফাতেমা কাঁদতে কাঁদতে শ্বশুরবাড়ি আসে, এইবার এসেছে গর্ব নিয়ে। এযাত্রা মা বেঁচে গেছেন, মৃত্যুসজ্জা থেতে মাকে ফিরে পাওয়ার আনন্দ এতবড় যে শ্বশুর বাড়ির কোনো অত্যাচার তাকে আর স্পর্শ করতে পারবে বলে মনে হয়না।
কিন্তু শ্বাশুরী আগের চেয়েও বেশি গম্ভীর, ফাতেমাকে কিছুই জিগ্গেস করলেন না. তোমার মা কেমন আছেন? কেন একমাস দেরী হলো? কিছুই না। তারপরও ফাতেমা শ্বাশুরীর কাছ-লাগা হয়ে গেলো। ভারী ধানের ঝুড়ি তুলতে চাইলে ছুটে আসে ফাতেমা, কেড়ে নেয় শ্বাশুরীর হাত থেকে। শীতের রাতে কাছে এসে লেপ মুড়ে দিয়ে যায়। মাস্টার সাহেব কোনো কারণে তার স্ত্রীর উপর রাগ করে কিছুই বলতে পারেন না, মাঝখানে দেয়াল হয়ে দাড়ায় ফাতেমা। এইসব নাক গলানো শ্বাশুরীর অপছন্দ। মাঝে মাঝে ফাতেমাকে বকা-ঝকাও করেন, “তোমার কাজ তুমি কর, এত বিরক্ত কর কেন?” ফাতেমা কোনো কথাই শুনে না। তার একটাই চিন্তা, “আমার শ্বাশুরী যেতে দিয়েছিলেন বলেই মা আজ বেঁচে আছেন, উনি আমাকে যতই দুরে ঠেলুক, আমি থাকব তার পাশে।” যখন শাশুরী বেশী বিরক্ত হন, ফাতেমা জপটে ধরে চুমু দিয়ে পালিয়ে যায়. উনি তখন চিত্কার চেচামেচি শুরু করে দেন, “বেসরম মেয়ে, পাজি মেয়ে, আমার কাছে আসবে না।”
একদিন শ্বাশুরী ফাতেমাকে ডেকে পাশে বসালেন, “তোমার মাতব্বরি আর ভালো লাগে না. আমি খুব বিরক্ত। এখন থেকে তুমিই সংসার দেখাশুনা করবে, এই নাও চাবি।”
সংসারের টুকিটাকি খবর হাট-বাজারের দিন এবাড়ি থেকে ওবাড়ি আদান-প্রদান হয়। নাবিজা গোরস্থানে তার স্বামীর কবরের পাশে বসে বললো, “তোমার মেয়ে তার শ্বাশুরীর মন জয় করেছে, তুমি থাকলে অন্তত একটা পুরস্কার দেয়ার জন্য আজ দৌড়ে যেতে মেয়ের কাছে।”সতেরো বত্সর বয়েসে ফাতেমা মাস্টার বাড়ির রাজত্ব পেয়েছিলো, কিন্তু বেশিদিন উপভোগ করতে পারেনি। তার স্বামী বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করে সরকারী চাকরী পেয়েছে। বাড়ি এসেছে ফাতেমাকে নিয়ে যেতে। শ্বাশুরী ফাতেমাকে ধরে ডুকরে কেঁদে ফেললো, “আমি একজন ভালো স্বামী পেয়েছি, আল্লাহ আমাকে ৫টা সন্তান দিয়েছেন, কিন্তু আমার কোনো ‘সই’ নাই, এই বয়সে তোমাকে পেয়েছিলাম, এখন তুমিও চলে যাচ্ছ?”
“মা, আমাকে হাসি মুখে বিদায় দেন, আমি যাচ্ছি নতুন দুনিয়াতে, কথা দিচ্ছি প্রতি বত্সর আসব।” সংসারের চাবি ফেরৎ দিয়ে চলে গেল ফাতেমা।
দিন গড়িয়ে গেল অনেক। এরমধ্যে আসিয়া জন্ম দিয়েছে চার সন্তান এবং ফাতেমা ছয় সন্তান। পাল্টে গেল নাবিজার দিন, আসিয়ার বাচ্চাদের নিয়ে ব্যস্ত সারাক্ষণ, ওদের গল্পের শেষ নাই। স্কুলের গল্প, খেলাধুলা আর মাছ ধরার গল্প। এরমধ্যে প্রায়ই ঢাকা যেতে হয় তাকে, বিশেষ করে ফাতেমার অন্তসত্তার সময়টা পাশে থাকেন নাবিজা। ঢাকার নাতিদের দেখাশুনা করা, তাদের ঘুম পড়ানো, সব নাবিজার কাজ। রাতে বাচ্চাদের গল্প বলতেই হবে, নাহলে ওরা ঘুমাবেনা।
“আমার মস্তবড় একটা কুকুর আছে, ওর নাম ‘ভোলা’। ওর ঘেউ ঘেউ শুনে শেয়াল আমার বাড়ির দশ মাইল দূর দিয়ে যাতায়াত করে. হাস-মুরগি আর ছাগল, কিছুই নিতে পারেনা ওরা।
কিন্তু সমস্যা হলো, যখন আমি ঢাকা আসি, ভোলা আমাকে ছাড়তে চায় না। বাড়ি থেকে রিক্সায় চড়লেই ও বুঝে ফেলে আমি ঢাকা যাচ্ছি, প্রতিবাদ করে লম্বা একটা ঘেউ দিবে, তারপর রিক্সার পেছনে দৌড়াবে। যতই বলি, “ভোলা তুই বাড়ি যা, হাস-মুরগি কে দেখবে?” কিন্তু আমার কথা কে শুনে? গুদারা ঘাটে রিক্সা থেকে নেমে আমি ফেরীতে চড়ি, ভোলা লাফ দিয়ে ফেরীতে উঠতে চায়। আমি ধমক দিয়ে ওকে থামিয়ে দেই, ও নদীর তীরে বসে লম্বা ঘে-উ দিয়ে তাকিয়ে থাকবে যতক্ষণ ফেরী চোখের আড়াল না হয়।”
“এখন ভোলা কি করছে?” প্রশ্ন করে বাচ্চারা।
“নদীর তীরে বসে আছে, আর প্রতিটি ফেরীর দিকে নজর রাখছে কখন আমি ফিরে আসি। তারপর যেদিন আমি ফিরে যাই, ভোলা দূর থেকে বুঝে ফেলে, আমি এই ফেরীতে আছি, ঘাড় উঁচু করে ঘর-ঘর শব্দ করবে কিছুক্ষণ, তারপর একটা ঘেউ, দুইটা ঘেউ, পরে একটা লম্বা ঘে-উ। হাটু পানিতে নেমে ঝাপা-ঝাপি, তীরে ফেরী ভিড়ার আগেই সে লাফিয়ে ফেরীতে উঠবে। আমি রিক্সা নিলে, ও দৌড়ে একবার রিক্সার আগে যাবে, একবার পেছনে, তারপপর রিক্সার পাশ ঘেষে পাহারা দিয়ে আমাকে বাড়ি নিয়ে আসবে। বাড়ি পৌছার আগেই ভোলা দৌড়ে বাড়ির উঠানে চলে যাবে আর লম্বা একটা ঘে-উ দিয়ে সবাইকে জানিয়ে দিবে যে আমি এসেছি। পাড়ার ছোট ছেলে-মেয়েরা তখন হৈ-হৈ, রৈ-রৈ করে ছুটে আসে রিক্সার পাশে, “ভোলা এসেছে, নানী এসেছে।”
“তোমার হাস-মুরগী কোথায়? সব শিয়ালে খেয়ে ফেলেছে?”“উহু, তোদের নানু এতই বোকা? সেই গল্প আরেকদিন বলবো, এখন ঘুমাও।”
PDF Version [Published at SMC Magazine “নোঙর” May 2014]
Mesbah (18th Batch), Manager, IAD, Ocean Tankers Pte Ltd.,Singapore
-
A.K.M Jamal Uddin wrote a new post 10 years, 3 months ago
The international trade between an exporter and an importer has been developed to present state over the years and methods of payment between the parties (seller and buyer) has become a significant issue in the world of import-export trade. There are many methods of payment prevailing , out of them ‘letter of credit’ has become the most popular method of payment, originated in concrete form in 1932 in commercial practice; 1 it has wide-spread international acceptability now in the trade world; because it is a safe method of obtaining payment.
A letter of credit (L/C) is a banking mechanism which allows importers to offer secure terms to exporters while transacting a ‘export-import contract’ between them.
The issuing bank’s role is two-fold 2 :
* to guarantee to the seller that if compliant documents are presented, the bank will pay the seller the amount due. This offers security to the seller – the bank says in effect “We will pay you if you present documents (XYZ)”.
* to examine the documents, and only pay if these comply with the terms and conditions set out in the letter of credit. This protects the buyer’s interests – the bank says “We will only pay your supplier on your behalf if they present documents (XYZ) that you have asked for”
The stages of the letter of credit are 3 :
1. Buyer and seller agree terms, including means of transport, period of credit offered (if any), latest date of shipment, Incoterm to be used.
2. Buyer applies to bank for issue of letter of credit. Bank will evaluate buyer’s credit standing, and may require cash cover and/or reduction of other lending limits.
3. Issuing bank issues L/C, sending it to the Advising bank by airmail or (more commonly) electronic means such as telex or SWIFT
4. Advising bank establishes authenticity of the letter of credit using signature books or test codes, then informs seller (beneficiary). Advising bank MAY confirm L/C, i.e. add its own payment undertaking
5. Seller should now check that L/C matches commercial agreement, and that all its terms and conditions can be satisfied, If there is anything that may cause a problem, an AMENDMENT must be requested.
6. Seller ships the goods, then assembles the documents called for the L/C (invoice, transport document etc.) Before presenting the documents to the bank, the seller should check them for discrepancies with the L/C, and correct the documents where necessary.
7. The documents are presented to a bank, often the Advising bank. The Advising bank checks the documents against the L/C. If the documents are compliant, the bank pays the seller and forwards the documents to the Issuing bank.
8. The Issuing bank now checks the documents itself. If they are in order (and it is a sight L/C), it reimburses the seller’s bank immediately.
9. The Issuing bank debits the buyer and releases the documents (including transport document), so that the buyer can claim the goods from the carrier.
The International Chamber and Commerce has developed certain rules concerning letters of credit and are known as UCP (Uniform Customs and Practice for Documentary Credits ) 500 revision or UCP 400 revision. The English law does not recognize that UCP has the force of law or the status of a trade customs. Article 1 states that :
“The Uniform Customs and Practice for Documentary Credits, 1993 Revision, ICC publication No. 500, shall apply to all documentary credits (including to the extent to which they may be applicable….They are binding on all parties thereto, unless otherwise expressly stipulated in the credit.” 4, Thus UCP will be applied in English Law if the parties have incorporated them into their contract.
The law relating to Letters of credit is founded on two principles 5 :
a) The autonomy of the credit ; and
b) The doctrine of strict compliance.When the seller presents the documents under the letter of credit for payment, he is assured of payment as long as the documents are conforming and all other conditions in the credit have been properly met. It is not open to anyone ( including the buyer) to argue that there has been a breach of the underlying contract of sale and hence, deny the seller payment under the letter of credit. The buyer is not entitled to prevent payment. His only recourse is to take legal action subsequently. The separation between the contract and letter of credit is known as principle of the autonomy of credit, which is explained in Article 3, UCP below.
Article 3 – Credits v Contracts
“ Credits, by their nature, are separate transactions from the sales or other contract(s) on which they may be based and banks are in no way concerned with or bound by such contract(s), even if any reference whatsoever to such contract(s) is included in the credit. Consequently, the undertaking of the bank to pay, accept and pay draft(s) or negotiate and/or to fulfill any other obligation under the credit, is not subject to claims or defenses by the Applicant resulting from his relationship with the issuing bank or beneficiary.”
Article 4, UCP explains relationship between documents and goods, services, performances as below :“ In credit operations all parties concerned deal with documents, and not with goods, services and/or performances to which the documents relate.” 6
The autonomous character of a letter of credit became inevitable in that banks deal in finance, not in goods. Thus , a bank which agrees to operate a credit is solely concerned with the documents tendered by the seller which have been referred to in the contract; it is not concerned with the nature of merchandise in the underlying contract. A letter of credit contract may be described as a money contract which is solely concerned with payment; thus its validity as payment contract is to be confirmed, and the bank agreeing to accept the contract is concerned with the validity of the letter of credit of the contract, which entails examining the documents related to that contract. 7
By virtue of its autonomous character, a letter of credit is compared with a bill of exchange. In Power Curber International Ltd. v National Bank of Kuwait, Lord Denning said that :
“ A letter of credit is like a bill of exchange given for the price of goods. It ranks as cash and must be honoured.” 8
Thus, an undertaking to honour a letter of credit unless fraud exists, is of absolute nature, and the relevant banks is in “no way concerned with any dispute that the buyer may have with the seller”. 9
It is evitable from the above discussion on the legal autonomous characteristics of the letter of credit, in the eyes of law, the court treats a letter of credit is equivalent to cash in hand; only thing is that documents submitted by the seller to the bank must conform with the documents asked and conditions are met as per the letter of credit contract.
If a letter of credit is not treated by the court as cash in hand , the international trade could become impossible and standstill like thrombosis ( prevention of blood flow and formation of blood clots) occurs in our blood stream. Obtaining payment is the vital part of any trade; where the international trade involves with the cross-border trade transactions, no law of any country could guarantee the payment of the trade if the letter of credit is not developed and honoured as cash in hand.
1. Post Graduate Diploma In Maritime Law, Module 7, Dr. Charles Chatterjee, pg 7-13, para 2.5
2. http://www.bizhelp24.com/export_import/letter_of_credit.shtml
3. http://www.bizhelp24.com/export_import/letter_of_credit.shtml
4. Post Graduate Diploma In Maritime Law, Module 7, Dr. Charles Chatterjee, pg 7-84, para 8.5(7-313)
5. Post Graduate Diploma In Maritime Law, Module 7, Dr. Charles Chatterjee, pg 7-85, para 8.5(7-315)
6. Post Graduate Diploma In Maritime Law, Module 7, Dr. Charles Chatterjee, pg 7-85, para 8.5a (7-316)
7. Post Graduate Diploma In Maritime Law, Module 7, Dr. Charles Chatterjee, pg 7-85, para 8.5a (7-317)
8. Post Graduate Diploma In Maritime Law, Module 7, Dr. Charles Chatterjee, pg 7-86, para 8.5a (7-317)
9. Post Graduate Diploma In Maritime Law, Module 7, Dr. Charles Chatterjee, pg 7-86, para 8.5a (7-318)PDF Version [Published at SMC Magazine “নোঙর” May 2014]
——————————–
Md. Golam Sarwar IEng FIMarEST FRINA FCILT MBA PGD. Marine Chief Engineer (UK), MBA ( Canada), PGD(UK), Fellow IMarEST, Fellow RINA, Fellow CILT, Current Chairman of IMarEST Bangladesh branch, Director- International Business Forum of Bangladesh, Director- Bangladesh Myanmar Chamber of Commerce & Industry. MD, Prantik Group
-
A.K.M Jamal Uddin wrote a new post 10 years, 3 months ago
ভাবনা-১ || ১৮ জুন ২০১৩
‘বেইরা’ (মোজাম্বিক) থেকে ‘ডারবান’ (সা.আফ্রিকা) মাত্র আড়াই দিনের পথ l দক্ষিন বরাবর সোজা নিচে নামলেই হয়ে গেল l কোন সেকেন্ড মেটের জন্য এর চেয়ে সহজ প্যাসেজ প্ল্যান আর হয়না l দিগন্তজোড়া নীল সাগর-আকাশের মহামিলন দৃশ্য, অদ্ভুত সুন্দর তারাময় পূ্র্ণিমা রাত, নীল তিমির জল-ক্রীড়া আর ডলফিনের মিছিলের স্মৃতি পেছনে ফেলে প্রায় ঠিক সময়েই ‘ডারবান’ পৌঁছালাম l যাত্রা পথে আরও জাহাজ দেখলাম, গম্ভীর-ব্যস্ত পথিকের মতো ওরা সবাই নিজ পথে চলছে আপন গন্তব্যে! পথ তো পথিকের পানেই চেয়ে থাকে l পথিক শূন্য পথ, তারা বিহীন রাতের অন্ধকার আকাশের মতোই নিষ্প্রান!আমরা সবাই – প্রত্যেকটা মানুষ বিরামহীন ছুটে চলেছি নিজ নিজ লক্ষ্যপানে l বিশেষ করে ছাত্র, যুবক, তরুন পেশাজীবি-ব্যবসায়ী-রাজনীতিবিদ সবারই নিজস্ব স্বপ্ন আছে l কিন্তু নিজের কাছেই যদি সেই স্বপ্নযাত্রার লক্ষ্য পরিষ্কার না থাকে, সাথে যদি চেষ্টা ও পরিকল্পনায়ও ত্রুটি থাকে, তাহলে পথের শেষ দেখা আসলেই কঠিন l ‘এইম ইন লাইফ’ যাতে ‘পেইন ইন লাইফ’ এ রূপ না নেয়, সেজন্যে শুরু থেকেই চাই নিখাদ প্রস্তুতি l তুমি যদি এ সফরের এক মুসাফির হও, তোমাকেই খুঁজে নিতে হবে সঠিক রাস্তা l এক্ষেত্রে পথ পথিককে নয়, পথিককেই পথ চিনে নিতে হবে l তা না হলেই বিপত্তি l আর এ বিপত্তি তোমায় পরিণত করবে কম্পাসবিহীন এক দিশেহারা নাবিকে l বিভ্রান্ত আর হত-বিহবল হয়ে হয়তো মনে মনে আওড়াবে তখন… ‘আরে!, যাবো ঠিক করলাম মঙোলিয়া, কিন্তু কিভাবে যে এসে গেলাম সোমালিয়া….!!’
AIM, EFFORT AND DETERMINATION….. WILL SET YOU FOR THE DESTINATION.
ভাবনা-২ || ১৪ জুন ২০১৩
ছবিতে যে ‘গার্ডেন প্ল্যান্ট’ দেখতে পাচ্ছেন ওটার নাম ‘ব্রোমেলিয়া’ l প্রায় বছর দুয়েক আগে জাহাজের নেভিগেশন ব্রীজের একটি টবে লাগিয়ে ছিলাম l শুধু মাত্র একটি পত্র-গুচ্ছ ছিল গাছটার সম্বল l এখনতো পাতায় পাতায় ভরে গেছে গাছটা l কিছুদিন আগে জয়েন করলাম সেই একই জাহাজে l খুব ভালো লাগলো টবটা দেখতে পেয়ে l বুঝাই যায় বেশ যত্ন পেয়েছে ও l এ দুই বছরে নেভিগেশন ব্রীজে পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করা অফিসারদের তালিকা করতে গেলে অনেক লম্বাই হবে তা l গাছটার দিকে সবাই ভালো দৃষ্টি রেখেছিল বলেই এতটা দৃষ্টি-নন্দন হতে পেরেছে ওটা l এক ইউক্রেনিয়ান অফিসার তো নাকি কিভাবে প্ল্যান্ট এর যত্ন নিতে হয় তার একটা নির্দেশনামূলক পোস্টারও ঝুলিয়ে দিয়েছিল টবটার পাশে l
………..
আমরাও কি কম যত্নবান আমাদের নিজেদেরকে নিয়ে ? সবাই-ই তো নিজেকে, নিজের পরিবার-বাড়ী-গাড়ী-অফিস ইত্যাদী সুন্দর করে সাজানোর জন্য কত পরিকল্পনা করি… সাজাইও l এ ব্যাপারে সবাই খুব সচেতন আর চেষ্টার কমতিও নেই কারো l কিন্তু দুঃখ লাগে তখন, যখন দেখি এই একই মানুষদের নিজের সমাজ ও দেশকে নিয়ে সুন্দর কোন পরিকল্পনা নেই l দেশ ভালো না থাকলে নিজের ভালো দিয়ে কি হবে ?
কখন আমরা আর আমাদের নেতারা একটা সুখী-সমৃদ্ধশালী-সুন্দর দেশ গড়ার জন্য ভাববো ?ভাবনা-৩ || ২৯ জুন ২০১৩
‘ম্যান্ডেলা’র দেশ সাউথ আফ্রিকায় আছি গত ১০ দিন ধরে l এই ভদ্রলোকের বয়স ৯৫ প্রায় l অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হবার পর থেকেই পৃথিবীজুড়ে তাঁর জন্য শুভ কামনা আর প্রার্থনার নজিরবিহীন ব্যাকুলতা শুরু হয়ে গেছে l কেউ দ্বিমত করবেন না মনে হয় – ‘নেলসন ম্যান্ডেলা’ জীবন্ত কিংবদন্তি বলতে যা বুঝায় তার চেয়েও বেশী l অধিকার আদায় সংগ্রামের অপরাধে জীবনের প্রায় এক তৃতীয়াংশ তিনি কাটিয়েছেন জেলখানার অন্ধকারে l হাল ছাড়েননি কখনো শত অত্যাচারের পরও l মুক্ত হয়ে দেশবাসীকেও মুক্ত করেছেন দাসত্বের শৃংখল থেকে l বিশ্ববাসীর কাছে নিজের মর্যাদা পৌঁছে দিয়েছেন হিমালয়সম উচ্চতায় l দেশ পরিচালনায়ও অতিক্রম করেছেন সাদাদের l নিজেকে পরিণত করেছেন বর্তমান দুনিয়ার নেতাদের নেতায় l সবাইই চায় উনি সুস্থ হয়ে আবার ফিরে আসুন আমাদের মাঝে lদুই চাকার গাড়ী সাইকেল চালানোর হাতে খড়ি হয় আমার ফনিক্স বাই-সাইকেল দিয়ে l ধরে নেয়া যায় আমাদের প্রজন্মের প্রায় সবাই চালিয়েছেন এটা l পেছনের ক্যারিয়ার/সিটেও চড়েছেন সবাই l আবার চালকের সিটের সামনের ক্যারিয়ার (পাইপ) এ চড়ার অভিজ্ঞতা যাদের আছে তারা জানেন এটা কতটা কষ্টকর l আর রাস্তা যদি আমাদের পুরান ঢাকার মতো হয়, তাহলেতো পেছনের ব্যাথা সারানোর জন্য ‘ঝান্ডু বাম’ও যথেষ্ঠ হবে বলে মনে হয়না l অবশ্য নাটক-সিনেমায় দেখে থাকবেন, নায়িকাকে সামনে বসিয়ে নায়ক গল্প শুনিয়ে প্যাডেল মারছে আর নায়িকাও হাসি মুখে মুগ্ধ হয়ে তা শুনে যাচ্ছে… সেটা ভিন্ন ব্যাপার… অভিনয় শিল্প বলে কথা… !
কিন্তু আমাদের নেতারা যে সেই নায়কের মতো আরাম সিটে বসে যুগ যুগ ধরে আম-জনতাকে সামনের সিটে বসিয়ে একের পর এক বাসী গল্পগুলো শুনিয়ে যাচ্ছে তার কি হবে ?
আমরা কি আগেই ‘পেইন কিলার’ নিয়ে বসে আছি ?
নাকি ‘পেইন প্রুফ’ হয়ে গেছি ??
ম্যান্ডেলা’র মতো নেতা না হোক, ওর কোন শিষ্যও কি আমরা পাবনা ???শৈশব-কৈশর-যৌবন পেরিয়ে স্বদেশ পরিণত বয়সে পৌঁছেছে অনেক আগেই l
এখন আর ফনিক্স সাইকেল নয়, ফনিক্স পাখির মতো উড়াল দিয়ে চলতে চাই সমৃদ্ধির পথে lভাবনা-৪ || ০১ জুলাই ২০১৩
বিখ্যাত অমুসলিম পন্ডিতদের মধ্যে জর্জ বার্নাড শ, টমাস কার্লাইল, মহাত্মা গান্ধী, ফিলিপ কে. হিট্টি, এম.এন রায়, ড. মরিস বুকাইলি, ড. কিথ মূর, গ্যারি মিলার প্রমুখ ‘ইসলাম, আল কোরআন ও মুহম্মদ (সঃ)’ কে নিয়ে বেশ কিছু গবেষণা মূলক লিখা লিখেছেন l যেখানে এই মহাগ্রন্থকে অবিসংবাদিত, বিজ্ঞানময় আর সর্বগ্রহনযোগ্য হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে আর ইসলাম ও রাসুল (সঃ) কে মানবতার জন্য আশীর্বাদ হিসেবে গন্য করা হয়েছে l
ড. মরিস বুকাইলি তার বিখ্যাত ‘The Bible The Quran and Science’ এ বলেছেন, ‘The Quran does not contain a single statement that is assailable from a modern scientific point of view.’
জর্জ বার্নাড শ বলেন – ‘আমার মনে হয় এটাই একমাত্র ধর্ম – যা জীবনের পরিবর্তিত ধাপের সঙ্গে একাত্মীভূত হওয়ার ক্ষমতা রাখে । সেই কারণে প্রতিটা যুগেই আছে এর (সমান) আবেদন । আমি বিশ্বাস করি, যদি মুহাম্মাদ (সঃ) এর মতো একজন মানুষ আধুনিক বিশ্বের একনায়কের পদ অধিকার করতেন, তাহলে তিনি এমন সাফ্যলের সঙ্গে এর সমস্যা গুলির সমাধান করতে পারতেন, যা এর জন্য প্রয়োজনীয় সুখ ও শান্তি বয়ে আনত ।(Genuine Islam; vol. 1)’আফসোস,
আমরা মুসলমানরাই এখনো সঠিকভাবে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে বুঝে উঠতে পারিনি…
ঈমানের দাবীর মর্মার্থ হৃদয়ে গাঁথতে পারিনি…
দুনিয়ার মানুষের কাছে কোরআন ও হাদীসের আলোকময় বার্তা পৌঁছে দিতে পারিনি lভাবনা-৫ || ০৪ জুলাই ২০১৩
ভূমধ্য সাগরের দক্ষিন-পূর্ব তীর ঘেঁষে আর নীল নদের অববাহিকায় গড়ে উঠা পৃথিবীর সবচেয়ে পুরানো মানব বসতির ইতিহাস প্রায় ৬০০০ বছর খ্রীষ্টপূর্বের l তিন লক্ষ নব্বই হাজার বর্গমাইলের মিশরের ৯৬%ই মরুভুমি l পুরো দেশের মাত্র ৫% ভূমিতেই বসবাস আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল এ দেশের ৯৯% মানুষের l গ্রীষ্মে যেমন তীব্র লু-হাওয়া বয়ে যায় লোহিত সাগরের পাড় ধরে, তেমনি আবার পশ্চিম সীমান্তে তুষার বৃষ্টিরও দেখা মেলে শীত কালে l প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি-বিজ্ঞান সবদিক থেকেই মিশরীয় সভ্যতা এক বিরাট বিস্ময় সারা দুনিয়ার কাছে ! ধন্য আমি, এ বিস্ময়ের কাছাকাছি যাবার সৌভাগ্য হয়েছে আমার কয়েকবার l‘মিশর’ আরবী শব্দ l আর ‘Egypt’ নামটা এসেছে পৌরনিক গ্রীক ‘Aígyptos’ , ফরাশী ‘Egypte’ ও ল্যাটিন ‘Aegyptus’ শব্দত্রয়ের সংমিশ্রনে l
পঞ্চাশের দশক থেকেই আধুনিক মিশরের ইতিহাসে একনায়কতন্ত্রের সূচনা হয় জামাল নাসেরের হাত ধরে l তার যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে আনোয়ার সাদাত ও হোসনী মোবারক দেশ চালায় পশ্চিমা ধাঁচে l দূর্নীতি, নিজেদের আখের গোছানো আর কঠোরহস্তে বিরোধী দমন নিয়ে ব্যস্ত সরকারগুলোর দেশ পরিচালনায় ব্যর্থতারই ফল ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারীর ‘মিশর বিপ্লব’ l যার ধারাবহিকতায় ২০১১ সালের নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে যুগ যুগ ধরে নির্যাতিত ইসলামপন্থীরা জয়ী হয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পায় l পশ্চিমা প্রভাবান্বিত বুরোক্র্যাসী ও সেনাবাহিনীর দীর্ঘ টাল-বাহনার পর ২০১২ এর জুন মাসে ক্ষমতা গ্রহন করে প্রেসিডেন্ট মুরসি l অবাক পশ্চিমা দুনিয়া চুপ করে বসে থাকেনি l এক বছর পার হতে না হতেই যার ফলশ্রুতিতে নানামূখী ষড়যন্ত্রে রক্তাক্ত দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল ‘মুরসী সরকারে’র পতন ঘটালো তথাকথিত দেশপ্রেমিক সেনা বাহিনী, যারা গত পঞ্চাশ বছরেরও বেশী সময় ধরে স্বৈরাচারকেই সাহচর্য দিয়ে এসেছে হাজার হাজার স্বদেশীর রক্তে নিজেদের হাত রাঙিয়ে l তারাই সর্বশক্তি দিয়ে শেষ চেষ্টা করে দমাতে চেয়েছিল মোবারকের বিরুদ্ধে সংগ্রামরত মিশরীয়দের l
চক্রান্তকারীদের সাময়িক বিজয় মিশরের নব-দিগন্তে উদীয়মান সূর্যের উপর হালকা মেঘের আবরন মাত্র, যা পাল্টা-বিপ্লবের দমকা হাওয়ায় হারিয়ে যেতে পারে যে কোন সময় l
ভাবনা-৬ || ২৮ জুলাই ২০১৩
তুরস্কের অটোম্যান শাসনামলের কোন এক সময়ে এক প্রতাপশালী সম্রাট তাঁর মৃত্যুশয্যায় রাজসিংহাসনের উত্তারিধিকারী বড় ছেলেকে ডেকে নিয়ে বললেন-‘তোমাকে একটা শেষ অনুরোধ করি আমি, আশা করি নিরাশ করবেনা আমাকে l আমার মৃত্যুর পর দাফনের সময় আমার প্রিয় মোজা দুটি সাথে দিয়ে দিও, সাবধানে দিও- কেও যাতে দেখতে না পায় l’ ছেলে ভাবলো – এ আর এমন কি কঠিন কাজ ! কথা দিল সে তার বাবাকে যে কাজটা করে দেবে l বাবার মৃত্যুর পর যথারীতি নিজ হাতে দাফনের সময় সবার অগোচরে পুত্র বাবার কাফনের ভেতর মোজার ছোট্ট পুটলিটা ঢুকিয়ে দিতেই পাশেই উপস্থিত কয়েকজনের কাছে ধরা পড়ে গেল l ওরা বাধা দিল, মুরুব্বীরা তিরস্কার করল l ক্ষমতাধর হওয়া সত্বেও কোন মতেই সে কাউকে এ ব্যাপারে রাজী করাতে পারলো না l এক বাক্যে সবাই মতামত দিল, মৃত্যুর পর কাফনের কাপড় ছাড়া মূর্দা আর কিছুই সাথে নিয়ে যেতে পারবেনা l সামাজিক ও ধর্মীয় রীতির বরখেলাপ করা যাবেনা l দাফন শেষে তিনি প্রাসাদে ফিরে আসতেই প্রধান উজির একটা চিঠি দিয়ে বললো যে, মরহুম সম্রাট এটা মৃত্যুর পূ্র্বে তাকে দিয়ে আদেশ করে ছিলেন যে, তাঁর মৃত্যুর পর পরই যেন তাঁর ছেলের কাছে এটা হস্তাতান্তর করা হয় l ভাবী রাজা চিঠিটা পড়তে শুরু করলেন- ‘দেখলে তো, আমার মতো এক মহাপ্রতাপশালী রাজা মৃত্যুর পর সামান্য একজোড়া মোজাও নিজের সাথে নিয়ে যেতে পারলামনা, অথচ কতইনা ক্ষমতাশালী আর ঐশ্বর্যশালী ছিলাম আমি l শোন, সম্পদ সঞ্চয়ের পেছনে দৌঁড়ে সময় অপচয় করোনা l ততটাই সম্পদ রাখো, যতটা দরকার তোমার আর তোমার পরিবারের জন্য l বাকীটা ব্যয় করো প্রজা আর রাজ্যের জন্য – মানুষের মংগলের জন্য l’
উপরের কাহিনীটা বলছিল তুর্কী নাগরিক ওমর হাকান, জাহাজের সদ্য বিদায়ী ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার l জব কনট্রাক্ট শেষে জাহাজ থেকে নেমে আমরা একসাথেই ডারবান এয়ারপোর্ট যাচ্ছিলাম l নানান আলাপচারিতার ফাঁকে গল্পটা শোনাল সে l সদিচ্ছা থাকলে নিজেদের আয়ের ছোট একটা অংশ আমরা সমাজের জন্য, মানুষের কল্যানের জন্য খরচ করতেই পারি l
PDF Version [Published at SMC Magazine “নোঙর” May 2014]
——————————
সাখাওয়াত হোসাইন কমল (২৯) ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ও ২ পুত্র সন্তানের (শেহজাদ ও শেহরাজ) জনক l স্ত্রী ফারজানা রীনা একটি বেসরকারী কলেজের অর্থনীতির প্রভাষক l স্থায়ী নিবাস চট্টগ্রাম -
A.K.M Jamal Uddin wrote a new post 10 years, 3 months ago
The same unblinking eyes seemed to bore into my very soul every time I looked out towards the sky. She was a bedraggled sight in the midst of everything. Her wiry, stringy hair hung limply down her back, barely covered by the rags she wore. Yet what stared insolently from the pallor of her face was a pair of intense eyes framed by dark circles of fatigue. Where her entire being looked lifeless and worn, the eyes remained focused and alert, undaunted by the wrought iron gates.
She had remained in that same position every single day for the last week whenever I was within the walls of my immense mansion. Each day only caused the burden of guilt weighing me down to intensify. My face now manifested the wretchedness that was swallowing my heart and soul leading me to wonder how long before the brunt of it would simply shred me to bits. The moment was captured like a grotesque picture, eternally imprinted in my memories.
The gaunt and elderly gentleman had just stepped off the pavement. The little girl by his side was, fortunately for her, a little slower and thus saved from harm as I watched with numb horror, my speeding form crash into the man with such tremendous force that he was flung off a few meters ahead. The girl’s distraught screams and the thud of human bone impacting heavily on the hard road surface rung in my head like hell itself. In that moment of utter trepidation and panic, selfish thoughts were all my willpower and weak judgement could muster. Simply revving up my Porsche engine I drove away the guilt, fear and shame multiplying and proliferating.
The erratic thumping of my heart driving me into a deep set panic, I could still see the headlines splashed vividly across the front pages as I held the newspapers with trembling hands. They ranged from the speculation of the irresponsibility and heartlessness of the hit and run driver who had robbed little Sue of her only living relative, to outright condemnation of her cowardice at fleeing the scene. It was fortunate that our little neighbourhood could hardly trace this unidentified person and it was with guilty relief I found out that little Sue was vocally impaired. The accident bore no eye witnesses. Not that I was too particularly worried, the local police department was too busy settling their own internal differences and it would be simply foolish for them to try and arrest the single sponsor who has been funding and pumping in enormous amounts of money for them.
Her speech may be impaired but her drive was relentless. She would not rest until I had paid for the death of her beloved grandfather; she was determined to trail me until I realised the full enormity of my crime, even if that meant that she might eventually die doing it. Her blind relentlessness was born of a chillingly simple understanding: this heartless creature must and would pay.
It was something I was only beginning to understand.
PDF Version [Published at SMC Magazine “নোঙর” May 2014]
——————————-
Audity Binta Tareq is a student of Secondary 3, Raffels Girls School (Secondary). She is the daughter of Tareq Mohammad Atiqur Rashid (27) -
A.K.M Jamal Uddin wrote a new post 10 years, 3 months ago
PSLE is around the corner. That means that this year’s batch of Primary 6 is grueling hard to attain a score good enough to get them into their dream schools.
The Primary School Leaving Examinations, widely abbreviated as the PSLE, is one of the many national exams in Singapore that cause stress among many of our youths today.
Self-expectations, expectations from parents, relatives, uncles and aunties, all add up to their stress level. However, this stress isn’t necessarily bad. It helps to motivate the pupil.
Having taken the PSLE last year, I can very well say that PSLE isn’t as difficult as you may imagine it to be. Reason being, MOE has to think of all the average/below average pupils in Singapore. If the paper ends up being too difficult, they will barely pass. Hence, the papers, I would say are fairly moderate.
However, MOE can’t set a paper so easy that even below average pupils can ace. Therefore, among all the easy questions, there will be a certain few, that will make you think deep that certain pupils of a higher ability will be able ace.
Therefore in this article, I’ll give my fellow PSLE juniors or even the others who are going to take the same exam in the next few years a few tips 🙂
1. Don’t burn the midnight oil.
It is always important never to stay up until midnight studying. Reason being, the next morning you will probably find yourself too lethargic to even go to school, or doze off in between classes. Attention during classes is necessary as you are learning new things every single day. Make sure you are energetic for the next day. Going to sleep at around 10:00-10:30 pm is advisable.2. Don’t over study.
Yes, of course, we say it’s good to be hardworking, because hard work is the key to success. However, over studying isn’t good either. Studying too much at once can cause you to forget more easily. So therefore, study slowly and digest what you are learning slowly. Slow and steady wins the race.3. Always revise what you have learnt.
After coming back from school everyday, take an hour or so to look through everything that you have learnt for the day. This helps to refresh your memory and it also helps to remember things better. There are many ways you can remember your notes
For Example:Highlighting the notes in yellow/bright colors
Drawing out the notes
Making it vibrant
Writing notes/mind mapsRevision for the PSLEs should never be left for the last minute as it won’t help much, except merely adding on to the stress before PSLE nights. Always revise early and daily so that the pressure on the night before the PSLEs is minimum.
4. Reflect back on your mistakes and summarize them.
During my PSLE year, what I used to do was to create a list of all the spelling/grammatical/common mistakes I made. Creating a list makes it easier to reflect back on mistakes so that won’t be repeated in future. Summarizing your mistakes makes sure you don’t have to go through the trouble of finding them all over again when revising and it’s also easy to bring along on the day of the PSLE other than bringing along a whole file of worksheets.5. Spend some of your time with your hobbies/interests
This is very important. As the saying goes “All work and no play makes Jack a dull boy”Always remember to spend at least an hour everyday on once a week engaging in your hobby, as it helps you to refresh and cleanse your mind. Studying continuously will make your brain go haywire that is why it is always good to have a 10 minutes break after 1.5 to 2 hours of studying. It might be reading a book, gazing out of the window or even listening to music.
6. Exercise and keep healthy
This brings me back to my 5th point. Studying without any physical activity affects you adversely. Exercise and eat healthily for a healthy outcome of mind and body. At this stage, it is not appropriate for anyone to go on a diet to lose weight as this is our growing period. Make sure you eat moderately and also exercise regularly. Spend 30 minutes of your evenings exercising at least twice a week or so. Keeping healthy will ensure your well-being so that you do not miss classes and also you can keep a fresh and open mind for digesting notes. Drink lots of water and keep fit as at this point of life, falling sick will be the last thing that you would wish for.Everyone has their expectations. Make sure that your expectations are realistic. If you are someone who always scores a ‘B’, then don’t expect yourself to reach an A* overnight. Work towards an ‘A’ first and gradually work towards an A*. Remember ‘Slow and steady wins the race’
On the other hand, if you are consistently scoring an A or A*, remember to never become complacent. Always try to keep up to your level or even so, do better.
Everyone wants to go to the dream school of their choice. For me it has always been a dream to go to one of the top few schools in Singapore. National Junior College is one of the finest schools in Singapore.
Our very own prime minister, Lee Hsien Loong was from NJC.Along with him are many of our other ministers for example Vivian Balakrishnan (Minister of Environment) , Ng Eng Hen (Minister of Manpower), Gan Kim Yong (Minister of State of Education) and the list could go on.
NJC always had a very good reputation of producing fine scholars and amazing A’level results. It is one of the top 5 junior colleges in Singapore.NJC offers a holistic education and needs a minimum of 255(2013 cut-off point) to get into the school, for O’ levels an outstanding score of 5 points.
NJC has a very fun-filled environment with top notch facilities. The NJC environment is very friendly and conducive. The school is huge and amazing. NJC focuses a lot on not only academics but also so much more on the building of one’s character. Being one of the top 5 secondary schools in Singapore-it has produced many President Scholars and talented young people.
I would like to end this article by saying that PSLE isn’t the only exam in your life. There are so many others to come. Infact, its just the beginning of this learning journey.It doesn’t matter where you study ,which school you study in, because at the end of the day it all depends on you as an individual and the sweet fruit of your hard work.
PDF Version [Published at SMC Magazine “নোঙর” May 2014]
—————————-
Saiyara Makhnoon is a student of Junior High 1, National Junior College. She is the daughter of Ataul Majid Ujjal (26)
-
A.K.M Jamal Uddin wrote a new post 10 years, 3 months ago
আমি তখন ইরানি জাহাজে কর্মরত৷ ১৯৯৬ সাল৷ রাজনীতির আকাশটিতে সামান্য একটু ঝড়ো হাওয়ার পর গনতান্ত্রিকভাবে প্রথম ক্ষমতার হাত বদল হয়েছে৷ বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতা থেকে ‘আউট’ হয়েছেন৷ আর ‘ইন ‘ হয়েছেন শেখ হাসিনা ওয়াজেদ৷ ইরানিয়ান এক ফিটার তখন আমাকে জিজ্ঞেস করে, “আগা ( জনাব ), তোমার দেশে হয়েছেটা কি? এক ভদ্রমহিলা ক্ষমতা থেকে বিদায় নিয়েছেন৷ সাথে সাথে অন্য আরেক জন ক্ষমতায় এসে পরেছেন৷ সত্যি করে বলতো দেখি, তোমাদের দেশে কি আসলেই কোন পুরষ নাই?”
বললাম, “থাকবে কীভাবে বলো? ঘর সংসার, বাচ্চা-কাচ্চা, রাষ্ট্র ইত্যাদি চালানোর ভার নারীদের উপর অর্পন করে আমরা সব পুরুষেরা যে জাহাজে চলে আসি৷”
একটা ম্যারাথন হাসি ছড়িয়ে পরলো পুরো কন্ট্রোলরুম জুড়ে৷ বললাম, দেখো এই জাহাজ চালানোটি আসলেই কঠিন৷ বিপরীতক্রমে রাষ্ট্র চালানো পানির মত সহজ৷ জাহাজের অটো-পাইলটের চেয়ে দেশ চালানোর অটো-পাইলট মেকানিজমটি আরো বেশি অটোমেটিক৷ কাজেই ড্রাইভিং সিটে কোন লিঙ্গের ড্রাইভার বসলো সেই চিন্তা অমূলক ৷ আমাদের দেশের জনগণ কখনই অন্যান্য দেশের জনগণের মতো নিজেদের চাল-ডাল-নূন-তেল সংক্রানত ছোটখাট সমস্যা নিয়ে ভাবে না ৷ তারা ব্যস্ত থাকে কে স্বাধীনতার ঘোষ, কে স্বাধীনতার পক্ষে এই ধরনের জটিল সমস্যা নিয়ে৷ বুদ্ধিজীবীদের বুদ্ধির শতকরা ৯৯ ভাগ খরচ হয় এই সব সমস্যার পেছনে৷ ফলে কম্যান্ড সেন্টারে বা ড্রাইভিং সিটে জনতার কোন চাপ নাই৷ নারী হোক ,পুরুষ হোক – এই সিটে বসায় কোন হেরফের নাই৷ অর্থাৎ পুরুষ বসলেও যাই করতো৷ নারী বসেও এখন তাই করছেন৷
আমাদের ক্যাডেট লাইফে জনৈক অফিসারের হাবভাব দেখে আমাদের নিশ্চিত ধারনা জন্মালো যে উনার উপরের চেম্বারে কিছু গোলমাল রয়েছে৷ আমাদের ইমিডিয়েট সিনিয়র ব্যাচের একজন জাহাজের ক্যাডেট মহলে ঘোষণা করলেন, ‘বাছারা, পিতৃদত্ত এই প্রাণটির প্রতি যদি সামান্য মায়া অবশিষ্ট থাকে তবে দিনের বেলায় না পরলেও রাত আটটা থেকে বারোটার সময় লাইফ-জ্যাকেটটি পড়ে থেকো ৷’ কারন ঐ সময়টিতে তিনি ব্রীজের ডিউটিতে থাকেন৷
ঐ নেভিগেটরের যে সব আলামত দেখে আমরা কয়েকজন এই লাইফ জ্যাকেট পরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তার চেয়েও মারাত্মক ধরনের সিম্পটম দেখা যায় রাষ্ট্ররূপী এই জাহাজটির বিভিন্ন নেভিগেটরদের মাঝে৷ জাহাজের মগজটি ত্রুটিযুক্ত হয়ে পরলে নেভিগেটর কিংবা প্রকৌশলী হিসাবে জাহাজের কাজ চালিয়ে যাওয়া কঠিন৷ কিন্তু ঘাড়ের উপর থেকে পুরো মাথাটি বিলকুল গায়েব হয়ে গেলেও মনে হয় রাষ্ট্র চালানোতে কোন সমস্যা হবে না৷
সঙ্গত কারনেই সবাই এই সব নেভিগেটরদের ঘৃণা করে৷ আবার এই ঘৃণা থাকার কারনেই ভালো ও দক্ষ নেভিগেটররা ‘পলিটিক্স’ নামক ব্রীজটিতে পা রাখতে চান না৷ মনের মাঝে থাকে সবসময় বিশ্ব সুন্দরী কিন্তু সর্বক্ষণ ঘরে থাকে বিশ্ব পেত্নী৷ আমরা টিকেট কাটি থার্ড ক্লাসে কিন্তু ভ্রমণ করতে চাই ফার্ষ্ট ক্লাসে৷ খুব কম জায়গা থেকেই বলা হয় ভালো মানুষদের, ভালো ছেলেদের রাজনীতিতে আসা দরকার৷
পরিণামে তৃতীয় শ্রেণীর নেভিগেটররাই জাহাজের ব্রীজটি দখল করে ফেলে৷ কিন্তু মন চায় লি-কূয়ান ইউ না হলেও মাহাথিরের মতো কোন দক্ষ নেভিগেটর আমাদের এই জাহাজটি চালাক৷ এ এক আজব চাওয়া৷ এ চাওয়ার জন্যেই এক-এগারেতে আকাশ থেকে কিছু ফেরেশতা নেভিগেটর নেমে আসল ৷ বাইবেলে বর্ণিত মানুষের বেশে দুনিয়ায় আসা ফেরেশতাদের অবস্থার মতো করুণ পরিণতিও দেখতে হলো এক-এগারোর ফেরেশতাদের৷
আগে মাঝে মাঝে লিখলেও এই সময়টিতেই আরো শক্তভাবে কলমটি নিয়ে নেমে পড়লাম ৷ মনের ভাবনাগুলি কাগজে লিখে তখনকার বহুল প্রচারিত যায় যায় দিনে পাঠিয়ে দিই৷ পত্রিকাটিও তা অকৃপণভাবে ছাপাতে থাকে৷ পাঠকদের অভুতপূর্ব সাড়া পাই৷ পত্রিকাটি তাদের রেগুলার কলামিস্ট হিসাবে এই অধমকে বেছে নেয়৷ আমার লেখায় একটু নোনতা স্বাদ পেয়ে কলামটির নাম রাখা হয় ‘ সাগর জলের কালি’ ৷ শফিক রেহমানের কাছ থেকে যায় যায় দিন ছিনিয়ে নেওয়ার পর বলা হয় এই ধরনের নোনতা লেখা আর লেখা যাবে না৷ বললাম,আমাকে যদি নির্দেশ দেওয়া হয় কী লিখতে হবে তাহলে আর লিখবই না৷ কারন লেখা আমার পেশা নয়, নেশাও নয়। শুধু ভেতরের একটা তাগিদ থেকেই লিখে থাকি৷
আমাদের ব্যাচের মইনুল পরামর্শ দেয় লেখায় বেশী বেশী জাহাজের কথা থাকলে আমি জাহাজের মানুষ হিসাবে টাইপড হয়ে পড়ব৷ সাধারনের কাছে তা গ্রহনযোগ্যতা হারিয়ে ফেলবে৷ পরামর্শটি দামী হলেও কেন যেন ছাড়তে পারি না৷ কারন জীবনের প্রথম প্রেমিকা ‘ নৈতিকতা ‘ এবং আরো একটু পরে জীবনে আসা সঙ্গীনি – এই উভয়ের সম্মুখে শিরদাড়াটি কিছুটা মজবুত রাখতে পেরেছি এই মেরিন একাডেমির কারনেই৷ অর্থাৎ আমার ‘সাগর জলের কালি’ তার শক্তিটি পেয়েছে এই মেরিন প্রফেশনটির কাছ থেকে ৷
ঢাকা কলেজে বাংলার শিক্ষক হিসাবে পেয়েছিলাম অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাইয়িদ সহ আরো কয়েকজন আলোকিত মানুষকে৷ হৈমন্তী গল্পটি যে স্যার পড়াতেন তিনি তার ক্লাসের সকল ছাত্রকে হৈমন্তীর স্বামী অপুর মতো রোমান্টিক বানিয়ে ফেলতেন৷ সবার মনের জানালাগুলি এমনভাবে খুলে ফেলতেন তাতে অপুর মনের দখিনে হাওয়া গুলি একই শিহরন ছড়িয়ে আমাদের সবার উপর দিয়েই বয়ে যেত৷
কাজেই যখন মেরিন একাডেমিতে চান্স পেলাম তখন মনে হল এখন রঙধনু থেকে লাল রঙ এনেও স্বপ্নের নায়িকার পায়ে আলতাটি পরাতে পারবো৷ এমন একটা রোমান্টিক মুড নিয়েই চলে আসি পাহাড় ঘেরা জুলদিয়ার সেই মেরিন একাডেমিতে৷শাবানা,ববিতা,রোজীনা প্রমুখ নায়িকাগন বয়সে সামান্য বড় হলেও তা ধর্তব্যের মধ্যে ছিল না৷ তাদেরকে গড়পরতা স্বপ্নের নায়িকা বলেই গণ্য করতাম৷ কাজেই সবচেয়ে ধাক্কাটি খেলাম যখন দোস্তদের সাথে বিশেষ প্যারেড সহকারে গাইতে হলো, ‘মেরিন একাডেমিতে এলাম গো , ববিতা খালা -রোজিনা খালা বাঁচাও গো৷’ এভাবে বাংলাদেশ ও ভারতের যত নায়িকা আছে সবাইকে খালা ডাকা শুরু করতে হলো৷ যাদেরকে খালা ডেকেছি তারা শুনতে পেলেও নির্ঘাত জলে পড়ে মরত৷
শরীরের কষ্ট সহজেই ভুলে যাওয়া যায়৷ মনের এই কষ্টগুলি সহজে ভোলা যায় না৷ দেখলাম সিনিয়ররা একশত ভাগ স্মার্ট৷ আর আমরা জুনিয়ররা একশত ভাগ আনস্মার্ট৷ আরও যন্ত্রণাদায়ক স্মার্ট ছিলো কয়েকজন স্টুয়ার্ড৷ নিয়ম মতো সিনিয়রকে দেখামাত্রই স্বরযন্ত্রের ভলিউম সর্বোচ্চ দিয়ে বলতে হতো , স্লামালিকুম স্যার৷ সবকিছু ঠিকই ছিল কিন্তু গোলমাল পাকিয়েছে এই ওভার স্মার্ট স্টুয়ার্ডগণ ৷ বেতালে হয়তো কোন সিনিয়রকে উইশ করতে ভুলে গেছি , আবার তালে পড়ে এরকম কোন স্টুয়ার্ডকেও উইশ করে বসেছি – স্লামালিকুম স্যার৷
টেরোরাইজড হয়ে দেখলাম পেছন থেকে কয়েকটা ছায়া গর্জে ওঠলো, ব্লাডি হেল, হোয়াই উইশিং স্টুয়ার্ড ? অর্থাৎ মারাত্মক গলদ হয়ে গেছে৷ সেই ভুলের জন্যেই শুরু হলো কোর্ট মার্শাল৷
শুরু হলো ফ্রগ জাম্প, ফ্রন্ট রোল, স্টার জাম্প, এলিফ্যান্ট ওয়াক,ফ্রন্ট রোল,সাইড রোল ৷ ফার্ষ্টফুডের মত একেক বাহারি নাম৷ টের পায় যাদেরকে এগুলি খেতে হয়৷ এ্যাটেনশন হয়ে দাড়িয়ে থাকলেও শরীর ও হাতের মধ্যে সিনিয়র মহাশয় হাত ঢুকিয়ে বলেন, ‘হোয়াই গ্যাপ?’ দেখলাম দুনিয়ার আদি পাপের মতোই এই গ্যাপটি রাখাও একটা পাপ ৷ আমাদের তারেক এই গ্যাপ যথাসম্ভব বন্ধ করতে গিয়ে একদা এক সিনিয়রের হাত আটকে ফেলে ৷ সিনিয়র মহোদয়ের নিজের হাতটি বের করতে কষ্ট হলেও বলে যাচ্ছেন, হোয়াই গ্যাপ? এমন করুণ ও মজার দৃশ্য দেখেও নাকি হাসা যাবে না৷ একটু হাসলেই রিপোর্ট -টু-মি-ওয়ান- টু- থ্রি ..৷ মানে রাত একটা -দুইটা -তিনটার সময় পারস্যের কবি হাফিজের কোন গজল বা শের গেয়ে সিনিয়র মহোদয়ের ঘুমটি ভাঙাতে হবে৷
পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য হলো এই সিনিয়ররা যারা উঠতে বসতে জ্বালিয়েছে পরবর্তিতে তারা কেউ শত্রু হিসাবে গণ্য হন নাই৷ অধিকাংশই পরম বন্ধু হয়ে পড়েছেন ৷ জুনিয়র-সিনিয়রের এরকম থোকা থোকা হয়ে অনেক দীর্ঘ হয়ে পড়েছে এই গাছটি৷
পেছনে তাকালে এই থোকা বা সেগমেন্ট থেকে অনেক প্রিয় সাথী কিংবা প্রিয় সিনিয়র-জুনিয়র ঝরে পড়ার বেদনাটিও সকলের মনে বেজে ওঠে৷ এই বেদনার সারিটিও নেহায়েত খাটো নয়৷ জুলদিয়ার পাহাড়, পারকির চরের হাইকিং, ফোর-মেইন-মিজান টপ ও পাশের গ্রাউন্ডগুলিতে অনেক স্মৃতি ফেলে এসেছি৷
জানি না, প্রকৃতির কোন গোপন ক্যামেরায় গচ্ছিত সেই দৃশ্যগুলি ফিরে পাওয়ার কোন যন্ত্র আবিস্কার হলে মানব সভ্যতায় সবচেয়ে দামি আবিস্কার হবে, নাকি আমাদের আবেগ ও স্মৃতিগুলিকে বিবর্ণ করার দায়ে অভিযুক্ত হবে সেই যন্ত্রটি ৷
PDF Version [Published at SMC Magazine “নোঙর” May 2014]
————————
[মিনার রশিদ (২১): প্রকৃত নাম আব্দুর রশীদ হলেও মিনার রশীদ নামেই সমধিক পরিচিত। বিভিন্ন পত্রপত্রিকা এবং অনলাইন ম্যাগাজিনে তার লেখা কলামগুলি সুধীজনের মনোযোগ আকর্ষন করেছে I স্ত্রী আফরোজা খানম( শিউলী) গৃহিনী। একমাত্র ছেলে এ এম শাহরুজ রশীদ (সিয়ান) এংলো চাইনিজ (ইন্ডিপেন্ডন্ট) এ সেকেন্ডারি ফোরে অধ্যয়নরত। ম্যানশিপ প্রাইভেট লিঃ এ টেকনিকেল ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত। ] -
A.K.M Jamal Uddin wrote a new post 10 years, 3 months ago
আমার আকাশ
আকাশের ঐ নীল থেকে
আমায় কিছু নীল এনে দাওনা ।
ঐ নীল যে আমার মনের মাঝে
ভালবাসার ঝর্ণা ।
আমি দু’হাত তুলে দাড়িয়ে আছি
নীলের ছোঁয়া পাইনা ।
নীল নীল বলে ডাকি আমি
নীল তো আমায় ধরা দেয়না ।
ওগো আমার নীল আকাশ
তোমার থেকে আমায় কিছু নীল এনে দাওনা ।
তোমার পানে চেয়ে চেয়ে
আমার চোখের অশ্রু ঝরে
তবুও কেন তোমার আকাশ থেকে
আমায় কিছু নীল এনে দাওনা ।
তুমি আমার সকাল – বিকাল
তুমি আমার রাতের অন্ধকার
জোৎস্না রাতের আঁধার -আলো
তুমি যে অসীম অন্ধকার ।
তোমার ঐ আকাশ থেকে আমায়
কিছু নীল এনে দাওনা ।
তোমার ঐ নীল আকাশের বুকে
বিহঙ্গরা ডানা মেলে উড়ে বেড়ায়
আমার এ দু চোখ সিক্ত তখন
তোমার সাথে জীবন – মরণ
ও আমার ভালবাসার নীল আকাশ
তোমার ঐ নীল থেকে আমায়
কিছু নীল এনে দাওনা ।———————–
স্বপ্ন
তোমার সুখের লাগিয়া
এ ঘর ছারিনু
সেই ঘরে আজ বাস করে
অন্যজনা ।
দূর হইতে তোমায় দেখিয়া
আঁচল দিয়া চক্ষু মুছি
তবুও তুমি একটি বারও
খোঁজটি আমার নিলেনা ।
তুমি আমি দু’জনে মিলে
হাজারও স্বপ্নের জাল
বুনে ছিলেম ।
আমার এ দু’চোখ তোমায়
খুঁজে বেড়ায় ।
তোমার আমার সেই সুখ পাখী
আজও ডানা ঝাপটা দিয়ে
চলে গেছে ঐ দূর থেকে দূরে
হয়তো আর কোনদিন আসবেনা
কইবেনা সেই সুখের কথা ।
আজও আমি স্বপ্ন দেখি
সে যে স্বপ্ন নয় দুঃসপ্ন ।
তোমায় দেখি ঘুমের ঘোরে
চোখ খুলে দেখি সেখানে
তুমি নেই ।
তুমি আছো আজ দূর থেকে
তোমার জন্য এ ঘর ছেড়েছি
সেই ঘরে আজ আমি নেই ।
তোমার ঘরে আজ বাস করে
অন্য জন ।PDF Version [Published at SMC Magazine “নোঙর” May 2014]
———————–
[মনজিলা হোসেন রুমু, জন্ম বরিশাল সদর। বাংলায় অনার্স ও মাস্টার্স। স্কুল ও কলেজ জীবন কেটেছে বরিশালের গন্ডির ভিতরে। ছোটবেলা থেকে রবীন্দ্র, নজরুল, জীবনানন্দের লেখা পড়ে, লেখালেখির প্রতি আগ্রহ।] -
A.K.M Jamal Uddin wrote a new post 10 years, 3 months ago
PREFACE:
Brief summary on current professional Ship Management market trend, future growth and challenges.
Trend analysis of failures, mindset, achievement of Bangladesh private ship owning for long term sustainment.
Bangladesh -the opportunity and potential of building professional ship management team to support ship Owning and related industry to sustain their steady and long term growth and achieve global market competitiveness.
The article highlights only Private ship owning sector in Bangladesh.HISTORY OF GLOBAL SHIPMANAGEMENT TEAM
Started in the eighties when there was a profound change in the market as many shipping companies became bankrupt and mortgagor banks had to turn to ship managers for help. It continued in the nineties with a new type of investor in shipping with little knowledge of ships and more recently with the implementation of the ISM / ISPS/MLC, an over regulated industry.Shipping is a very volatile and complex market, while business cycles and speculative investments compound the industry’s volatility and complexity. A vessel owner’s goal is to improve overall performance, maximize profits and minimize costs at an acceptable level of risk. Developing and implementing effective investment and vessel employment strategies, adapting to technological advances, complying with policy and legislative changes. As market competition increases, factors such as the flexibility to react and the correct market timing become increasingly important. A robust ship management team and strategy is required to accomplish these complicated task. It requires detailed and continuous market analysis, collective experience to detect market trends and developments early on, and to incorporate them timely in the appropriate strategic decision- making.
COMPETETIVE ADVANTAGE OF THE OWNERS TO STAY WITH BRAND SHIPMANAGEMENT TEAM:
A comprehensive service to meet complex requirements of the ship-Owner.
To limit the liabilities through third party management
Difficult and expensive to keep a top functioning fully integrated team of employees.
Market requirements (Vetting, chartering, vessel employment etc.THE GLOBAL SHIPMANAGEMENT MARKET AND SERVICES PROVIDED:
o Technical management
o Crewing
o Quality and Safety management.
o The other services offered – chartering /operation management, new building supervision, sale and purchase inspection, ship inspection, survey, audit, incident investigation.
More than 1500 ship Management companies are in Global Market. The market size is 3-5 billion US dollars (fee and revenue) to the ship managers per year.Three types of ship management team currently operating in global market.
o Integrated in a large Owner operator like MSC, Maersk, NYK.
o Managing Own vessels, in house management team for small entities.
o Dedicated third party ship Management team as a brand name, Vships, Bernhard Schulte,Anglo eastern, Wallem etc. This type of ship management team carries significant tonnage.WHAT ARE THE LIABILITIES OF SHIP MANAGER?
Limited liability – Under SHIPMAN 98, the manager is the agent of the owner and therefore his position is in principle protected by the owner. Under SHIPMAN 98, the liability of the Manager is limited unless he has acted with intent to cause the loss. The manager is not liable unless the loss is caused by his or his agent’s negligence. Even if the loss is caused by his or his agent’s negligence, he is able to limit his liability to ten times the annual management fee. The clause also includes a Himalaya provision granting the manager’s employees the same contractual protection from liability as provided to the manager. SHIPMAN 98 provides for the manager to get full insurance cover as a co-assured under the owner’s insurance policies.WHAT ARE THE CHALLENGES OF SHIPMANAGEMENT TEAM?
• Global competition
• Cost pressure due to market situation.
• Acute competent crew shortage.
• Shortage of competent shore staffs.
• Overregulated industry and compliance requirement.OPPORTUNITY BANGLADESH.
A TREND ANALAYSIS OF FAILURES FOR LONGTIME SUSTAINMENT IN INDUSTRY BANGLADESH SHIPOWNING SINCE INDEPENDENCE.
Proverb says, family Owned entity last three generation. Our family Owned shipping business even didn’t last more than one third (10-12 years) of an active generation.
What are the reasons???Since independence, two types of private ship owning controlled Bangladesh shipping industry. Few dedicated ship Owning established in early and late 70s like Bengal Liner ( Bengal Pride , Bengal tower etc) Aquatic shipping ( MV Sezan, MV Tehsin etc), Atlas shipping line ( Al salma, Al Sawmruz, Al Sana,MV Safar etc). Bengal shipping line ( Al Tafsir, Al Rahman, Al Tabith, Al Reza, Al Sabrina etc). They have to work in new born nation with lack of infrastructure, banking facility and lack of competent workforce. Still they will be considered pioneer in history who give the new nation a taste of global commercial shipping.
80’S were the difficult time for ship Owners in south east Asia due to BCC bank collapse. But ironically, Bangladesh ship-owners survived well. The reason was less bank dependency, diehard commercial workforce at low costs. Bangladesh private commercial banking sector was in a baby stage and were not aware of investment in shipping. Vessels were mostly engaged in imports which was directly connected to Bangladesh and Asia. Our scale of economy was so negligible that international wave of recession hardly affected us.
In mid 80s, till early 90s, some of our very brave Mariners came into the industry as ship Owner. I salute them. Perhaps they are first and last generation who represents seafarer as Ship Owner in Bangladesh ship owning history. They had no money, neither had they got any assistance from bank or public sector. Need to mention here that there was a window created at that time with fast growing demand of vessels in an under regulated industry. We saw the growth of a lot of ship Owners from ship chandlers/ bunker suppliers to ship owner in Fareast. Some of them become giants today. But our poor brave solders have been vanished from market or surviving on wheel chairs.
90’s till 2008 – the golden era of container shipping. Some smart business giants from earlier shipping background entered in ship owning (QC and HRC). They had cash, banks, political muscle power, everything. Very soon they got the taste of success and became hungry for quick cash without building the core competency and team management. Neither government, nor private entities tried to build infrastructure, port facilities. No vision, no long term planning. An example – four gantry cranes were installed in Chittagong MPP terminal at end of 2006 which was required 10 years back. The costs for this terminal modernization are pinots for private and public sectors. All the parties (Public and private sector) tried to stop the port modernizations for their respective financial and political gains.
The recession cycle appeared as usually in 2008. There was a clear advance indication of collapse. A 1700 tues vessel per day hire raised from USD 5000/ day to USD 17000/ day over three years. This was indeed unusual. But our Bangladesh ship Owners and entire expertise were still sleeping and wake up in one fine day and found all vessels were lay- up near beautiful islands.
There were some small range bulk carriers and general cargo owner had always survived in the market with the help of Bangladesh corrupted public banking sectors and through the pinhole of substandard shipping practice in a limited trading zone (Myanmar, Pakistan, India, Indonesia etc). Neither had they contributed to economy, nor the shipping industry. Bangladesh flag often considered as” flag of convenience” due to their contribution.
Looking forward in 2014, our current fleet (private) size is now approx. 65-67. This is considered a good number compare our economy of scale. Some cash rich market players are there. Shipping industry earns million and losses million too. So we need cash rich Owners. We welcome them in industry. But on the other flip side, we need to keep in mind that they came into the industry with their different requirement and risk assessment. Shipping is not their core business. They have own cargo, own ship breaking industry and vessels are very old. So when rainy days will come, they are capable enough to send their vessels with entire shipping industry to the graveyard overnight and wash their hand in Sitakunda, Chittagong.
Therefore I am not very optimistic ( apology) with the current fleet size, neither I believe that we have built a competitive position in terms of ship management practice in Bangladesh yet.
Shipping is a global platform. Like other industry, by large, we can’t blame country’s political instability, infrastructure, corruption etc. Let’s not talk about that, live with it and move forward and hope that someday, some miracle will happen and we will get our dream good governance. An example is our recent growth in new building. This is completely a private sector’s achievement against all the difficulties.So we can build professional ship management team. We have to start this process now. An in house management team is a short term development in local market. Without global expertise, experience, exposure, the sustainment in competitive global market is impossible.
WHAT WE NEED TO BUILD A COMETETIVE SHIPMANAGEMENT TEAM?
A fast internet service and a pool of sea and shore base expertise. That’s all. The location is imperative now.INTERNET ACCESS NETWORKING:
In 2005, Bangladesh was connected with the first submarine cable. By the first quarter of 2016, second cable will be connected with an additional bandwidth of 1400 Gbps. Current bandwidth is around 200 gbps average download speed 270 kbps (33kb/s) which is not very far from our neighboring country India( 393 kbps). Although most of the ship management giants are already working in India. Fibre optic network up to client’s door, signal boosting etc only factor of time now.SEA STAFF:
In current market, Bangladesh seafarer is recommended in second place after Indians despite our restricted green passport access worldwide. From very beginning, our intake volume and influx was too low. Here we did lack a vision. In 80’s, when we were restricting our manpower to spread over in global shipping industry with the question of standard, the Filipino flooded the global market without any recognition. Nobody asking any question now about Filipino crew capability, competency due to their volume. All the giants are heading towards Manila. Very soon Manila will direct entire crewing industry. Due to our conservativeness and bureaucracy, we lost the chance.SHORE BASE EXPERTISE:
Looking at just Singapore maritime hub, at least Bangladesh Supdts /Managers are working and managing over five hundred ships efficiently. Around ten times of our current fleet in Bangladesh. If we get the right place to work and financial security in Bangladesh, I strongly believe, including me, fifty percent of us will back to origin without second thought.So we have seafarers, we have shore base expertise with global mindset. We have world recognized training institution for officers and crew. We have second largest ship breaking industry. We have a growing ship building industry. And we are cheap, our location is cheap.
So all that we need – to integrate all these factors and built our ship management team.
A shipping industry is not all about building seafarer and shore base management. So far last couple of decades, we had built only frontline soldiers. There are other core groups like Underwriters, Maritime lawyer, chartering broker, salvage operator, naval architect, designers financial institutions, arbitrator, offshore activities, logistics, chain management etc. To build this workforce, we need a Maritime University. Although it is very late, current initiative for Maritime University is appreciated.
Nevertheless, this is a mystery why we didn’t start this faculties in local recognized private and public universities earlier. To teach maritime law, chartering brokering, port operations, logistic management etc in under graduate and post graduate level, all that we need a class room in a university with recognition and expertise lecturers to teach. If local expertise not available, we can hire.
Let’s look forward … it is never late to start……..
“Everything has been said, and we have come too late, now that men have been living and thinking for seven thousand years and more’ – Jean de La Bruyère
PDF Version [Published at SMC Magazine “নোঙর” May 2014]
——————————–
[Monzurul Mannan (24C): Joined Sea in 1990. Sailed in different local and foreign shipping companies. Joined HRC shipping, Bangladesh as technical superintendent in 2004. Completed Masters in Maritime science from Nanyang technological University in 2012. Currently working as senior technical superintendent in Bernhard Schulte ship Management since 2008. Living in Singapore since 2005 with wife and two children] -
A.K.M Jamal Uddin wrote a new post 10 years, 3 months ago
-
A.K.M Jamal Uddin wrote a new post 10 years, 4 months ago
১।সামর্থ্যঃ
সন্তান তার বাবা মায়ের কাছে অমুল্য, স্বর্গীয় ধন। প্রতিটি বাবা-মা তার সন্তানের আবদার আর দাবি পূরণে সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করেন। এই সহজ কথাটা বুঝতে আমাদের কত বছর লেগে যায়। মধ্যবিত্ত আর নিম্ন মধ্যবিত্তের সাধ আর সাধ্যের সাথে নিরন্তর সংগ্রাম। উচ্চবিত্ত আর নিম্নবিত্তে এত সমস্যা নেই।
ছেলের সাইকেলের শখ হয়েছে। মাসের শেষ, হাতে টাকা নেই। বাবা শুরুতে মানা করে দিলেন। নিজের সামর্থ্যের কথা বুঝালেন। ছেলে কিছুই বুঝতে নারাজ। তার প্রতিবেশি বন্ধুদের ৩/৪ জনেরই সাইকেল আছে। তার বাবাটা এরকম কেন। অন্যদের বাবারাই ভালো, তার বাবা পচা। ফালতু একটা চাকরি করেন। একটা সাইকেল পর্যন্ত কিনে দিতে পারেন না। এরকম বাবা থাকা না থাকার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। ইস, যদি তার ও সামির বা শিমুলের মত বাবা থাকতো! নতুন মডেলের একটা সাইকেল চালাতে পারত। অথবা ক্যামেরা সহ মোবাইল। ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে বাবা কি বুঝলেন, শার্ট গায়ে চড়িয়ে বেরিয়ে গেলেন। বন্ধু থেকে ধার করে হলেও সাইকেল কিনে আনবেন, যেখান থেকেই হোক……।
ঈদের শপিং চলছে। সবার বাজেট বরাদ্দ। মেয়ে একটা জামা ধরে আছে, যেটা বাজেটের অনেক উপরে। সেটাই সে কিনবে নইলে এই ঈদে পুরানো কাপড় পরে কাটাবে। মেয়ে তার বান্ধবীদের জামাগুলো দেখেছে, একটার চেয়ে একটা জমকালো। এর চেয়ে কমদামি কিছু কিনলে ওদের সাথে আর বেড়ানো যাবে না। সবাই তাচ্ছিল্যের চোখে তাকাবে, হাসবে। বাবা-মা নিজেদের মধ্যে কষ্টভরা চোখ নিয়ে তাকালেন। মা ফিসফিস করে বললেন, ‘আমার জন্য সুতির শাড়ি হলেই চলবে, তুমি ওকে এটা কিনে দাও। আমার পুরানো একটা দামি শাড়ি আছে, অনেক দিন পরিনি। ওটা ঠিকঠাক করে নিব। ঈদ তো বাচ্চাদের জন্য।’ মেয়ের মুখে হাসি ফুটল।
বাবা-মায়েরা তাদের ছেলে মেয়েদের মুখে হাসি ফোটাতেই সারা জীবন ব্যস্ত থাকেন। আমরা অনেক দেরিতে এটা অনুভব করি। নিজের বাচ্চা যখন মার্কেটে গিয়ে এটা- ওইটা টানাটানি করে, হয়ত তখন। যখন নিজের সামর্থ্যের বাইরে কিছু একটা আবদার করে হয়ত তখন…………
ছবিটা দেখে মন খারাপ হল। হয়ত নিজেদের ছোটবেলার কিছু স্মৃতি মনে পড়ায়। হয়ত কিছু এরকম মুহূর্তে, যেসব ভাবনা মনে উঁকি দিয়েছে সেসব মনে পড়ায়। হয়ত আবদার পুরন না হওয়াতে বাবা-মায়ের সাথে তর্ক / ঝগড়াকরার কথা মনে পড়ায় বা না খেয়ে ঘর বন্ধ করে বসে থাকার লজ্জাকর স্মৃতি মনে ভেসে উঠায়……।
সময়গুলো ফিরে আসতো!! সম্ভব হলে অনেককিছু বদলে নিতাম …………।।সময়ের পরিক্রমায় আমরা অনেকেই এখন বাবা-মা। ছবিটা দেখে মনে হল, ছোটকালে আমরা অনেকেই এ ধরনের অভিজ্ঞতার স্বীকার হয়েছি।
২। বৈষম্যঃ
চট্টগ্রামের কোন এক অভিজাত এলাকা। একটু পাহাড়ি, গাড়ি না থাকলে হেঁটে উপরে উঠতে হয়। রিকশা সহজে উঠে না। সে সময় খুব কম বাড়ি ছিল সেখানে। বড় বড় বাউন্ডারির ভেতর সুবিশাল সব বাংলো টাইপ বাড়ি। বাড়িগুলো অবশ্য সাধারনত দোতলার বেশি হত না। শুধু একটা পরিবারই কর্মচারীদের নিয়ে বাস করত। ভাড়া নিলে পুরোই নিতে হত। সব বাড়িতেই কম বেশি ২ বা এর বেশি গাড়ি থাকতো। যেহেতু অন্য যানবাহনের নাগাল পাওয়া কঠিন ছিল। বাংলোর সামনে অনেকটুকু বাগান, একপাশে মসৃণ ঢালাই করা ড্রাইভওয়ে।
এলাকার প্রবেশমুখেই রিকশা থেকে নেমে হেঁটে ধীরে ধীরে উপরে উঠছি। এক বন্ধুর বাসায় বিকালের চায়ের নিমন্ত্রন। অফিস শেষে অনেকেই রাজকীয় সব মডেলের গাড়ি চালিয়ে বাসায় ফিরছেন। দুপাশের বাড়িগুলো উঁচু দেয়ালের কারনে খুব একটা দেখা যায় না। শুধু গেটের ফাঁকফোকর দিয়ে বাড়ির অনেকটুকু চোখে পড়ে। একটা পঙ্গু ফকির কিভাবে যেন খোঁড়াতে খোঁড়াতে উপরে উঠে এসেছে। বয়স সবেমাত্র কৈশোর পেরিয়েছে। একটা বাসার গেটের কাছে একটা গাড়ি এগিয়ে আসতে দেখে কিছু পাওয়ার আশায় দাঁড়ালো। গাড়িটা ফকিরের পাশে থামল। দারোয়ান গেট খুলছে। গাড়ির কালো গ্লাস নেমেছে। ভেবেছি একটা হাত বেরিয়ে আসবে, কিছু দেবে এরপর এই দৃশ্যের সমাপ্তি। কোন হাত বের হল না। একটু পর গ্লাসটা উঠে গেলো আর গাড়িটাও ভিতরে ঢুকে গেলো। ফকিরের মুখ দেখে আন্দাজ করলাম নিম্নোক্ত বাক্য তাকে হজম করতে হয়েছে………।
ঃ এত সাহস তোমার! পাহাড় বেয়েও উঠে এসেছ ভিক্ষা করতে। কিছু করে খেতে পার না? ………।
তারপর হয়ত নিজে নিজে গ্লাস নামাতে নামাতে ….স্বগতোক্তি.. –
ঃ এলাকার দারোয়ানরা করেটা কি? এখানে থেকেও যদি ফকিরদের উপদ্রব সহ্য করতে হয়!! সব কয়টাকে বিদায় করে দেয়া উচিত।
নিমন্ত্রন রক্ষা করে ঘণ্টাখানেক পর ফিরছিলাম।। সূর্য পশ্চিমাকাশে হেলে পড়েছে। ওই বাসার সামনে এসে দেখি ফকিরটা সেই বাসার উল্টা দিকে ফুটপাতে বসে আছে। মাথা একটু উঁচু করে কিছু দেখার চেষ্টা করছে। দেখে ক্লান্ত লাগছে, কিছু পেটে পড়েনি মনে হয়। কিছু একটা দিলেই একে বিদায় করা যেত, করা হয়নি। ওর পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম। দেখার চেষ্টা করছি ও এতো মনোযোগ দিয়ে কি দেখে। গেটের উপর লেখা ” কুকুর হইতে সাবধান”।
ভিতরে বাগানে একটা ছোট বাথটাব। দুটো কুকুরকে সেখানে শ্যাম্পু দিয়ে গোসল দেয়া হচ্ছে। কাছেই প্লেটে কুকুরগুলোর জন্য কিছু খাবার রাখা। মালিকের ছেলে আর সুপারভাইজার জাতীয় কেউ দেখাশুনায় ব্যস্ত। ফকিরটার দিকে তাকালাম। চুলে জট, অনেকদিন চিরুনি পড়েনি। কবে গোসল করেছে ঠিক নেই। মুখ শুকনা। দুপুরে হয়ত পেটে দানা পড়েনি। ভিতরের দৃশ্য দেখে ওর মুখে একটা অদ্ভুত অভিব্যক্তি। সেটা আমার মনে গেঁথে গেলো। কি ভাবছিল, ছেলেটা?
এই জীবনের চেয়ে মালিকের কুকুর হয়ে জন্মালে আদর যত্ন, খাবার বেশি পেতাম? জীবন কখনো কখনো বড়ই নির্দয় আর বৈষম্যে ভরা…………।।
ওই এলাকা দিয়ে কিছুকাল পর যাবার সময় দেখলাম, প্রবেশ পথে গার্ড বসেছে। হয়ত ফকিরদের যাতায়াত নিয়ন্ত্রন করার জন্য। রাস্তার কয়েকটা কুকুর অবশ্য মহা আনন্দে ভিতরে দৌড়াদৌড়ি করছে…………।
এই স্ট্যাটাসের উদ্দেশ্য অবশ্য ভিক্ষাকে উৎসাহিত করা নয়। আমাদের গনতন্ত্র ও বড়ই অদ্ভুত। যেখানে ধনী আরও ধনী হয়, গরিব আরও গরিব। সামর্থ্যবান মুসলিমরা ঠিক মত যাকাত আদায় করলে, সবাই নিম্ন সামর্থ্যের লোকজনের পাশে আরেকটু দাঁড়ালে মানুষ হয়ত কুকুরের চেয়ে একটু ভালো অন্তত জীবন যাপন করবে। কে বলতে পারে আজকের রাজা কাল ফকির হবে না। মানুষ মানুষেরই জন্য……………।।৩। মালয়শিয়ান এয়ারলাইন্স তার ২৩৯ জন যাত্রি নিয়ে নিখোঁজ হবার ৬ ঘণ্টা পর উপহার হিসাবে পেলাম একই এয়ারলাইন্সের একই বোয়িং ৭৭৭ এর একই রুটের (দক্ষিণ চিন সাগরের উপর দিয়ে) যাত্রার প্লেন টিকেট। একটা অদ্ভুত অনুভুতি হল। তেমন বড় ব্যাপার না যদিও।
প্রতিদিন শতাধিক রিকশা উলটায়, ৫/৬ টা মাইক্রোবাস চ্যাপ্টা হয়, ২/৪ খানা বাস খাদে পড়ে আর মাঝে মাঝে রেলগাড়ি লাইনচ্যুত হয়। কিন্তু আমরা কি এসবে ভ্রমন বন্ধ রেখেছি?
একটা প্রশ্ন না করে পারছি না, অনেক এয়ারলাইন্সের অপশন থাকার পরও একটা প্লেন সাগরে পড়ে যাবার পর পর এমন সাহসি কয়জন আছে, যারা একই এয়ারলাইন্সে টিকেট করবে?
আমার মনে হয় ওরা এখন আগের থেকেও অনেক বেশি সতর্ক। আর ল অফ এভারেজ বলে একটা কথা আছে। গ্রিনলাইন বা সোহাগ এর বাসে প্রতি রাতে ডাকাতি হয় না। মানে একই কপাল হয়ত বারবার পুড়ে না।
আর যদি পুড়েই যায়, তাইলে এটাই হয়ে থাকবে আমার শেষ স্ট্যাটাস(এগুলো সব কথার কথা, আল্লাহ মৃত্যু যখন যেভাবে নির্ধারিত করে রেখেছেন, সেটাকে অতিক্রম করার সাধ্য কি আমাদের আছে? আর মৃত্যু চিন্তা থাকা ভালো, এটা মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করে)।
৪।
– মালয়শিয়ান এয়ার উড়ছে ৩৯০০০ ফুট উঁচু দিয়ে। সবাই হাসি মুখে ডিনারে ব্যস্ত। হটাৎ বিনা নোটিশে শুরু হল প্রচণ্ড ঝাঁকুনি। সাথে অল্প অল্প বামে ডানে কাত হয়ে যাওয়া। পাইলটের টেনশন ভরা ঘোষণা – ” আপনারা সবাই তাড়াতাড়ি সিটে এসে বেল্ট বেঁধে বসে পড়ুন”। সবার হাসিমুখ আর ডিনার আকাশে উড়ে গেলো। দোয়া-দরুদ আর ফ্যাকাসে মুখ করে যাত্রিরা বসে আছে। দুই একজন সামনের সিট খামচে ধরেছে। একজন বিড়বিড় করছে শুনলাম – ‘ ভাই, সকলে মানা করছিল। তারপরও কোন দুঃখে মালয়শিয়ান এয়ারের টিকেট কিনতে গেছিলাম!! “। আমি ঝাঁকুনির মধ্যে কলেমা পড়ে ঠাণ্ডা মাথায় ভাবার চেষ্টা করছি, কি কি কাজ জীবনে অসমাপ্ত রয়ে গেলো………।। সবই দেখি অসমাপ্ত আমরা কি আসলেই কখনো মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকি? এটা ঠিক, আমি প্রতিবার দেশের বাইরে যাবার সময় কিছু জিনিস এমনভাবে গুছিয়ে রেখে যাই, যে এটাই আমার শেষ যাত্রা……… কে বলতে পারে……।। এয়ার পকেটে বেশ অনেকক্ষণ ঝাঁকুনি দিয়ে শেষমেষ থামল …………।।এদিকে প্লেন ছিল ১ ঘণ্টা লেট। সাড়ে ১১ টায় নামার কথা, নেমেছে ১২ টা ২০ এ। আর গ্রামীন ফোনের সৌজন্যে ৩ মাস ব্যবহার না করায়, আমার সিম ও বন্ধ। এই এক ঘণ্টা কোন খবর না পেয়ে বাসায় ও প্যানিক ছড়িয়ে গেলো। কে বলছিল এই প্লেনে উঠতে??
অবশেষে প্লেনের অবতরন। পরিবার, বন্ধু আর শুভানুধ্যায়ীদের দোয়াতে সুস্থভাবে ঘরের ছেলের ঘরে ফিরা। ধন্যবাদ সবাইকে………।।
৫। HAPPINESS IS –
স্যাটেলাইট ফোনে ছোট্ট মেয়েটা যখন জিজ্ঞেস করে,
“তুমি কেমন আছ? তুমি কবে ফিরবে? তাড়াতাড়ি চলে আসো।”
মনটা তখন আলোর গতিকেও হার মানিয়ে পৌঁছে যায়………ওখানে,
ছুঁয়ে আসতে চায় হৃদয়ের ছোট্ট অংশটুকুকে, যেটা ঘরে রয়ে গেছে……………।।৬। বিষঃ
সিঙ্গাপুরের মোস্তফা শপিং সেন্টারে হাঁটছিলাম। হটাত এক পুরানো বন্ধুর সাথে দেখা। বিজনেস ট্রিপে বাংলাদেশ থেকে এসেছে। সপ্তাহ খানেক থাকবে। এখানে কম দামি কিছু রেস্ট হাউজ পাওয়া যায়, ওখানেই উঠেছে। মাঝে কয়েক বছর দেখা হয়নি। একটা কফি শপে বসলাম।কোলাকুলি করার পর জিজ্ঞেস করলাম, আর কি খবর?
– এই ভালো। একটু লাজুক স্বরে বলল, কয়েক মাস আগে বিয়ে করলাম। পারিবারিক পছন্দ।
– হুম, লেট ম্যারেজ। তারপর ও এত লাল হয়ে যাচ্ছিস কেন? ভাবি কি করে?
– ইয়ে, অনার্স পড়ে। বয়সের গ্যাপটা একটু বেশি।
– সাথে নিয়ে আসতি। সিঙ্গাপুর ঘুরে যেত।
– প্রথমবার এসেছি, কোথায় উঠবো কিভাবে থাকব শিউর ছিলাম না। পরের বার………।
– তারপর কেমন কাটছে দিনকাল? অন্যরকম লাগার কথা……।।
– আমাকে কিছু টিপস দে তো। কমবয়সি মেয়ে বিয়ে করে ঝামেলায় পড়লাম। আমার কথা সে বুঝে না, ওর কথা আমি বুঝি না। সিঙ্গাপুর না নিয়ে আসায় এমনিতেই মন কষাকষি, কথা কাটাকাটি হয়েছে……। আগেই ভালো ছিলাম!!
– একজনের টিপস আরেকজনের কাজে লাগে না। শিখে যাবি আস্তে আস্তে সংসার করা কাকে বলে!!
– তোর ট্রিট। বিয়ের খাওয়া বাকি ছিল। বিল দিয়ে দে। বলে বিদায় নিলাম……।।পরদিন মোবাইলে জরুরি ফোন। আবার আগের লোকেশনে দেখা করার জন্য। চোখ দুটো লাল, চুল উসকোখুসকো। সারারাত ঘুমায়নি বুঝাই যাচ্ছে।
– কিরে হটাত, জরুরি তলব। ভাবির সাথে ঝগড়া?
– কিভাবে বুঝলি? যাকগে, ঠিক ঝগড়া না। কিন্তু আমাকে বলেছে এক শিশি বিষ নিয়ে যেতে। সিঙ্গাপুরে না নিয়ে আসায় পরিস্থিতি যে এতটা খারাপ হবে বুঝি নাই। মনে হচ্ছে, আমিই বিষ খাই………একটু হালকা করার চেষ্টা করলাম,
– মনে হয় বাংলাদেশের বিষে ভরসা নাই। যদি ফরমালিন মিশানো থাকে। খেলেও কাজ হবে হবে না, খামোখা পেটে ওয়াশ দিতে হবে। তেলাপোকা, ইদুর মরে না আর মানুষ………। কাজ হল না ঠাট্টায়।
– আমি মরছি আমার জ্বালায়, আর তোর এইসব কথা ভালো লাগছে না।
পরিস্থিতি গুরুতর। আচ্ছা কি কথা হয়েছে তোদের মধ্যে?
– এই নানা কথার মধ্যে জিজ্ঞেস করলাম কি আনব সিঙ্গাপুর থেকে? ২/৩ টা আইটেম এর নাম বলার পর বলল। এক বোতল পয়জন ও নিয়ে এস। আমি তো শুনেই ফোন রেখে দিছি। তারপর আর ঘুম আসে!!বললাম, চল তোকে বিষ কিনে দেই। মনে হয় বুঝেছি।
পারফিউম সেকশনে গিয়ে নিয়ে দিলাম 100 ml এর এক শিশি ‘POISON’ পারফিউম।
বন্ধু তো পুরাই হতভম্ব, শালার পারফিউমের নাম ও আবার পয়জন হয়!!চল তোকে বিপদ থেকে উদ্ধার করলাম, আবার ট্রিট দে। এবার ভালো কোন রেস্টুরেন্টে!!
৭। হবু নেত্রীঃ
মেয়ের সাথে রিকশা করে বাসায় ফিরছি। অভিযোগের সুরে বলল,
– আমার ক্লাস টিচার বলেছে, আমার মত মেয়ে উনার থাকলে খুব খুশি হতেন। আর তুমি আমাকে পাত্তা দাও না। সারাক্ষন এটা ওটা করতে বল।
একটু চমকে গিয়ে বললাম,
– তোমার বাসার গুনাগুনের কথা টিচার জানে? এই যেমন কোকো চকলেট খেয়ে দাঁত মাজতে বললে, বল টাইগার দাঁত মাজে না। রুম অগোছালো করে রাখো (এই গুন মনে হয় আমার থেকে পাওয়া 😛 ), টিভির সামনে বসে ভাত খেতে চাও ( Unfortunately এই গুণটাও মনে হয় আমার থেকে বিশেষ করে খেলার সময় …… 😛 ) ………।। তোমাকে এত পছন্দ করার কারন?
– আমি ক্লাসে সবাইকে চুপ করায় রাখি তো, পড়াশুনাসহ সব কিছু মিলিয়ে……।। ক্লাসে ৭৫ ভাগ ছেলে, আমাকে ভয় পায় !!
– তুমি কিভাবে টাইট দাও? তুমি না অনেক আগে ক্লাস ক্যাপ্টেন ছিলা?
– ধুর পাপা, আমি তো ৯ মাস ধরে ক্যাপ্টেন। ১ মাস পরপর বদলায়, কিন্তু আমি কন্ট্রোল ভালো করি তো তাই আমাকে বদলায় না। ছেলে ১ টা করে মাসে মাসে সাথে থাকে, কিন্তু ওগুলো গাধা টাইপ……।।
এবার কৌতূহলী হলাম, কিভাবে টাইট দাও?
– সবাই চেঁচামেচি করে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করে। আমি শুধু শুধু এনার্জি লস করি না। আমি একটা খাতা কলম নিয়ে সবার সামনে গিয়ে বসি।
– খাতায় বা বোর্ডে নাম তো অনেকেই লেখে!!
– হুম, আমি আসলে লেখার ভান করি। দুষ্টু গুলোর জন্য কাগজ কলম খরচ করিনা হিহি……।।
কাগজের উপর কলম বুলাতে থাকি!!
– তারপরও কাজ না হলে?
– ক্লাস টিচার খুব নরম। উনার নাম নিলে কাজ হয় না। আমি বাইরে গিয়ে ফিরে আসি, যে ২/৩ জন টিচার খুব কড়া আর নম্বর কাটে দুষ্টামি করলে, অদল বদল করে ওদের নাম নিয়ে বলি দুষ্টুদের নাম জমা দিতে বলেছেন। নম্বর কেটে দিবে ক্লাস টেস্টের রেজাল্ট থেকে। ২/১ বার কেটেছে তো আগে, সব একদম চুপ হয়ে যায়।৮। ভিখারিঃ
কবছর আগে একটা রাজকীয় বাসায় একটা দরকারে যেতে হয়েছিল। বাইরে কেতাদুরস্থ গার্ড, আলিশান বাংলো আর থরে থরে সাজানো নতুন মডেলের সব গাড়ি। উনার ৪ ছেলে, স্ত্রী, আর ১ মেয়ের জন্য ৬ টা গাড়ি, নিজের ৩ টা সহ মোট ১১ টা গাড়ি। আমাকে ১০/১১ টা ইন্ডাস্ট্রির নামসহ কার্ড এগিয়ে দিলেন। কয়েক বছরেই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। সরকারী দলের চেনাজানা, ভিতরের পথঘাট সব নখদর্পণে। সেদিন –
আমি ঈর্ষার চোখে তাকিয়েছিলাম……………
পরে জানলাম, উনি একজন ঋণখেলাপি। বিভিন্ন কোম্পানির নামে নেয়া ঋণের পরিশোধের নাম নেই। কোম্পানি ২/৩ টা ভালো চললেও অনেকগুলোই নামে বা কাগজপত্রেই শুধু অস্তিত্ব। দৌড়াদৌড়ি চলছিল ঋণের পুনঃ তফসিল করার ব্যাপারে। হয়ে যাবে আমি নিশ্চিত ছিলাম। উপর মহলে যোগাযোগের কারনে অনেকেরই হয়েছে। মেহনতি মানুষের জমাকৃত টাকা নানা যোগসাজশে তুলে আর ফেরত দেন না। সেই টাকায় বিলাস আর ভোগের জীবন। অবশ্য কিছু টাকা এখানে ওখানে দিতে হয়। এটা জগতের নিয়ম, কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হয়। অর্থাৎ উনারাই আসলে সবচেয়ে বড় ভিখারি। নিজের কিছু নেই, অন্যের টাকায় বাহাদুরি। বাইরে ফিটফাট, ভিতরে সদরঘাট………।।
এরপর আমি আরও কবার ওই বাসার আশপাশ দিয়ে গিয়েছি। আমার চোখে আর প্রাচুর্য চোখে পড়েনি। কাঙ্গালিপনা চোখে পড়েছে। প্রতিবারই –
আমি করুনার চোখে তাকিয়েছিলাম……………।।
PDF Version [Published at SMC Magazine “নোঙর” May 2014]
————————-আতিকুল আজম খান (২৭) পেশায় মাস্টার মেরিনার। জন্ম/বসবাসঃ চট্টগ্রাম। লেখালেখি – যায় যায় দিন, দৈনিক আজাদি, ম্যাগাজিন, অনলাইন।
-
A.K.M Jamal Uddin wrote a new post 10 years, 4 months ago
Introduction
Gamma-ray bursts (GRBs) are flashes of gamma rays associated with extremely energetic explosions that have been observed in distant galaxies. They are the brightest electromagnetic events known to occur in the universe and these bursts can last from ten milliseconds to several minutes. Most observed GRBs are believed to consist of a narrow beam of intense radiation released during a supernova as a rapidly rotating, high-mass star collapses to form a neutron star, quark star, or the most well-known black hole.They are extremely energetic for a typical burst releases as much energy in a few seconds as the Sun will in its entire 10 billion year lifetime. All observed GRBs have originated from outside the Milky Way galaxy, although a related class of phenomena and it been hypothesized that a gamma-ray burst within the Milky Way which is pointing directly towards the Earth, could cause a mass extinction event, making the study of gamma rays all the more crucial. The GRBs were first detected in 1967 by the Vela satellites, a series of satellites designed to detect covert nuclear weapons tests.
Background Physics of GRBs
Astronomers now understand what GRBs are after 3 decades of its discovery, and also theorise on gamma ray bursts are and how the various spikes in gamma ray emissions have been attributed to gamma ray bursts. The only known way to generate high intensities of GRBs is through gravitational collapsing, and the formation of black holes can be very efficient at turning this energy into such intense power and almost all astronomers now agree that long duration GRBs coincide with hypernovae, which are powerful supernovae that occur when a massive star collapses to a black hole. Furthermore, almost all GRBs happen in galaxies containing large numbers of very massive stars.Background Information of Research Papers
Hundreds of theoretical models were proposed to explain these bursts in the years following this discovery, such as interstellar collisions. Little information was available to verify these models until the 1997 when the detection of the first X-ray and optical afterglows occurred which led to the distances and energy outputs to be discovered, the very first time for the GRB to be pinpointed so quickly and accurately. These discoveries, and subsequent studies of the galaxies and supernovae associated with the bursts, clarified the distance and luminosity of GRBs. These facts definitively placed them in distant galaxies and also connected long GRBs with the explosion of massive stars, the only possible source for such a large energy output.In the last Galactic year (Gy), two mass extinction events occurred, the Permian-Triassic extinction event and the Cretaceous-Paleogene extinction event. A.L. Melott et al. believe that these were likely due to GRBs within the Milky Way galaxy. GRBs produce significant atmospheric ionization and dissociation of Nitrogen gas, resulting in ozone depletion and thus allowing DNA damaging ultraviolet solar flux to reach the surface of Earth for up to 10 years. Visible opacity of NO2 is sufficient to reduce solar energy at the surface by a few percent, with the greatest effect at the poles and this may be sufficient to initiate glaciation. They use a computational model, inputting various parameters, such as altitude and latitude, and observe various outcomes to understand the effects a GRB within our galaxy have on Earth.
GRBs produce a flux of radiation detectable across the observable Universe. A GRB within our own galaxy could do considerable damage to the Earth’s biosphere. Earth has experienced mass extinctions at least five times in the existence of life itself, each time eliminating a large percentage of its biota. Many possible causes have been documented, GRB being one of them. The late Ordovician mass extinction approximately 440 million years ago has many indefinite causes, GRB being one of them. Furthermore, intense rapid cooling and glaciation occurred at the end of that period, identified as the probable cause of the mass extinction. However, a GRB has the ability to trigger global cooling which occurred then. A.L. Melott et al. try to find out if a GRB within our galaxy had initiated this mass extinction.
Brian C. Thomas et al. used a two-dimensional atmospheric model to perform the first computation of the effects upon the Earth’s atmosphere of one such impulsive event. All simulations began with initial conditions obtained from a long-term run such as 40 years in the intention to bring the model to equilibrium for analysis. They, with the aid of simulations, tried to find how much ozone would depleted if a GRB within the Milky Way galaxy were to occur. If a significant amount of ozone is depleted, then widespread extinctions are likely, based on extrapolation from Ultraviolet B sensitivity of modern organisms which sides with the hypothesis that a GRB may have initiated the late Ordovician mass extinction.
Douglas Galante and Jorge Ernesto Horvath presented the effects that could be caused on Earth by a GRB through analytical and numerical calculations, considering atmospheric and biological implications. Here GRBs are classified into four distinct categories and analysed separately. Direct γ Flash, UV Flash, Ozone Layer Depletion and Cosmic Rays are the 4 types of GRBs. The effectiveness of each of these effects is compared and distances for significant biological damage are given for each one.
High energy cosmic ray jets from nearby mergers or accretion induced collapse (AIC) of neutron stars (NS) that hit the atmosphere can produce lethal fluxes of atmospheric moons in all places of Earth, destroying the ozone layer and causing the environment to become radioactive. They could have caused most of the massive life extinctions on planet Earth in the past 600 million years and biological mutations due to ionizing radiations could explain the fast appearance of new species after the massive extinctions. Arnon Dar et al. correlate neutron star (NS) merger with GRBs. The paper is upon Cosmic Jet Rays, which come from GRBs. They carry out research to find the rate of mass extinction on Earth when binary NS merger occurs and GRB occurs in our galaxy, and also finding the distance from which GRBs are not lethal to the Earth’s biota.
Findings of Research Papers
NO2, a brown gas, has the ability to block considerable blue and near-UV light rays. Also, major ionizing events might easily generate enough opacity to cool the climate, allowing the possibility of glaciation to occur. Due to the increased transmission of UVB, O3 depletion occurs and this gives way to some increased heating. Also the energy absorbed by the NO2, which is only generated in significant amounts within the stratosphere, will be re-radiated as infrared rays, partially reaching the ground. Thus climate change may be possible for several years such as reduction in sunlight reaching the surface of Earth resulting in reducing the melting of ice.It is believed that the likelihood of GRB contributing to the Ordovician mass extinction is high. A 10s average GRB can easily strip 50% of the ozone almost instantaneously, causing all the organisms dwelling on earth at that time to be exposed to UV radiation. Furthermore, GRB has the ability to cause glaciation to occur and this results in dramatic climate changes, destroying various habitats and killing organisms. Also due to the exposure of radiation, the food chain gets poisoned which will further cause inclination in death. This displays the fact that indeed GRB ties in well as the culprit of the Ordovician mass extinction.
When a large input of gamma rays into the atmosphere occurs, NOy compounds (most importantly NO and NO2) are created through dissociation of N2 in the stratosphere which then reacts quickly with O2 to generate NO. Subsequent reactions create NO2 and other compounds. Together, these react catalytically to deplete O3 through the cycle below.
NO + O3 → NO2 + O2 (1)
NO2 + O → NO + O2 (2)Averaged ozone depletion of Earth reaches about 35% and a peak depletion of about 55% immediately after the burst. Significant global depletion, which is taken as 10% O3 depletion or more, lasts for over 5 years after the burst.
1 parsec is equivalent to 3.26 light years, and among the 4 different variants of GRBs, UV flash is the strongest, having the ability to give a lethal dose from 150 kiloparsecs. But to do this feat, it is taken into account that organism is present on uncovered land or within shallow waters and this may cause significant devastation if sufficient planktonic organisms are killed. Direct γ Flash does not display much biological importance, due to the fact that the bulk of its energy will be absorbed by a thick atmosphere and Earth’s atmosphere is thick, thus the only change occurring is that the temperature will increase by a few degrees Celsius. Ozone Layer Depletion is the most obvious global and long lasting effect for it can affect life for many years, probably making the surface of the planet an environment not appropriate for its overall biota. Also it has an effective distance of up to 12 kiloparsecs. Lastly is Cosmic Jets. They continue to stand as an issue of dispute, due to the fact that they are ineffective unless in the range of a few parsecs hence cause minimal to no damage. However the non-lethal doses of radiation from Cosmic Jets can spike up the rate of mutation in biota on Earth.
Beyond 1 kiloparsec, the explosion from the galactic magnetic field begins to disperse and thus suppression in its lethality occurs. Such GRBs, if not too far, can still cause partial extinctions at a higher rate and induce biological mutations which may lead to the appearance of new species. The galactic rate of SN explosions is 100/year. The rate of SN explosions within a distance of 10 pc from Earth is 10−10/year, it is likely that it was responsible for some extinctions in past Galactic year.
Discussion
A.L. Melott et al. concluded that on top of the significant ozone depletion lasting for several years, a gamma ray burst within our galaxy at a reasonable distance would generate significant opacity due to NO2 in the atmosphere. The intensity of such effects depend upon the distance of the burst, as well as the latitude. They are, however, of an interesting magnitude for cooling climate which can be further worked upon.A.L. Melott et al. states that radiation from a GRB ionizes and dissociates molecules in the atmosphere, with a burst of UV radiation reaching the ground. This triggers depletion of the ozone layer leading to greatly increased solar UV reaching the surface, and also causing other affronts to life including acid rain possibly followed by global cooling. Given estimated GRB rates, it is probable that at least one significant event occurred in the last billion years on planet Earth. They presented a credible working hypothesis that a GRB could have contributed to the late Ordovician extinction. The GRB first subjected the Earth’s biota to elevated levels of UV radiation, partially due to the initial burst but followed by depleting the ozone layer, and then by rapid global cooling which was followed by rapid global warming. Association of GRB with the Ordovician mass extinction is possible but clearly additional tests are required. Additional atmospheric chemistry modeling is needed to pin down the radiation fluency. Given the uncertainty in the evolution of the GRB rate, it is possible that they were involved in other mass extinctions.
About 90% of UVB is presently absorbed by atmospheric ozone. Due to the sensitivity of DNA to this radiation, increases of only 10-30% can have lethal effects on many organisms, especially phytoplankton, the base of the food chain. Ozone depletions in the range of 50% lead to roughly three times more UVB at the surface, which is clearly a possible candidate for causing mass extinctions. However, few would survive to the present from the late Ordovician mass extinction, which occurred 443 million years ago. The Ordovician extinction is associated with a brief glaciation in the middle of a period of stable warm climate. It is speculated that there may have been a significant perturbation by the opacity of NO2, which would cut off a few percent (ranging up to 35% for a month or so during polar fall) of solar radiation. This would occur primarily at high latitudes. The removal of O3 (a greenhouse gas) also may cause some cooling, but this effect should be negligible compared to that due to the increase in NO2.
As in the case of GRBs, they found that the most effective mechanism is UV Flash, because it is able to displace a lethal effect at the greatest distance among the 4 types of GRBs. However, this type of occurrence should happen very close to Earth for catastrophic effects to happen, so close that in fact the researchers do not expect to occur in the history of the planet.
GRBs from neutron star mergers may have caused the massive continental and marine life extinctions which interrupted the diversification of life on our planet several times. They explain the complicated biological and geographical extinction patterns as well as the biological mutations induced by the ionizing radiations which are produced by the GRBs, explaining the appearance of completely new species after extinctions. Isotopic anomaly signatures of GRB extinctions may be present in the geological layers which recorded the extinctions in the Earth’s layers. If nearby neutron star mergers are responsible for mass extinctions, then an early warning of future extinctions due to neutron star mergers can be obtained through the means of identifying, mapping and timing all the nearby binary neutron stars systems, thus giving time for preparation if possible.
As it can be seen from the above research papers, GRB is indeed a phenomenal discovery of astronomers and its power is so immense that it can wipe out our atmosphere with ease. It can be seen that through GRB it is possible several cases of mass extinction has occurred on Earth and a series of events followed which resulted in dramatic changes to Earth and cause the organisms who survived to adapt to the adverse living condition, survival of the fittest against the conditions such as radiation, UVB, poisoning of the food chain etc.
Future Study
It is essential to carry out studies in the field of GRBs due to the fact that it could potentially harm our home planet at any given point of time. The fact that GRBs carry such a huge amount of energy which could easily destroy us could be used to our advantage, harvesting its energy when technology permits in the near future hopefully for the fossil fuel reserves are running out and they have the ability to project as much energy as the Sun every will in its entire lifespan in just 10 seconds, far exceeding the bounds of solar power. Furthermore, by learning more about these effects the GRB can cause such as glaciation, it could allow further experimentation and come up with a means to solve the global warming problem by initiating a Ice Age ourselves to cool down the planet and all ice to be restored. This will benefit humanity, allowing us to inhabit this planet by using a cleaner means of energy and not further destroy our atmosphere and ensure our environment is at its prime.PDF Version [Published at SMC Magazine “নোঙর” May 2014]
—————————-
Farhan Ishraq is a student of Secondary 4. He is from NUS High School of Math & Science. He is son of MA Baten (18)
-
A.K.M Jamal Uddin wrote a new post 10 years, 4 months ago
হেমচন্দ্রের ভাষায় “Love is the reciprocity of heart”; অর্থাৎ “প্রানের বিনিময়ে ভালবাসা”। তাহলে যার ভালবাসা নেই তার কি ভালবাসা হতে পারেনা? নিশ্চয় পারে। মানব মানবীর প্রেম কে হেমচন্দ্র মশাই এভাবেই বোঝাতে চেয়েছেন।
হৈমন্তী গল্পে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, “আমি ইহাকে পাইলাম”, তিনি কি করে এত সহজে হৈমন্তী কে পাইয়ে দিয়েছিলেন জানিনা? কিন্তু আমি তাকে কখনই পাইনি। কেবল ই খুঁজে মরছি। যদিও বা কখনও মনে হয়েছে এই বুঝি পাব, আর তখনই দেখেছি চঞ্চল অঞ্চল উড়িয়ে তিনি অপসৄয়মান।
আসলে পাওয়া এত সহজ নয়, আদতেই সম্ভব কি না সে ব্যাপারে সন্দেহ আছে। হাজার সংসার তল্লাশি করে এমন কি অপারেশান ক্লিন হার্ট চালিয়ে দেখলেও একটি যুগল যে নিরবিচ্ছিন্ন ভালবাসায় এখনও কাতর হয়ে আছেন এমন টি পাওয়া অসম্ভব না হলেও বিস্ময়কর তো বটেই! তাই “আমি ইহাকে পাইলাম” এ কথা সত্যি নয়।
বোধ হয় ভালবাসার সবচেয়ে মূল্যবান ও সহজ প্রকাশ হল প্রিয় মানুষটির ছোঁয়া। সদ্যোজাত শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক সবার মাঝেই রয়েছে এই আকুতি।
দেখা যাচ্ছে ভালবাসার প্রকারভেদ আছে। তাহলে সব চেয়ে বড় ভালবাসা কোনটি? এ বিষয়ে বড়সড় একটা বিতর্ক আছে। তবে ইতিহাস বলছে ইসলাম ধর্ম এবং দেশ মাতৃকার প্রতি ভালবাসায় যতো সহজে হাজার লোক প্রান বিসর্জন দিয়েছেন, অন্য কোনও ভালবাসায় তার নজির নেই। এই তো ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে ত্রিশ লাখ লোক হাঁসি মুখে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন। পঙ্গুত্ত বরণ করেছেন কয়েক লাখ। অনেক প্রেমিক তাদের প্রেমিকার চেয়ে দেশ মাতৃকার প্রতি ভালবাসা বড় করে দেখে মুক্তিযুদ্ধে গেছেন। অর্থাৎ বলা যায় মানব মানবীর প্রেমের চেয়ে দেশপ্রেম, ধর্ম প্রেম অনেক বড়।
“—-জীবন সমুদ্রের মত বিশাল, দিগন্ত বিস্তৃত আবর্তময়্র। এ এক মমতায় ভরা ঢেউয়ের সমুদ্র। ঢেউ তারপর ঢেউ, তারপর আর ও ঢেউ। এখানে অনেক ফেনা, ডুবে যাওয়া পাঁথরে আছড়ে পরা, আবার আশ্চর্য নীল শান্ত কখনও কখনও। সত্যিই জীবন একটা দারুন গোলমেলে নোনা স্বাদে ভরা দুরন্ত অভিজ্ঞতা। আর আমরা এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মানুষ- সেই সমুদ্রের বুকে উড়ে যাওয়া ছোট নরম সাদা সি-গাল দের মত। আমরা সমুদ্র কে ভঁয় পাই, আবার পাই ও না। আমরা ছোটো অথচ বারে বারে সমুদ্রে ছোঁ মারি। কখনও মাছ পাই কখনও বা পাইনা। কখনও বা সমুদ্র পাড়ের গুহার নীড়ে ফিরতে পারি; কখনও বা ঝড়ে পরে জলে পরি ডানা ভেঙ্গে। তবুও আমরা সি-গাল দের মতই।—-“তাই উষ্ম হক, হোক শীতল, মাতাল হোক অথবা হোক শান্ত-সমুদ্রই আমাদের জীবন- এ জীবনের জন্যই আমাদের আকুতি, কান্না, আমাদের সমস্ত প্রার্থনা। এই জীবন কেই আমাদের ঘৃণা-ভালবাসা। এর ই মাঝেই বার বার ছোঁ মেরে নামা, বার বার কাছে এসেই আবার দূরে উড়ে যাওয়া। মনে হয় না যে এক জীবনে, জীবনের এই অতল সুনীল তলে কি আছে তা কেই বুঝে পেতে পারে। বোঝা শেষ হয় না বলেই বোধ হয় সমুদ্রের নোনা স্বাদ হু হু হাওয়া ছেঁড়ে অন্য অজানা গন্তব্যে যেতে, যাবার সময় ভারী ভয় করে। মনে হয় যাবার দিনে, যে এই বুঝি শেষ- আর কখনও ফেরা হবেনা।
এখন কেবল সেই শেষের দিনেই বার বার মনে হয়, তবে কেন এ সমুদ্রে মনের সুখে অবগাহন করলাম না, কেন যা চেয়েছিলাম তাকে তেমন করে চাইলাম না, যা চাইনি তাকে তেমন করে কেন ছুঁড়ে ফেলে দিলাম না? কেন মিথ্যের রোষানলে মোহে পড়ে এই জীবন- এই একটাই রহস্যময় সুন্দর ও বীভৎস জীবন কে ফ্রী স্টাইল সাঁতার উপভোগ করতে করতে পাড়ি দিলাম না? সারা জীবন কিসের ভয়, কিসের সঙ্কচ, কিসের দ্বিধা নিয়ে কোন মিথ্যা পুণ্যের লোভে নিজেকে এমন করে ঠকালাম?
উপরোক্ত প্রশ্নবোধক চিহ্ন সম্বলিত কথা গুলো বিদ্ধ করে আমাদের সবাইকে! তাই নয় কি? এরকম হাজার প্রশ্নের আবর্তেও জীবন কখনও থেমে থাকেনা, এগিয়ে যায় নিজস্ব গতিতে।“—ভালবাসা যদি হয় নিজের ভিতরে অন্যের উপলব্ধি, সেই অনুভবের পক্ষে ঢাক ঢোল পেটানো ভালবাসারই অপমান। আনন্দ যদি হয় জীবন কে উজ্জীবিত করার জন্য এক ধরনের আবেগ, তবে মানুষের আসা যাওয়া তার উপস্থিতি, কোন টা তেই বিষণ্ণ হওয়া উচিত না। বীভৎস স্রোতের পানি যখন নদি কে ভাঙে তখন তার এক পার ই ভাঙ্গে। স্রোত এক সংগে দু পাড় ভাঙতে পারে না। আর এক পার যখন ভাঙে প্রকৃতির নিয়মে অন্য পাড় গড়ে উঠতে থাকে। যে লোহা দিয়ে শিকল তৈরি হয়, সেই লোহা দিয়ে চকচকে ধারালো ছোরাও হয়। এক ই মানুষের জীবন তার নিজের ইচ্ছায় দু রকম হতে পারে।—-“
“—এক জীবনের অর্থ আসলে কি? এক জীবনে এতো কষ্ট কেন পায় মানুশ? সম্পর্কের হাতুড়ী যদি মানুষের বুক ভেঙে চুরমার করে দেয়, তবে এই সম্পর্কেই মানুষ জেনে শুনে আক্রান্ত হয় কেন? যে এত কাছে, যে ঘুমিয়ে থাকে বুকে, তাকে হারানোর তীব্র কষ্ট পৃথিবীতে থাকে কেন? মানুষের সীমাবদ্ধতা মানুষের মৃত্যু। এক মাত্র মৃত্যু ছাড়া পৃথিবীতে যদি শেষ কথা বলে কিছু না থাকে তাহলে এসব প্রশ্নের উত্তর নিশ্চয় পাওয়া যাবে।—-“
PDF Version [Published at SMC Magazine “নোঙর” May 2014]
—————————-
[রওনক হাসবুন নাহার (রুবা): পেশায় গৃহিনী, নেশায় সমাজকর্মী। ব্যক্তিগত জীবনে সহধর্মণী – আতাউল মজিদ উজ্জ্বল (২৬)] -
A.K.M Jamal Uddin wrote a new post 10 years, 4 months ago
২০০৪ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭ টার সময় আমেরিকার ভার্জিনিয়ার উপকূলে “বাও মেরিনার” নামে একটি জাহাজ বিস্ফোরিত হয় । বিস্ফোরণে ২৭ জন ক্রুর মধ্যে ২১ জন মারা গেছে বলে ধারণা করা হয়। কারন ১৮ জনের মৃতদেহ পাওয়া যায় নি। বেচে যাওয়া নাবিকদের কাছে জানা যায় ঘটনা এত দ্রুত ঘটেছে যে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই জাহাজটি বিস্ফোরিত হয়ে পানির নীচে তলিয়ে গেছে। সেই ঘটনার প্রেক্ষাপটে এবং ঐসব ক্রুর স্মৃতিচারণ করে লেখা হয়েছে গল্পটি।
মিথুন আগের চেয়ে অনেক চুপচাপ হয়ে গেছে। এখন আর হৈচৈ করতে ভাল লাগে না। ওর বিয়ে ঠিক হয়ে আছে। পাত্রীকে সে একবারই দেখছে। ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে নান্দুসে। জাহাজে আসার আগে হঠাৎ করেই সব হয়ে গেল। তার মামা তাকে ডেকে নিয়ে মেয়ের সামনে বসিয়ে দিয়েছে। কি বলবে ভেবে পাচ্ছিল না। মেয়েটা অনেক স্মার্ট। নিমিষেই পুর পরিবেশ হাল্কা করে নিয়েছে। ঠিক এই কারনেই মনে হয় মিথুনের মেয়েটা পছন্দ হয়েছিল। তার পর মাঝে মধ্যে কথা হয়েছে। কিন্তু জাহাজে আসার আগের নানা ঝামেলার কারণে আর দেখা করা হয়ে উঠেনি। আবার বলা যায় পরিবেশ ও ওদের পক্ষে ছিল না। মেয়েটা প্রচলিত অর্থে অত সুন্দরি নয়। বলার মত আহামরি কিছু নেই। কিন্তু সব মিলিয়ে কেমন জানি ভাল লেগে যায়। মিথুন এখনও ভাবে কেন মেয়েটাকে সে পছন্দ করে ? কিন্তু কূল কিনারা করতে পারে না। এক সময় সে হাল ছেড়ে দেয় এই ভেবে যে , সে মেয়েটিকে এখন ভালবাসে। না খুব বেশীই ভালবাসে। আর তা না হলে ক্যাপ্টেনের সামনে সে মেয়েটির কথা ভাবতে পারত না।ক্যাপ্টেন তার চেয়ারে বসে আছে। চেহারায় অনেকটা নির্লিপ্ত ভাব। এক সময় সে অনেক দাপুটে ছিল। এক সময় বললে ভুল হবে। কিছুদিন আগ পর্যন্ত সে সবাইকে দাবড়ে বেড়াত। কিন্তু কোন একটা ঘটনার পর থেকে সে ঝিমিয়ে যায়। ঘটনাটা ঠিক কি সে মনে করতে পারে না। সে সামনে তাকিয়ে থাকে ঠিক , কিন্তু কি দেখছে সে নিজেই জানে না। তার পরও প্রতিদিন সূর্যাস্তের সময়টা সে এখানেই বসে উপভোগ করে এবং কোন গভীর চিন্তায় আছন্ন হয়ে পরে। এক সময় বউ বাচ্চাদের নিয়ে সে অনেক চিন্তা করত। কিন্তু এখন আর করার দরকার পরে না। তার স্ত্রী ২২০০ স্কয়ার ফিটের জুহু বীচের ফ্ল্যাটটি মনের মত করে সাজিয়েছিল। কোথায় টিভি বসাবে , লিভিং রুমে কি কি থাকবে , জানালার পর্দা কেমন হবে কত কি ? এই নিয়ে তার সাথে অনেক কথা কাটাকাটি হত। ছেলে মেয়ে দুজনকেই সেরা স্কুল কলেজে পড়িয়েছে । তারা সবাই এখন আমেরিকা থাকে। মেয়ে জামাই দুজনেই ডাক্তার । তার স্ত্রীও ওদের সাথেই থাকে। খুব একটা কথাও হয় না ওদের সাথে। তার শখের ফ্ল্যাটটি এখন ছোট খাট একটা বার। প্রতি রবিবার পুরান বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা এবং ড্রিংক করা ছাড়া দেশে গেল আর কোন কাজ থাকে না।
ফিলিপিনো সেকেন্ড অফিসারের মেজাজ খুব খারাপ। প্রায় প্রতিদিন তার চার্ট কারেকশন আসার কথা। কিন্তু আজ অনেক দিন ধরে কোন চার্ট কারেকশন আসছে না। সে ভাবে ক্যাপ্টেনকে জানাবে কিন্তু সাহস পায় না। মাঝে মধ্যেই সে নেট চেক করে দেখছে। নেটওয়ার্ক পুরো আছে। হঠাৎ করে যখন অনেক গুলো আসবে তার মাথা খারাপ হয়ে যাবে কাজ করতে করতে। অফিস থেকে পরবর্তী ভয়েজের কোন খবরও আসছে না। আসলে প্যাসেজ প্ল্যানটাও করে রাখা যেত। তার মেজাজ খারাপ হবার অবশ্য আরো একটা কারন আছে। গতকাল সে জেনেছে তার এবারের গার্ল ফ্রেন্ড ও চলে গেছে। অথচ ও আসার সময় কত কান্নাকাটি করল। সবই অভিনয়। না আর না। এবার আর সে এই ফাঁদে পা দিবে না বলে মনস্থির করে। এই গত সপ্তাহেই তার সাথে কথা হয়েছিল। ভুলেও বুঝতে পারে নি হুট করে চলে যাবে। খবরটা পাবার পর দুবাই থেকে কেনা বিয়ের আংটি ছুড়ে সাগরে ফেলে দিয়েছে। এখন অবশ্য আফসুস হয়। আংটিটা সে অন্য কোন মেয়েকে দিতে পারত।
অন্য দিকে ফাস্ট ইঞ্জিনিয়ার খুব ঝামেলায় আছে। জাহাজ চলছে। কিন্তু ট্যাংকে তেলের লেভেল কমছে না। অটোমেটিক সিস্টেম না হয় কাজ করছে না কিন্তু ৩য় ইঞ্জিনিয়ার ম্যানুয়ালি তো চেক করতে পারে। ইদানিং তার যে কি হয়েছে !! সারাক্ষন ধ্যান ধরে থাকে। মাঝে মধ্যে মনে হয় কসে একটা থাপ্পড় দিয়ে দিবে কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর হয় না। সে ঠিক করে ফেলেছে পরের পোর্টেই তাকে নামিয়ে দিতে বলবে চীফ ইঞ্জিনিয়ারকে। তার পর হঠাৎ নিজেই হেসে ফেলে। কারন ক্যাপ্টেন এবং ৩য় ইঞ্জিনিয়ার একই দেশী। তাই এধরনের চিন্তা না করাই ভাল। মাল্টি ন্যাশনাল ক্রু নিয়ে কাজ করার সুবিধা অসুবিধা দুটোই আছে।
রায়ান অনেক ক্ষন ধরে স্যাটেলাইট টেলিফোনের দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু ফোনটা কেন জানি তুলতে পারছে না। সে প্রতিদিনই বাসায় ফোন করে। কয়েকদিন আগে তার সহধর্মিণী জিজ্ঞাসাই করে বসল কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা জাহাজে। বিয়ের পর সে অনেক বারই জাহাজে গিয়েছে কিন্তু কখনই এভাবে ফোন করে নি। তার ফোন বিল দেখে ক্যাপ্টেনও তাকে একবার জিজ্ঞাসা করেছিল বাসায় কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা। সে কোন উত্তর দিতে পারে নাই। সে নিজেই জানে না কেন সে এত হোম সিকনেস অনুভব করছে।
৩য় ইঞ্জিনিয়ার রাহুল। তার লক্ষ্য খুব তারাতারি চীফ ইঞ্জিনিয়ার হওয়া। তাই পেশা নিয়ে সে অনেক সিরিয়াস। ক্যাডেট থেকে খুব অল্প সময় সে ৩য় ইঞ্জিনিয়ার হয়েছে। এবং তার সুনাম সবাই করে। একবার যারা তাকে জাহাজে পেয়েছে সবাই খুব স্নেহ করে এবং পছন্দ করে। তার বাবা মা দুজনেই ইন্ডিয়ান আর্মির অফিসার ।বাবা কর্নেল , মা মেজর। এক মাত্র বড় ভাই ও নেভিতে আছে। তার পরিবারের অন্য সবার ধ্যান জ্ঞ্যান আর্মি কেন্দ্রিক। সে পরিবারের সবার অমতে মেরিনে এসেছে। অবশ্য তার একটা কারন আছে। তার মামা মেরিন ইঞ্জিনিয়ার । বোম্বেতে বিশাল বাংলো। বোম্বে বেড়াতে গেলে মামার বাসায় উঠত। ছোট বেলায় মামার কাছে অনেক গল্প শুনেছে জাহাজ সম্পর্কে। তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাহাজে চাকরি করতেই হবে। কিন্তু গত কয়েক দিনে সে অনেক বদলে গেছে। কাজে কর্মে মন বসাতে পারছে না। কিছুই যেন ভাল লাগছে না।
গ্যালিতে ( রান্নার স্থান ) হাল্কা গান বাজছে । গান শুনতে শুনতে রান্না করা চীফ কুকের শখ। কিন্তু এখন কাজটা সে করে খুব সাবধানে। প্রতিদিনই নতুন নতুন নিয়ম কানুন আসছে। সেফটি বাড়াও। এক্সিডেন্ট কমাও। সে মাঝে মাঝে মনে করে এক সময় কাজ কর্ম বন্ধ করে দিয়ে সুধু সেফটি দিয়ে খাওয়া দাওয়া করতে হবে। সে জানে এই সময় বাড়িওয়ালা নিচে আসবে না। তাই একটু চান্স নিচ্ছে। ( ক্যাপেনকে ক্রুরা বিভন্ন নামে ডাকে তার ভিতর বাড়িওয়ালা অন্যতম) । আজ সে ইংলিশ ফুড তৈরি করছে। এটা তার নিজেরও অনেক পছন্দ। ইংলিশ ফুডের সাথে মিষ্টান্ন হিসাবে আইসক্রিম দেয়া হবে। স্টুয়ার্ডকে ফ্রিজ থেকে আইসক্রিম আনার জন্য পাঠিয়েছে । অনেক্ষন হল ছেলেটা এখনও আসছে না।চীফ অফিসার ডেক অফিসে বসে আছে। কাজ শেষে বোসানের তার কাছে রিপোর্ট করার কথা। কিন্তু সে এখনও আসছে না। সাধারণত ছয় টার অনেক আগেই ওরা ছুটির জন্য চলে আসে। আজ মনে হয় কোথাও কোন সমস্যা হয়েছে। একবার ভেবেছিল ডেকে যেয়ে দেখে আসবে । কিন্তু এখন আর সেফটি সু , হেলমেট পরতে ইচ্ছে করছে না। তাছাড়া “বুড়া” এখন ব্রিজে বসে আছে ( অফিসাররা ক্যাপ্টেন কে অনেক নামে ডাকে তার ভিতর “বুড়া” অন্যতম) । সে খুব বেশি দরকার না হলে তার সামনে পরতে চায় না। তার সামনেই ২য় ইঞ্জিনিয়ার বসে আছে। তারা দুজনেই একই একাডেমীর ক্যাডেট। তাই ডিউটি শেষে ২য় ইঞ্জিনিয়ার প্রতিদিন ডেক আফিসে ঢু মারে। একটু গল্প গুজব করে। এবং বিভিন্ন অফিসার , ইঞ্জিনিয়ারকে তুলাধুনা করে। কিন্তু আজকে সে শুধুই বসে আছে। কতক্ষণ ধরে সে বসে আছে বলা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে অনন্ত কাল ধরে সে এখানেই বসে আছে।
চীফ ইঞ্জিনিয়ারের মনটা কেন জানি খুব ছটফট করছে। তার কেন জানি মনে হচ্ছে সে শীঘ্রই মারা যাবে। প্রেসার চেক করে দেখেছে ঠিক আছে। তার পরও মনটা খুব অস্থির। কি করবে বুঝতে পারছে না। তাই সে ব্রিজে গেল। ক্যাপ্টেন সাহেবকে ঘটনাটা জানাল। ক্যাপ্টেন কোন উত্তর দিচ্ছে না। সে একমনে সামনের দিকে তাকিয়ে আছে। তার পর হঠাৎ করেই একটা কথা শুনতে পেল
“চীফ আপনারা মরতে পারেন না” “Chief you can not die”
চীফ ইঞ্জিঃ কেন ?
“কারন, আপনারা সবাই এরি মধ্যে মারা গেছেন”। “Because all of you already death”
চীফ ইঞ্জিঃ কিন্তু কিভাবে !!
“আপনি ভুলে গেছেন। গত সপ্তাহে আমাদের জাহাজের সবাই বিস্ফোরনে মারা গেছে।“ “You have forgotten. Your ship explode and all crew died in that explosion last week”
চীফ ইঞ্জিঃ কিন্তু জাহাজ তো চলেছে ?
“কোথায় যাচ্ছেন, আপনি কি সেটা জানেন?” “You know where you are going?”
আসলেই তো সে জানে না জাহাজটা কোথায় যাচ্ছে। শুধু জানে জাহাজটা চলছে। সে ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞাসা করল সবাই মৃত হলে জাহাজটা কিভাবে চলছে, কারা চালাচ্ছে।
“মৃত নাবিকরা জাহাজ চালাচ্ছে”। “ The dead sailors running the ship ”PDF Version [Published at SMC Magazine “নোঙর” May 2014]
————————-
লেখক পরিচিতিঃ খালিদ মাহমুদ (২৯) জাহাজে চাকরীর পাশাপাশি বিভিন্ন ব্লগে লেখালেখি করেন।
-
A.K.M Jamal Uddin wrote a new post 10 years, 4 months ago
One day, Tony and I were going to the park.
As we were there, we saw a………WAND! A magic wand! A magic wand was lying on the ground. I asked Tony If he knew about the wand but Tony said “No Linda I don’t!”I felt a little scared but then I told him “we’ll find out more about this wand,” I picked up the wand and we took it home. After we told our mum about it she said not to use it because it may be dangerous. Our mom took the wand and told me to look into the Internet and find out more about this wand but before I used the computer my mom said ”Don’t wave the wand Linda, ” After she told me that I started the computer and began my work.
Before long I found that this wand was a magic wand. I told mom and Tony about it. Mom and Tony both said ”WOW! A magic wand! ” At night time, Tony and I had a plan. We sneaked out of the house and went to a forest where we could look for the owner of this wand. It took us ten minutes to get lost. We weren’t completely lost because Tony had brought our food and sleeping bags and also a packet of bread crumbs so that we can drop them on the ground and follow them home but unfortunately the birds ate them all! So we were completely lost! I was scared but Tony said ”Calm down Linda, we’re gonna be fine” and I said ”But Tony it’s so dark! How on earth are we going home?”Tony said ”We’ll be fine Linda, trust me and we’ll find a way to give this wand to its owner and go home! ” I liked the sound of that! So without wasting any time we started looking for the owner. But before long we looked at the sky and saw…… someone on a broom!
Tony said that I should take out my flashlight and shine it on the sky. So I did what he said and shined my flashlight on the sky and saw….. Three witches! Three witches were flying on the sky and saying”Oh my! Oh my! Where’s my wand? Oh my” Linda and her brother looked amazed. Three witches landed on the ground looking at Tony and Linda.
Linda said ”This is it Tony! ”, Linda exclaimed.
”We found the owner of this wand! ”
Tony said “I know Linda but which one because none of them have wands!”
One of the witches cackled ”I don’t know which witch is a real witch! ”
Tony said “what do you mean by you don’t know which witch is a witch? ”
The witch whispered into Tony’s ear and said” All of them may look like witches but they may be just wearing costumes!”
Tony exclaimed ”I know just how to solve this problem! ”
The witch cackled “What are you going to do? ”
Tony said “I’m going to give them a witch test!”
The witch cackled ‘‘What’s a witch test?”Tony said “a witch test is…a test to see if a witch can act like a witch, talk like a witch, walk like a witch and last but not least control and wave a wand like a witch! “.
The witch said “you are a smart little boy alright!”. After Linda give Tony her wand. The witch said “thank you, so let’s start the test!”
Tony and Linda both exclaimed “Yeah!”After some time the ‘witch test’ began and Tony and Linda were the judges.Five minutes later Tony began the first obstacle. The witches have to walk sideway like a witch.
The second obstacle is…..broom riding! Broom riding is harder than witch walking because walking might be easy but riding a magic broom is not that easy because…it’s like a horse, as the broom jumps everywhere!
After the second obstacle had finished, the witches started the third and the hardest obstacle and that is to control a magic wand. Controlling the wand is the most important one because if you’re about to get attacked you can use the magic wand to get out of trouble.First Tony and Linda have to announce the loser of this year 2014 is…… Marian. Marian lost because she didn’t do well in any of the obstacle and the worst part is she cheated by using magic and you know what they say when you make it easy with cheating you will always fail, because the judges might have spotted. Same as in school the teacher might have not spotted you but maybe you copied the wrong answer while cheating!
So don’t cheat! By cheating it always makes it worse and remembers always one should have integrity (honesty) everywhere.
After the last obstacle was finished, Tony and Linda announced the winning witch! The best witch award goes to Lucinia the little witch. Lucinia is a real little witch!
The witch we have to kick out of the team is. …..MARIAN! (Marian is actually an animal fairy) Do you know what Marian said to Tony and Linda? If you don’t know, then here’s what she said ”Do you two want to go home?” Linda said ”Yes please Miss Marian’’ The fairy said ”Your wish is my command! ” and with a wave of her magic wand Tony and Linda were back in bed.
Linda asked Tony if the magical tour was all real, and Tony said ”Yes Linda it was all real,”.
PDF Version [Published at SMC Magazine “নোঙর” May 2014]
[Pareeza Nawar is seven years old and a P2 student of East View Primary school in Tampines. She is the daughter of Shakil Ahmed(29) & Dr. Sifat Jubaira.]
- Load More
Recent Comments